যেমন ধরেন, উদাহারণ হিসাবে শাহবাগ-মতিঝিলের কথা মনে হইলো; যারা কম্পারেটিভলি ‘লিবারাল’ ‘শাহবাগ’, তারা বলতেছিলেন, “ফাঁসি দিতে হবে”; আর যারা ‘প্রতিক্রিয়াশীল’ ‘মতিঝিল’, তারা বলতেছিলেন, “ফাঁসি দেয়া যাবে না”; কিন্তু কথা দুইটারে আক্ষরিক অর্থে নিলে খুবই ভুল হবে। দুই পক্ষই আসলে ‘ন্যায় বিচার’ চাইতেছেন। যেমন ধরেন, তারেক-মিশুক’রে মারলো যেই বাস ড্রাইভার (যদিও অই ড্রাইভার মারেন নাই আসলে), তারও ফাঁসি চাওয়া হইছিল তো… মানে, ‘ফাঁসি চাই’ এর মিনিং হইতেছে ‘বিচার চাই’; কিন্তু ‘বিচার চাই’ বললে ব্যাপারটা স্পষ্ট হইতে পারে না আসলে এতোটা। একইভাবে ‘ফাঁসি চাই না’ মানে এইটা না যে, ‘বিচার চাই না’; বরং বিচারের নামে প্রতিশোধ নেয়া হইতেছে, ‘ন্যায়বিচার’ হইতেছে না।…
তো, আমার ধারণা হইতেছে, বাংলাদেশে যদি কোন এফেক্টিভ এক্টিভিস্ট থাকতেন তাইলে এই ‘ন্যায়বিচার’ এর জায়গা’টাতে কাজ করতে পারতেন। (পলিটিক্যালি এই আওয়াজ যে উঠে নাই – তা না; কিন্তু ন্যায়বিচার যে কোন নিরপেক্ষতা না, বরং পলিটিক্যাল একটা ঘটনা, সেই আলাপ’টাই হইতে পারছে।) ‘ন্যায়বিচার’ এর তো ইউনিভার্সাল কোন সূত্র নাই, কিন্তু সবসময় কিছু প্রসেস ‘ন্যায়বিচার’ পাওয়াটারে সহজ করতে পারে। যেমন ধরেন, বাংলাদেশে এমন কোন আইন মনেহয় নাই যে ১০ হাজার বা ১ লাখ সাইন যদি নেয়া যায় কোন পিটিশনে, সেইটা পার্লামেন্টে বিল হিসাবে তোলা যাবে; অথচ এইরকম একটা আইন কিন্তু হইতে পারে!
যদি কোন আইন বদলাইতে চান, পার্লামেন্টের মেম্বার ছাড়া কেউ এইটা মনেহয় করতে পারবেন না বাংলাদেশে, এমনকি তারও বিল তুলতে হইলে তার দলের পারমিশন লাগবে মনেহয়; পাবলিক চাইলে নিজেরা নিজেদেরকে রিপ্রেজেন্ট করতে পারবে, এইরকম কোন আইন নাই। তো, এইরকম একটা আইনের দাবি করাটা একটা স্টেপ হইতে পারে। জাস্ট উদাহারণ হিসাবেই বললাম।
তো, এক্টিভিজমরে যদি এফেক্টিভ করতে চান তাইলে এজেন্ডাগুলা দিয়া কালচারাল সার্কাস না বানায়া, পলিটিক্যাল দলের pet না হয়া কেমনে পলিটিক্যাল দলের বাইরেও এক্টিভিজমের জায়গাটারে ধইরা রাখা যায়, সেই লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্ক নিয়া ভাবতে পারলে মেবি বেটার।
Leave a Reply