মা ই লে র প র মা ই লছ ড়া য়া যা ই তে ছে
নি র ব তা
আ
মা
দে
র
রইদ আইসা বসে থাকতেছে
খালি রাস্তার উপর
যদি আর ফিরা না আসো
য দি আ র ফি রা না আ সো
বইলা এ ক লা এ ক টা আ কা শে
উ
ই
ড়া
যা ই তে ছে
এ ক টা
চিল।
তোমার হাসি ঝইরা পড়ে কিনা, বিকালবেলার
রইদের মতন
গাছগুলার পাতার উপরঝির ঝির কইরা তারা
বাজতে থাকে কিনা
একবার, আর অনেকক্ষণ…
আর
যদি তা না-ই হয়,
জোকস কি আর হইলো এইটা?
দুনিয়াতে আমাদের এই বাঁইচা থাকা,
খামাখাই তো তখন; মরা কিছু
মেটাফরের মতন, মিনিংয়ের ভিতরেই
আটকায়া ছিল যেন,
একটু সময়
‘সহজ, সরল, কিন্তু সুন্দর’
কবিতা
লিখতে আর পড়তে
পছন্দ করেন,
তারা অনেকেই
হয়তো জানেন না,
এই কবিতাগুলার
বেশিরভাগই
বাইর হইছে
নাইনটিইজে
রিফাত চৌধুরী’র
বাবুপুরা বস্তির
ঘর’টা থিকা;
আর যার যার
মতন
রাস্তা খুঁজে নিছে,
কবিতা
হওয়ার
আর
না-হওয়ার
দিকে
ছড়ায়া পড়ছে,
বেকারির
বোবা
বাতাসের
মতন
যেইভাবে পার হয়া যাইতেছে,
এইভাবে কেউ
আমারে হারায়া ফেলতেছে,
উগরায়া দিতেছে
সুরায়েজের লাইনের ভিতর দিয়া
আমি পড়তেছি, হইতেছি
নদী-দূষণ
পরিবেশ ধ্বংস কইরা
ফেলতে চাইতেছি; কিন্তু
চাইলেও তো পারতেছি না
এতো বেশি, কারণ
আমি তো একটুখানি
ময়লা পানি, খালি
টক্সিক একটা
রিলেশন
ওয়েট কইরা আছে এক বাটি দুধদুধ’টা দুধ হইয়া আছে, বিষ হইতে পারতেছে না!
কালো
মেঘের
আলোঅনেক
বাতাস
আলু-
থালু
বাজ
পড়ে
আর
দেখি
তখন
অনেক
দূরের
দালান-
গুলায়
কালো
কালো
একটু
আলো
শোনো,
(শু ন তে ছো ?)
আমার
তো
আর
লাগে
না
ভালো!
আমি জানি
বাইরে তুমি
মাঝে মধ্যে হাঁটতে যাইতে
পারো তো! ধরো,
যেইরকম বাজার
করতে গেলা; চা’র দোকানে
সিগ্রেট কিনতে গিয়া
দেখলা চারপাশ
একই তো রকম! বা
হয়তো বদলাইতেছে
দেখি না আমরা আর
ভাবি, আমি তো জানি!তোমার জানা’র ভিতরে
দেখো, কেমনে
বন্দী হয়া আছি আমি!
আর তুমি হাসতেছো,
বলতেছো বারবার
নিজেরে, আমি জানি, আমি জানি…
ভাঙে নাইযেন রইদ
উঠে নাই
যেন জিরাফ
তার গলা
নিচু কইরা
খাইতেছে না
উঁচা কোন
গাছের পাতা
যেন কোন সকাল-
বেলা নাই আর
যেন হুট কইরা
দুপুর, বিকাল’টা
টুপ টুপ আর
পুরাটা রাত
বইসা থাকি
আমরা
আমাদের
অপেক্ষার
ভিতর
চু প চা প
দেখি, তারা’রা
খসে পড়তেছে
রাতের চাদর থিকা
যেন
সা রা টা ক্ষ ণ
তুমিও বলতেছো,
এইবার ঘুমাও
আমার চাঁদ…
এখন সকাল
রিকশা-ভ্যানে কইরা সব্জি ও ফল
যাইতেছে কাছের বাজারেএখন সকাল।
রাতা-মুর্গি’টা ডাকতেছে
ক্কুক্কুরও কুুউউউ
ধান কাটা হয়া গেছে…
পাড়ার চা’য়ের দোকানে
পর্দা ছাড়াই চা খাইতে বসছে একজন,
বিশ রোজা পার হইছে বইলা
দোকানে দোকানে
একটু একটু বাড়তেছে
কেনা-কাটার ভীড়
বাতাস বইতেছে
ধী রে
কাঁঠাল বনের ধারে
বেলাবো’তে
এ খ ন স কা ল
তারা আমিমারা গেছি
যার আলো
নিভে গেছে
তুমি তো
অনেক দূর
থিকা
দেখতেছো
অনেক বছর
আগের
আমারে, আর
ভাবতেছো;
“কেন যে
মলিন
হয়া আসতেছে
তারা’টা আমার?”
আমার
মরা’র খবর
তোমার কাছে
আসতে আসতে
হয়তো
মারা যাবা
তুমিও।
দুইটা
মরা
তারা
আমরা
প্লিঙ্ক ফ্লয়েডের
গানের ভিতর
ভাসতেছি
সময় নদীর ঢেউয়ে
কাছে আসতে
আসতেই আবার
দূরে চলে যাইতেছি
কোন এক
হাঙরের
মুখের আন্ধারের
লাইগা
ওত পাইতা আছি
দিস ইজ ওয়াটার
দিস ইজ ওয়াটার
একটা মরুভূমি’তে
কয়েকটা ক্যাকটাস
চিল্লাইতে চিল্লাইতে
ফুল ফুটায়া ফেলতেছে
আমি
একটা দূরের তারা
তোমার চোখের ভিতর
তোমার ঘুমের ভিতর
তোমার ড্রিমের ভিতর
তোমার দেখা আর না-দেখার ভিতর
জন্মাইতেছি
আ বা র
মারা যাওয়ার
৪০ বছর পরে
যখন আমরা কবিতা
লিখতে শুরু
করি, তখন
উনার একঘেঁয়েমি
সুর’টারেই কবিতা
মনে হইতো আমাদের; আর
এখনো ‘অঘ্রাণের মাঠে’
বইলা কিছু আছে,
আমাদের মনেহয়;
যদিও এই মনে-হওয়া
ইনোসেন্ট না
এতো; আমরা তার
কলকব্জা দেখতে গিয়া
দেখি, একটা
বরিশালই হয়তো
শুকায়া আসতেছে
তার কলকাতা’র
ভাড়া করা
আধুনিকতার ভিত্রে;
কিন্তু এই ফিল’টাও
করতে পারি,
যে কোন একটা
একটা শহর বা স্পেইস
একজন কবি
থাকেন
বইলাই
সেইটা
একটা শহর বা
স্পেইস হইয়া উঠে;
আর আমরা
ঘুরতে ঘুরতে
জীবনানন্দের
কবিতার ভিতর
দেখি, কতো যে শহর
গ্রাম আর হাজার বছর
হাজার বছর হয়া
উঠতেছে, আর
জীবনানন্দ
হাঁটতেছেন
একজন
সাবজেক্ট হয়া
যিনি সাবজেক্টের
পেরেশানি
নিতে চাইতেছেন
না
আর, টাইম আর
টাইমে ঘুইরা
বেড়াইতেছেন;
বলতেছেন,
তোমরাও
দেখো!
তবুও…
দেখো, আমি আসছি আবারসন্ধ্যার গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির ভিতর
নিভে যাইতেছে দৃশ্যগুলা
লাইটগুলা কি জ্বালাবো আমরা?
লাইটগুলা আর না জ্বা লা ই আ ম রা…
বাইরে থিকা অন্ধকার হঠাৎ একটা চিতাবাঘের মতন
ঢুকে পড়লো ঘরে আমরা’র; না আলো, না অন্ধকার
ডার্ক হিউমার, ডার্ক হিউমারের মতন হাসতেছে, তোমার চোখগুলা…
Leave a Reply