পিংক ফ্লয়েড
আমরা
দুইটা ফিশ-বৌল
দুইটা আলাদা দুনিয়ায়
একটাই মাছের স্বপ্ন
দেখে যাইতেছি
সা রা জী ব ন
টাকার কবিতা
আমরা টাকা চিবায়া খাবো
অনেক অনেক টাকা থাকবে আমাদের কাছে
ব্যাংকে যদি টাকা না থাকে
নতুন কইরা ছাপায়া দিবে তো গর্ভমেন্ট
টাকা নাই মানে! টাকা ছাপানো কোন ঘটনা নাকি!
টাকা দিয়া ফুলকপি, টমেটো বানাবো আমরা
টাকা দিয়া বাজারে বাজারে ডিসপ্লে কইরা রাখবো
ডিম, মাছ, মুর্গি আর গরুর মাংস
পেঁয়াজ, মরিচ, লবণ, তেল
আর যা যা কিছু লাগে আমাদের
টাকা দিয়া বানানো ব্যাগে
টাকা-ভর্তি কইরা টাকার জিনিসপত্র নিয়া আসবো!
আর কতো টাকা লাগবে দেশের মানুশের!
এতো এতো টাকা ছড়ানো সারাদেশে
মানুশ টাকা চিবায়া খাইতেছে না কেনো, এখনো!
খালি টাকা আর টাকা আর টাকা দিয়াই তো দুনিয়া ভরা!
এরপরেও গরিব, ছোটলোকগুলা নাকি টাকাঅলা হইতে পারতেছে না!
এরা কোনদিনও বড়লোক হইতে পারবে না!
আমাদের মতো টাকা চিবায়া খাইতে পারে না এরা
খালি ভাত খাইতে চায়, ভোট দিতে চায়
টাকার মূল্য বুঝে না!
আরে, টাকা থাকলেই তো হয়!
অনেক অনেক টাকা ছাপাইতেছি আমরা
এখন থিকা ভাতের বদলে টাকা খাবা তোমরা
এতোদিন উন্নয়ন খাইছো, এখন টাকা খাও,
বাংলাদেশের মূর্খ, অশিক্ষিত জনগণ!
আমি স্বপ্ন দেখি মধুমালার মুখ রে
বটগাছের ছায়ায় শুয়া আছি,
দুপুরবেলায়
আমার গরু আর বাছুরগুলা
ঘাস খাইতেছে সামনে
নদীর পানির ঢেউ গান গাইতেছে
আমি শুনতেছি স্বপনে তোমার কথা
তুমি বলতেছো, শোনো,
আমি তো তোমারে ভালোবাসছিলাম!
তুমি নাইওর আসছিলা, আর
চলে যাইতেছো আবার জামাইয়ের বাড়ি
তোমার কোলের বাচ্চাটা কানতেছে
দুধ খাইতে চাইতেছে তোমার
তুুমি আমার দিকে তাকায়া আছো, শেষবার
জীবনে আমাদের আর কোনদিন দেখা হবে না
তুমি বুড়ি হবা, আমিও বুড়া হয়া তারপরে মরবো
কিন্তু আমাদের আর কোনদিন দেখা হবে না
স্বপনের ভিতরেও তোমারে পাবো না আমি
আমি বটগাছের ছায়ায়
শুয়ে শুয়ে তোমার কথা ভাবতেছি
স্বপনের ভিতর যেন আমি তোমারে পাইতেছি
তুমি হাসতেছো, আর
আমারে বোবায় ধরছে, আমি তাকায়া আছি খালি
যেন আমি এই স্বপনের বাইরের কেউ
আমাদের দুইজনরেই দেখতেছি
একটা বটগাছ হয়া বইসা আছি আমি
আমারই ছায়ায় আমি ঘুমাইতেছি
তুমি আসতেছো আমার কাছে নদীর ঢেউয়ের মতো
একটু দূরে আইসা থামতেছো
এইটুকই, আমাদের জীবন এইটুকই তো
দুপুরবেলায় আবছা ঘুমের ভিতর ঝাপসা একটা স্বপন
বাতাসে দুলতেছে একটু একটু
সকালের কুয়াশা
একটা কুয়াশা আইসা দাঁড়াইছে হাইওয়েতে
বলতেছে, দেখো, আমি আসছি!
আর একটা ডিজ-এপিয়েরেন্সের ভিতরে শে হারায়ে ফেলতেছে নিজেরে
বিকাল
একটা গাছের ছায়া
লম্বা হইতে হইতে হারায়া যাইতেছে অন্ধকারে
গাছটারে বলতেছে, “কই,
তোমারে তো দেখি না আমি,
তুমি তো নাই!”
সময়ের দৌড়
সময়ের সাথে দৌড়াইতে দৌড়াইতে আমি টায়ার্ড
আমি খরগোশ হয়া শুইয়া আছি
আর দেখতেছি সময় কচ্ছপ হয়া চলে যাইতেছে
৫০০ বছর দূরে
আমি ৫০ বছর পার করার আগেই টায়ার্ড
ভাবতেছি, বরং আরেকটু ঘুমাই
আমার তো সময় আছেই,
অথবা আমার আর সময় নাই,
আমার সময় নিয়া দৌড়াদৌড়ি করতেছে একটা খরগোশ আর কচ্ছপ…
Leave a Reply