ফেমিনিজম

ফেমিনিজমের সুবিধা হইলো আপনি ফেমিনিস্ট না হইয়াও এর সুবিধা নিতে পারবেন, বেনিফিট পাইতে পারবেন অনেক। ফেমিনিস্ট হইলে বরং কম পাইবেন একটু। মানে, পিকাসো যদি খালি কিউবিস্ট হন বা দালি যদি সুরিয়ালিস্ট হন তাইলে যেমন হয়। আপনি কিউবিস্ট বা সুরিয়ালিস্ট না হয়া পিকাসো বা দালি হইবেন। বাদ’রে বাদ দিতে পারাটাই ঘটনা! ইন্ডিভিজ্যুয়ালিজম ফাইট্টা বাইর হইতে পারবে তখন, এর চিপা দিয়া।…

কিন্তু আপনার ডিজায়াররে জাস্টিফাই করতে গিয়া পার্টনাররে (মেইল/ফিমেইল) চিপায় ফালাইতে হইলে ফেমিনিজমরে ইউজ করবেন। ফেমিনিজম নিয়া সিমন দ্য বেভোয়া একটা মজার কথা কইছিলেন; যে, ইদানিং (মানে, উনার টাইমেই) ‘নারীর প্রতি সহিংসতা’ বাইড়া গেছে (কঠিন শব্দগুলাই এর কারণ না অবশ্যই); কারণ ফেমিনিজমের কারণেই পোলাগুলি কইতে পারে, তুমি ত ফ্রি, চলো আমরা শুইয়া পড়ি! ফ্রি মানে যে আপনি যে কারো লগেই শুইতে চাইতেছেন না – সেইটা না, ফ্রি মানে হইলো আপনি চাইলে যে কারো লগে শুইতে পারেন। নাইলে আর ফ্রিয়ের কি মানে!

আর উল্টাদিক দিয়া এইটাও হয় যে, আপনি ফ্রি বইলাই যে কেউ জানি আপনার লগে শুইতে চাইতেছে, পার্টনার থাকলে সেইটা আর পসিবল না। পার্টনার হইলো আপনার সেক্সুয়াল পাহারাদার। এই লিনিয়ারিটির বাইরে রিলেশনশিপ’রে ডিফাইন করাটা মুশকিল-ই; এই কারণে, ক্লোজনেস মানে যে বেশি সন্দেহ করা আর স্বাধীন থাকার মানে যে খেয়াল না করা বা এভয়েড করা (এবং ভাইস ভার্সাও) – ফেমিনিজম না থাকলে এই মিসরিডিংটা যে কতো টাফ হইতো, সেইটা এখন ভাবতেই তো পারি আমরা।

মানে, এই ভুল ধারণাগুলির ভিতর দিয়া একভাবে তো গেইস করা যায়, থিওরি নিজেই আরেকটা রিয়ালিটি আসলে… আমাদের অউন রিয়ালিটি না!

 

 

Leave a Reply