নোটস: জুলাই, ২০২৩

জুলাই ০১, ২০২৩

Break Point

১. ঈদের ছুটিতে Break Point’র ১০টা এপিসোড দেইখা শেষ করলাম। স্পোর্টস ডকুমেন্টারি হিসাবে ভালো হইছে জিনিসটা। টেনিসের কয়েকটা গ্যান্ড স্লাম ট্রফি নিয়া বানানো।

২. নরমালি যেইরকম হয়, স্পোর্টস ডকু-তে তো কোন না নো হিরো’রে হাইলাইট করা হয়। এইখানে ঘটনা এইরকম না; মানে, হিরো আছে, হিরোজম-ও আছে; কিন্তু ফেইলওরও আছে। অনেকটা যেন অডিয়েন্স’স পিক; একজনরে ফলো করতে থাকলেন টুর্নামেন্টের শুরুতে, কিন্তু দেখা গেলো সে/শে জিততে পারলো না, শেষে। জয়-পরাজয় না, ইভেন্টস হইতেছে গিয়া সেন্টার ঘটনা।

৩. মাল্টিপল প্লেয়ার আছে এইখানে; বেশিরভাগই টপ টেনের লোকজন; কিন্তু সবাই গ্রেট না। গ্রেট এবং এভারেজের ডিফরেন্সটাও আসলে টের পাওয়া যাইতেছে। যেমন, আমার ভাল্লাগছে Iga Świątek’রে। ফানি, উইটি এবং কম্পোজড বইলা না, এইটা হইতেছে নরমালিটি একটা তাঁর কাছে, এইরকম গ্রেট হওয়াটা। অন্যরা, অনেকেই নরমাল হিসাবে, ইন্টারনাল অবস্থা হিসাবে নিতে পারতেছে না! যেন এইটা বাইরের একটা জিনিস, যা এচিভ করা লাগবে! আর ইগা’র ঘটনাটা হইতেছে ইন্টারনাল; আমার ভিতরে তো আছে জায়গা’টা, অইখানে থাকতে পারতে হবে। আর অন্যরা, অনেকেই অই জায়গাটাতে যাওয়ার ট্রাই করতেছে, এইরকম।

৪. টনি নাদালের জায়গাটাও ইন্টারেস্টিং লাগছে। সে ফ্যামিলি’রে ছাড়তে রাজি না! কয়েকটা দামি কথা বলছে সে; যে, আপনি যদি কাউরে রেসপেক্ট না করেন, তার কাছ থিকা তো কিছু শিখতে পারবেন না! আর যদি কারোর দমের/প্রতিভার উপরে যদি আপনার বিশ্বাস না থাকে, তাইলে তো তারে মন থিকা কিছু শিখাইতে পারবেন না। এইরকম খুচরা কাহিনি সব এপিসোডেই কম-বেশি আছে।

৫. কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান নিক কিওরিঅস’রে যতোই জাস্টিফাই করা হোক, ভাল্লাগে নাই। বরং ফিল করা গেছে যে, এন্টারেটেইনিং ইজ ইরিটেটিং আসলে!

৬. ইন্টারেস্টিং লাগছে বেলারুশের Aryna Sabalenka-রেও। পলিটিকাল ক্রাইসিস কেমনে মানুশের পারসোনাল জায়গাটারে এফেক্ট করে, নার্ভাস-ব্রেক ডাউনের একটা কারণ হয়া উঠতে পারে, সেই জিনিসটারে (অবভিয়াসলি পশ্চিমাকরণের জায়গা থিকা) হাইলাইট করলেও জিনিসটারে ডিগ-ডাউন করা হয় নাই আসলে। যেইরকম Ons Jabeur’র কেইসটা ফার্স্ট আফ্রিকান, আরব ওমেন হিসাবে গ্লোরিফাই করা হইতেছে, সেলিব্রেট করা হইতেছে, কিন্তু একইসাথে টেনিস জিনিসটা যে একটা ইউরোপ-আম্রিকান গেইম, এই জায়গাটা ওভারলুক করতে পারাটা এতোটাই ইম্পসিবল যে, এই কারণেই যেন মিসিং!

৭. তবে গ্রেটনেসের জায়গাটাতে একটা সাজেশন কিছুটা চোখে লাগছে, যেইটা ক্রিস এভার্ট-ও বলতেছিলেন Ajla Tomljanović’র ব্যাপারে অনেকটা যে, টুউ মাচ পোলাইটনেস উইল কিল ইউর থিংকস! Taylor Fritz’র ব্যাপারেও ব্যাপারটা ফিল করা যায় অনেকটা যখন সে তার বাচ্চার সাথে আলাপের ব্যাপারে বলে যে, সে তো দুনিয়ার সেরা টেনিস প্লেয়ার না! এইটা তার পোলাইটনেসই এক রকমের। (সে যে কেন হলিউডের হিরো হইলো না 🙂 ) তো, ব্যাপারটা এইরকম না যে, উনারা পোলাইট বইলা গ্রেট না, বরং উনারা সার্টেন এরিয়ারে পুশ করার বাটনটা খুঁইজা পাইতেছে না আসলে।

৮. তো, টেনিসের ভালো-রকম একটা ডিসপ্লে হইছে ডকু’টা। নেরেটিভের ধরণটা লিনিয়ার না হয়া যে নানান দিক থিকা আগাইছে অইটা ভালো হইছে, সাসপেন্স ক্রিয়েট করতে পারছে। (ডকু-তে সাসপেন্স লাগে না বা না হইলেও চলে – এইটা খুবই ভুল-চিন্তা।)

৯. এমনিতে আমি তো ডকু-লাভার। একটা সময়ে যেইরকম খালি গল্প-উপন্যাস ছিল পড়ার বই, নন-ফিকশন ছিল খুবই পাইনশা; সিনেমাতেও আমার ধারণা ডকুমেন্টারি অই অবস্থাটাতে আছে এখনো; কিন্তু আরো অনেক ভাস্ট এরিয়া এক্সপ্লোর করার বাকি আছে আসলে, এইখানে।

অহংকার ও বিনয়

নীরদ চন্দ্র চৌধুরী একবার বলতেছিলেন যে, কিছু জিনিস যে উনি জানেন-বুঝেন,- এইটা তো ঈশ্বরের দেয়া জিনিস। এইটারে উনি অপমান করতে পারেন না; মানে, কেউ উনারে খোঁটা দিয়া কথা কইলো, হেনস্তা করলো – এইসব উনি নিতে পারেন-না না, বরং এইগুলা নিলে তো অই জিনিসটারে অপমান করা হয়। তো, এইটারে একভাবে উনার “অহংকার”র এগেনেস্টে সাফাই হিসাবে পড়া যাইতে পারে।

আবার, হারুকি মুরাকামি একবার বলতেছিলেন, উনি যে পপুলার হইছেন, ভালো নভেল লিখতে পারছেন – এইটা তো গড-গিফটেড জিনিস; তো, এই জিনিসটারে রেসপেক্ট কইরা উনার বিনয়ী হওয়া উচিত। এবং উনি এই কারণে আসলে বিনয়ী-থাকাটারে উনার দায়িত্ব মনে করেন।

মানে, দেখেন, একই বা কাছাকাছি জিনিস দাবি করতেছেন উনারা দুইজনই; কিন্তু আউটকামটা ডিফরেন্ট।

তো, ব্যাপারটা এইরকম না যে, নীরদ চন্দ্র চৌধুরী খারাপ লোক; মানে উনার চিন্তা-ভাবনার যেই ডিরেকশন, সেইটারে তো নেয়াটা মুশকিলেরই; এবং পলিটিকালি ভুলই মনে করি আমি, কিন্তু তাই বইলা উনার লেভেল অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং নিয়া ডাউট থাকাটা পসিবল না। উনি অনেক কিছু পড়ছেন-জানছেন-বুঝছেন কিন্তু যেই পলিটিকাল ডিরেকশনটাতে উনি ডিসিশান নিছেন, যেই বেইজটা থিকা বিচার করছেন, সেইটা খালি ভুল না, ভয়াবহ একটা জিনিস, ইন্টেলেকচুয়ালি। উনি সোশাল-রিকগনিশন অইভাবে পান নাই; মানে, পাইছেন, কিন্তু উনার পলিটিকাল পজিশন তো অইভাবে কেউ সাবস্ক্রাইব করে না, এবং এইটা যে ভুল – সেইটা মোটামুটি সবাই মাইনা নিছেন। তো, যতোটা না সার্পোট, ভালোবাসা তার চাইতে ‘স্ট্রাগল’, হিউমিলিয়েশনই বেশি উনার। যার ফলে উনি দেখছেন যে, উনার জায়গাটারে “প্রটেক্ট” করা লাগবে।

আর মুরাকামি এতো রিকগনিশন পাইছেন (যদিও নোবেল-টোবেল পান নাই, অইটা উনার ব্যাপারে এখন আর মেটার করে না আসলে) যে, উনি চাইছেন আরো বিনয়ী হইতে; যা কিছু পাইছেন, তার জন্য; কারণ অইটা তো গডের জিনিস, উনার না এতোটা।

এখন ভালোবাসা আমাদের বিনয়ী করে আর হেইট্রেট আমাদেরকে অহংকারি কইরা তোলে – ব্যাপারটা এইরকম না। 🙂 কনটেক্সটের একটা ঘটনা তো এইখানে আছেই। আপনি যখন একসেপ্টেড হইতে পারবেন – সেইটা তো আপনারে রিলাক্স করে, নিরব কইরা তুলতে পারে; আর যখন একসেপ্টেড হইতেছেন না, তখন তো ভোকাল হওয়া লাগে, ‘তর্ক’ করা লাগে। দুইটা একই জিনিস হয় না।

কিন্তু আমি বলতে চাইতেছি, আমাদের যেই জানা-বুঝা সেইটা সবসময় একই ডিরেকশনে কাজ করে না; অনেক সময় পিপলের ফর-এ (পুরষ্কার-টুরস্কার না বা পপুলারিটি না) বা পিপলের এগেনেস্টে (এইটার ডমিনিনেটিং থট-প্রসেসের লগে মিলায়া ফেইলেন না) কাজ করে। এখন স্রোতের-বিপরীতে আছেন বইলাই আপনি সত্যি-কথা বলতেছেন – ব্যাপারটা কখনোই এইরকম না, বা আপনি যে সত্যি-কথা বলতেছেন, এই কারণে অনেক ভোট পাইতে হবে আপনারে! ঘটনা হইতেছে যখনই আমরা একটা এভারেজ আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের জায়গার বাইরে গিয়া চিন্তা ও কাজ করতে থাকি, সেইটা আর কমন কোন ঘটনা থাকে না; অহংকার ও বিনয়ের জায়গা সেইখানে চইলা আসে। কিন্তু ঘটনাটা কখনোই কি রি-একশন আপনি দিতেছেন – সেইটাতে না।

এই কারণে আমি এইটাও বলতেছি না যে, অহংকারী হইয়েন না! বা বিনয়ী হইয়েন না! বরং যখন অহংকার করার বা বিনয়ী হওয়ার জায়গাটা চইলা আসে তখন সাবধান হওয়াটা ভালো। মেবি এইটা নিয়া তেমন কিছু করার নাই, অইটা একটা এক্সটার্নাল ঘটনাই।

তো, নিশ্চয়ই আল্লাহ আরো ভালো জানেন।

ব্যাপারটা এইরকম না যে, বিএনপি ছাড়া আর কোন বিরোধি-দল নাই, বরং যারা আছে তাদের উপর ভরসা করার মতো স্কোপ তো আসলে কমই। পুরান যারা আছে – জাতীয় পার্টি, জাসদ, সিপিবি, ইসলাম আন্দোলন – এদের পিপল-বেইজ যতোটা নাই তার চাইতে বেশি হইতেছে পলিটিকালি এরা যে ডেমোক্রেটিক না এবং আওমি-লিগের বি-টিম হইতে রাজি আছে – সেইটার প্রমাণ বহুবার বহুভাবে দিছে এরা। এরা বাকশালেরই এলায়েন্স, কোন বিরোধি-দল না। জামাতে ইসলামি নিয়া অনেকের কনফিউশন আছে; কিন্তু কনফিউশনের তেমন কিছু নাই আসলে। এই দলটারে মেসমার কইরা দেয়া হইছে, এখন যেই স্ট্রাকচার’টা আছে, সেইটার বিরোধি-দল হওয়ার মতো জায়গাতেই আসলে নাই। এখনকার পলিটিকাল রিয়ালিটিতে, জুলুম এড়ায়া গিয়া জামাতে ইসলামি’র ভিজিবল হওয়াটাই মুশকিল, বিরোধি-দল হওয়া বা সরকার পতনের আন্দোলন করা তো মোটামুটি ইম্পসিবল ঘটনাই। জামাতে ইসলামি এখনকার পলিটিকাল কনটেক্সটে রেলিভেন্ট কোন ফোর্স হওয়ার মতো জায়গাতে নাই।

নতুন যেইসব চেষ্টা আছে, রাষ্ট্রচিন্তা বা এবি পার্টি – তারা তাদের ‘বামপন্থী’ এবং ‘ইসলামি’ লিগাসির কারণেই পিপলের কাছাকাছি যাইতে পারার দল হইতে পারার চান্স কম। গণসংহতিও কম-বেশি একই কেইস, মানে, উনারা ‘তরুণ, মধ্যবিত্ত, বিপ্লবীদের’ দল, পিপলস পার্টি হওয়াটা উনাদের পলিটিকাল এক্টিভিটির মধ্যেই নাই, বা যেইভাবে আছে সেইটা নোটিশ করার মতো জায়গাটাতে যাইতে পারে নাই। এই জায়গাতে গণ-অধিকার পরিষদের অই ইচ্ছা’টা ছিল বা আছে। কিন্তু উনারা পলিটিকাল মেচুরিটির জায়গাতে তো স্ট্রাগলই করতেছেন আসলে। মানে, পিপল-অরিয়েন্টেড একটা পার্টি এখনো দাঁড়া করাইতে পারেন নাই; পারবেন – এই আশাও শুরুতে যেইরকম দেখা গেছিল, এখন বর্ষাকালের সূর্যের মতোই আরো গ্লুমি হয়া উঠতেছে দিনে দিনে।

মানে, আমি বলতে চাইতেছি বিএনপি ছাড়া তেমন কোন এফেক্টিভ পলিটিকাল ফোর্স যে মাঠে নাই বিরোধিদল হিসাবে, এইটা বিএনপি’র দোষ না; অন্য পলিটিকাল দলগুলার না পারা’র ঘটনাই। আর এই না-পারাটা একটা পলিটিকাল আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের রেজাল্ট, যেইখানে আওমি-লিগরে নন-ডেমোক্রেটিক এবং ফেসিবাদি দল হিসাবে আইডেন্টিফাই করার ব্যাপারে কিছুটা সন্দেহ এবং অনেকবেশি সুবিধাবাদিতা এখনো রয়া গেছে আসলে।

জুলাই ০২, ২০২৩

ঈদে যারা ঢাকা শহরে ছিলেন, (ফেমিলি-ফ্রেন্ডদের নিয়া রাস্তা-ঘাটে ঘুইরা বেড়ানোর বাইরে) কোন কোন পাবলিক স্পটে ঘুরতে গেছিলেন? আমার ধারণা টপ লিস্টে দুইটা জায়গা থাকার কথা – মেট্রোরেল আর পদ্মা-ব্রিজ।

মানে, আমি বলতে চাইতেছি এইগুলা হইতেছে রিক্রিয়েশন বা ঘুইরা-দেখার জায়গা; ইউটিলিটি তো আছেই, সেইটা এখনো এইগুলার মেজর পারপাস না। নতুন হইছে বইলাই মানুশ-জন খুশিতে-ঠেলায় ঘুরতে যাইতেছে। যত-ই ভুয়া সরকারি-ডেটা দিয়া জাস্টিফাই করার ট্রাই করার হোক, এখনো এইহবে-সেইহবে টাইপের ফিউচার-ড্রিমেই পইড়া আছে; আর অই ফিউচার আরো ফিউচারেই সইরা যাইতেছে।

বাকশালি-মিডিয়ার গোয়েবলসরা যতই এইগুলারে নেসেসিটি হিসাবে দেখানোর ট্রাই করুক বাকশালি-উন্নয়ন হইতেছে পিপলের এমিউজমেন্ট-পার্কের বিকল্প জিনিস কতগুলা।

জুলাই ০৩, ২০২৩

ফেইসবুকের একটা মেজর প্রবলেম হইতেছে, আপনার যারা পরিচিত, তাদের সবাইরে আপনার ফ্রেন্ড মনে করে। যেহেতু আপনি তারে চিনেন বা সে/শে আপনারে চিনে, তাইলেই যেন আপনারা ফ্রেন্ড, সবাই সবার আপডেট পাইতে চান! কিন্তু চিন-পরিচয়ের কেটাগরি তো এই একটাই না! নানান রকমের যেই ডাইমেশন আছে, সেইগুলারে এড্রেস করতে পারে না।

আবার অপরিচিত কাউরে যদি চিনতে চান তখন সার্টেন সেলিব্রেটি বা সেমি-পপুলার লোকজনরে রেফার করতে থাকে, যেইটার বেসিস হইতেছে আপনি যা করেন বা করছেন; মানে, কোনভাবেই আপনি আপনার অতীতের বাইরে যাইতে পারবেন না। নতুন একটা উইন্ডো কখনোই এইখানে ওপেন হবে না। আপনি যা জানেন না – সেইটা কখনোই জানাইতে পারবে না। সেইটা আপনারেই আসলে পয়লা ইনিশিয়েটেড করা লাগবে, কোন না কোনভাবে।

আর এইটা খালি ফেইসবুকের ঘটনা না, ইউটিউবেও, টুইটারেও। অলমোস্ট সবগুলা জায়গাতেই। যদি আপনি গজল শুনেন, আপনি কখনোই রক এন্ড রোলের সাজেশন পাইবেন না! এবং ভাইস-ভার্সা।

আরো মুশকিল হইতেছে, সেইম কাইন্ড অফ কনটেন্ট দিয়া এতোটাই অকুপাই কইরা রাখবে আপনারে যে, মনে হবে এইটাই হইতেছে পুরা দুনিয়া! আপনি যা চান, তার সবই এইখানে আছে-না না, আপনি এর বেশি কিছু চাইতে পারেন না আসলে!

যার ফলে একটা সার্টেন টাইম পরে যে কোন সোশাল-মিডিয়া প্লাটফর্মই সাফোকেটিং হয়া উঠতে শুরু করে। কারণ এইটা নিজে নিজে এক্সপান্ড করতে পারে না, এর সেন্টারে আপনি থাকেন, আপনার এক্টিভিটি থাকে; যদি আপনার এক্টিভিটি-তে নতুন কিছু তৈরি না হয় সোশাল-মিডিয়া প্লাটফর্মগুলা সেই ভেকুয়ামটারে ফুলফিল করতে তো পারেই না, বরং আরো চাপায়া দিতে থাকে আসলে।

জুলাই ০৪, ২০২৩

ভার্সিটি ভার্সেস সমাজ

এক.

২০০১/০২ সালের দিকে যখন সিলেটে থাকতাম তখন এই জিনিসটা ফার্স্ট খেয়াল করছিলাম, যে ভার্সিটির স্টুডেন্টদেরকে সিঅলটি লোকাল পাওয়ারফুল লোকজন খুব-একটা পছন্দ করেন না; মানে, হেইট করেন – এইরকম না, কিন্তু “পছন্দ” করেন না। ভার্সিটির স্টুডেন্টরাও  লোকাল লোকজনের লগে একটু ডিসটেন্স রাইখাই চলতো। মানে, একসেপশন যে নাই – তা না, কিন্তু ওভারঅল এইরকম একটা সিচুয়েশন বা ধারণা ছিল। কয়দিন আগেও (২০২২ সালে) দেখবেন, সাস্টের ঘটনায় লোকাল লোকজন আগায়া আসে নাই, ভার্সিটির স্টুডেন্টরাও ‘মুখ ফসকায়া’ তালেবান বইলা ফেলছিল লোকাল লোকজনদেরকে, উনাদের ফ্রিডম ক্লেইম করতে গিয়া।…

তো, এইটা খালি সিলেটের সাস্টের ঘটনাই না, ঢাকা ভার্সিটির শুরু থিকাই এই ঘটনা থাকার কথা। ঢাকার নবাব বাড়ির লোকজন কাজী আবদুল ওদুদরে নাকে খত দেয়াইছিলেন বইলা শোনা যায়, ইকনোমিকসের টিচার হিসাব উনি যখন কইছিলেন, মহাজনের সুদের চাইতে ব্যাংকের ইন্টারেস্ট বেটার, এইরকম।… জাহাঙ্গীরনগরেও আবছাভাবে মনে পড়ে যে, একটা সময় আশে-পাশের গেরামের লোকজনের লগে মারামারি হইতো। মানে, বাংলাদেশের ভার্সিটিগুলা খালি “ইয়াং পিপলদের ফ্রি-স্পেইস”-ই না যেইখানে “অশিক্ষিত, কুসংস্কারচ্ছ ও পশ্চাদপদ” সমাজের সাথে তারা ফাইট করতেছে; বরং এইখানে আরো কিছু ঘটনা আছে, যেইটা একটু খেয়াল করা দরকার আমাদের।

বাংলাদেশের এডুকেশন সিস্টেম, পলিটিক্স এবং সমাজের বাইরের ঘটনা না এইগুলা। এটলিস্ট তিনটা জিনিস আমি এইখানে দেখতে পাই।

এক, ভারসিটির স্টুডেন্ট এর বিপরীতে  “সমাজ” বইলা এমন একটা জিনিসরে আইডেন্টিফাই করা যেইটা হইতেছে আদতে ভিলেন! যেহেতু ফরমাল এডুকেশন, পড়াশোনা বা জ্ঞান মানেই হইতেছে ‘মর্ডানিটি’র একটা ঘটনা, সেইখানে আপনি ‘শিক্ষিত’ মানেই হইতেছে আপনি ডিফরেন্ট একটা কিছু, সমাজের অন্য মানুশের মতো না, যারা ‘জানে-না’। অই ‘না-জানা’ ‘অশিক্ষিত মানুশগুলা’ হইতেছে সমাজ! ‘শিক্ষিত’ হিসাবে আপনি অই সমাজের বাইরের ঘটনা। কলেজ, ভারসিটিগুলাতে এই ট্যাবু খুব স্ট্রংগলিই আছে না, এই ট্যাবু মেইন আইডেন্টিটির একটা পার্ট।

অথচ ঘটনা হইতেছে, এইরকম ‘অশিক্ষিত’ লোকদের নিজেদেরও তেমন কিছু করার নাই আসলে ‘সমাজ’ নিয়া, বরং উনারাই হইতেছে পাওয়ারলেস অংশটা! ‘অশিক্ষিত’ এবং ‘গরিব’ লোকজন ‘সমাজ’ এর ডিসিশান-মেকার না, বরং এগজিস্টিং পাওয়ার-স্ট্রাকচারেরই ফলোয়ার। মর্ডানিটি উনাদেরকে ‘মুক্তি’ দিবে না, বা উনাদেরকে আইডিওলজিকালি নিতে পারে না – এইটাও মেবি উনারা টের পাওয়ার কথা। যার ফলে, ‘শিক্ষিত’ মানুশদের লগে সমাজের ‘অশিক্ষিত’ মানুশদের কোন ডিসটেন্স নাই – এই জিনিসটা সত্যি কথা না। কিন্তু উনারা এটলিস্ট পলিটিকালি একটা দল আরেকটা দলের দুশমন না।

এইখানে আসে সেকেন্ড পয়েন্ট’টা। যে, ‘শিক্ষিত লোকজন’ ‘সমাজ-ঘৃণার’ নামে গরিব ও ছোটলোকদের দিকে ঘৃণা কেন জারি রাখেন তাইলে? ধরেন, বাস-মালিকদেরকে দোষ না দিয়া কেন ছরমিকদের দোষ দেন? বা ‘গরিব’ ও ‘ছোটলোকরা’ কেন ভার্সিটির স্টুডেন্টদের নিজেদের লোক মনে করে না?

ভিজিবিলিটির একটা ইস্যু তো আছেই, যে মালিকের চাইতে ম্যানেজার বেশি খারাপ। এর বাইরে, এইটা পাওয়ারের জায়গাটা মোস্টলি ইনভিজিবল এবং আন-কোশ্চেনড থাকার জায়গা আছে। ভার্সিটির স্টুডেন্ট হিসাবে আপনি যদি না বলেন যে, সমাজে কেউ পাওয়ারফুল না হইলে রেইপ করতে পারে না! তাইলে তো সরাসরি পাওয়ারের লগে কনফ্লিক্টে চইলা গেলেন। কিন্তু আপনি যদি বলেন, “সমাজের অশিক্ষিত পুরুষেরা” রেইপ করে, তাইলে তো সাপও মরলো, লাঠিও ভাঙ্গলো না। পুরুষ তো আছে, প্যার্টিয়ার্কিও আছে, কিন্তু পাওয়ারও আছে, সেইটা না-বলাটা পলিটিকালি সেইফ রাখতে হেল্প করার কথা।

মানে, এইটা খুব কনশাস জায়গা থিকা ঘটতেছে – তা না, একটা সাব-কনশাস 🙂 এওয়ারনেস কাজ করার কথা। কিন্তু এতে কইরা যা হয়, পাওয়ারের জায়গাটারে এভেয়ড করার ভিতর দিয়া সমাজের একটা ইস্যু খুব কম সময়েই ভার্সিটির স্টুডেন্টদের ইস্যু হয়া উঠতে পারে এখন। একইসাথে ভার্সিটির স্টুডেন্টদের ইস্যুরে একটা ক্লাসের সমস্যা হিসাবেই ভাবতে পারার কথা (“সমাজ” বা “এলাকাবাসী”র না, বরং সমাজের) গরিব ও ছোটলোকদের।

এইখানে একটা ডিস-কানেকশন তৈরি হইছে। এইটা হইতেছে আমার থার্ড পয়েন্ট’টা। এইটা যেইভাবে বটবৃক্ষ হয়া উঠছে, সেইটা “আমরা রাজনীতি বুঝি না” এবং “আমরা রাজনীতি করি না” বা “খারাপ লোকরাই রাজনীতি করে”র একটা আউটকাম।

দুই.

কিন্তু এই ‘ফ্রিডম’ তো আর ভার্সিটির স্টুডেন্টের মেইন পুঁজি বা কেপিটাল না? কিভাবে তারা একটা পাওয়ারফুল ফোর্স হয়া থাকেন, সমাজে? উনারা ইয়াং, মানে রিপ্রডাকশন করতে পারেন – এইটা তো আছেই, এর বাইরে উনাদের পুঁজি হইতেছে – ফিউচার।

আপনি ভার্সিটিতে পড়েন, তার মানে হইতেছে আপনি বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবেন, সরকারি-চাকরি পাইতে পারার চান্স বেশি, ‘উচ্চশিক্ষার’ জন্য বিদেশ যাইতে পারবেন, সোসাইটির আপার-ক্লাসে একটা একসেস তৈরি হইতে পারবে আপনার। এবং মেবি আপনি একটা শিক্ষিত-পরিবার থিকা আসছেন, যারা সোসাইটির এলিট-সমাজ না হইলেও কম-বেশি পাওয়ারফুল অনেকের লগেই কানেকশন আছে। এবং

ভার্সিটিতে পড়ার ভিতর দিয়া অই ক্লাসটাতে একসেস তৈরি হয় আপনার-আমার।

ভার্সিটি-পাশ হইতেছে বাংলাদেশের সমাজের (সেকুলার-টার্মে) এলিট (হিন্দু-র্টামে) ব্রাহ্মণ, (মুসলিম-টার্মে) আশরাফ। এইটাই হইতেছে এর সোশাল ও কালচারাল পুঁজি। যেইটারে ইকনোমিক সাকসেসের জায়গাটাতে কনভার্ট করাটা সহজ, এবং এক্সপেক্টেড। কিন্তু অন্য সব জায়গা থিকা কোন না কোনভাবে “আলাদা” না হইতে পারলে তো এই জায়গাটারে ক্লেইম করা পসিবল না।

মানে, আপনি সার্টেন ইকনোমিক ক্লাসে বিলং করেন বইলা খালি সার্টেন সোশাল-স্টেটাস এনজয় করেন না; সার্টেন সোশাল-স্টেটাসের কারণেও ইকনোমিক অপারচুনেটি গেইন করতে পারেন তো! এই জায়গাটা আমার ধারণা বেশ আন্ডারমাইনই করা হয়। আর এইটা হইতেছে ভার্সিটিতে পড়াশোনা করার কি-ফিচার।

আপনি ভার্সিটিতে পড়াশোনা করছেন মানে আপনি একজন “অগ্রসর” মানুশই না, আপনার ইকনোমিকালি সাকসেসফুল হওয়ার চান্সও আসলে বেশি। এইটা সোশালি-সুপিরিয়র পজিশন-ই না খালি, বরং এক ধরণের সোশাল-সুপরিয়রিটির ভিতর দিয়া এইটা এফেক্টিভ থাকে। আর জ্ঞান-বিজ্ঞানের বাইরে ভার্সিটির সোশাল-পলিটিকাল ইমপ্লিকেশনের জায়গাটারে ইগনোর করাটা ঠিক না আর কি!

জুলাই ০৬, ২০২৩

মনিপুরে আজকে দুইমাস ধইরা “সংঘর্ষ” চলতেছে। অইটা নিয়া বাংলাদেশের নিউজ-মিডিয়া এবং ফেইসবুকের নিউজ-ফিডে “আশ্চর্য” রকমের একটা নিরবতা আছে।

তো, একটু খোঁজ-খবর নিয়া দেখলাম অইটা মোটামুটি “শাহবাগ”-টাইপের ঘটনা – মানে, কালচারাল কনফ্লিক্টরে পলিটিকাল আনরেস্টের একটা টুল বানায়া এর বেনিফিট নেয়া।

অনেকেই বিজেপি’রে এবং দিল্লীরে দোষ দিতেছেন যে, তারা প্রবলেমটারে বরং জিয়াইয়া রাখতে চাইতেছে। এই কালচারাল কনফ্লিক্টটা পলিটিকাল আনরেস্ট হিসাবে যত প্রোলঙ হবে, কেন্দ্রের শাসনের “যৌক্তিকতা” তত জোরালো হইতে থাকবে আসলে। আর এইটা জরুরিও মনেহয় দিল্লীর জন্য।

মানে, ফরম্যাট’টা পরিচিত লাগতেছে আমার কাছে। কোন একটা কালচারাল কনফ্লিক্টরে বাইছা নেয়া, তারপরে সেইখানে আগুন লাগায়া তারে বাড়তে দেয়া এবং পলিটিকাল আনরেস্টের ঘটনা কইরা তোলা, সমাধান হিসাবে একটা টোটালিটেরিয়ান রিজম-রে মাস্ট কইরা তোলা ও “বৈধতা” দেয়া আর ফাঁকতালে লিবারাল ভার্সেস ফেসিবাদ নিয়া “তর্ক”র নামে চিটচেট কইরা টাইম-পাস করা।

দুনিয়াতে আরো কিছু জায়গাতে এই পেটার্নটা খেয়াল করা যাইতে পারে মনেহয়। কিন্তু রাইট নাউ, মনিপুরে ঘটতেছে এইটা।

জুলাই ০৯, ২০২৩

মিরপুরের মেট্রোরেলে তো অনেকেই চড়ছেন, কিন্তু মেট্রোরেলের নিচের রাস্তা দিয়া কি কেউ যাওয়া-আসা করেন না এখন? 🙂

আমার যাওয়া লাগলো গত সপ্তাহে। মিরপুর দশ নাম্বার থিকা আগারগাঁ’র আগ পর্যন্ত। ঈদের পরের উইক বইলা রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম ছিল না তেমন। কিন্তু বৃষ্টির দিনেও গরমের ভাপ বাইর হইতেছিল। দুইপাশে বিল্ডিং, উপরে মেট্রোরেল, বাতাস আসা-যাওয়ার কোন উপায় নাই। মনে হইতেছিল যেন চুলায় বসানো পানির ডেকচি থিকা গরম বাতাস বাইর হইতেছে। আর অন্ধকার-অন্ধকার একটা ব্যাপার তো আছেই। যেন ছোটখাট একটা দোজখ!

মানে, ফিলিংস তো ভুল হইতেই পারে আমার; কিন্তু যারা ডেইলি আসা-যাওয়া করেন বা করবেন, তাদের ফিলিংসটা কি রকম? সবাই কি মেট্রোরেলেই চড়েন অই এলাকায় যাওয়া-আসা করতে গেলে, নিচের রাস্তা দিয়া কি চলাফেরা করেন না? নিচের রাস্তা এখনো যাত্রাবাড়ির ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তার মতো ভাঙা-চোরা হয় নাই, কিন্তু এক রকমের সেকেন্ড-ক্লাস সিটিজেন হয়া উঠছে মনেহয়, যেইখান দিয়া গেলে একটা ইনফিরিয়টি ফিলিং হইতে থাকবে। ফ্লাইওভার আর মেট্রোরেলের শহরে এইটা খেয়াল না করতে পারাটা একটু মুশকিলেরই মনেহয়।

জুলাই ১১, ২০২৩

কন্সপিরেসি নিয়া আমার ইন্টারেস্ট সবসময়ই কম। কিন্তু দেশে পলিটিক্স নাই কইরা দিয়া কন্সপিরেসিরেই পলিটিক্স নামে চালানো হইতেছে। এইটা খুবই স্যাড একটা ঘটনা।

তবে যতদূর আমি বুঝি, একদম স্ট্রেইটকাট না হইলেও বেশিরভাগ কেইসে গোয়েবলসরা যেইসব জিনিসরে হাইলাইট করে, বিশ্বাস করাইতে চায়, সেইসব জিনিস এভয়েড করাটাই ভালো।

সেই জায়গা থিকা দেখলে, ইজরাইলি গুপ্তচর নিয়া যেই হাইপ চলতেছে সেইটা মোস্ট সার্টেনলি একটা বাকশালি-ট্রিক। বাংলাদেশে ইজরাইল-লবি’র লগে সবচে ক্লোজ কানেকশন হইতেছে আওমি-লিগের। হিউজ একটা পারচেস করছে বাকশাল ইজরাইলের কাছ থিকা। যার লগে একটা ফ্রি-গিফট হিসাবে মেবি এই থার্ড-ক্লাস মাল’টারে পাইছে। বা বাকশালি-মিডিয়া এইটারে এসোসিয়েট কইরা অই পারচেসের কিছু কমিশন খাইতে চাইতেছে।

এইসব অনুমান ঠিক প্রমাণ করতে যাওয়ারও কিছু নাই। কিন্তু ইজরাইলের লগে রিসেন্ট রিলেশন তো বাকশালি-গর্ভমেন্টই একভাবে আন-অফিসিয়ালি ওপেন করছে। তো, এইখানে ফার্স্ট কানেকশন আওমি-লিগেরই থাকার কথা।

মানে, এইসব আলাপ যে কিছু যায় আসে না, সেইটা মার্ক করতে পারাটা তো হইতেছে সবচে দরকারি কাজ, একভাবে।

বাংলাদেশি গোয়েবলস/অশ্বত্থনামা হতঃ, ইতি গজ ১

জুলাই ১১, ২০২৩


বাংলাদেশি গোয়েবলস ডেইলি স্টারের বিজনেস পেইজের আজকের মেইন গ্রাফ’টা দেখেন! (কমেন্টে দিতেছি।) কি মনে হবে? অর্ধেক ব্যাংকের পোর্টফোলিও তো ভালো! অল্প একটু খারাপ আছে, সেইটা কষ্ট-মষ্ট কইরা একটু ঠিক কইরা নিলেই হবে! অথচ ঘটনা হইতেছে, ফরেন কর্মশিয়াল ব্যাংকের পোর্টফোলিও ৫%-এর বেশি না। আর স্টেট-অউডন আর স্পেশালাইজড ব্যাংকের পোর্টফোলিও ২৫%- ৩০% এর মতো। প্রাইভেট কর্মাশিয়াল ব্যাংকের এনপিএল নাম্বারও ডিক্লেয়ার করা হয় এটলিস্ট তার ডাবল। সেইটা যদি কন্সিডার না-ও করেন, ব্যাংকের ১০%-এর মতো লোনের টাকা হুদাই দেখানো হইতেছে, যেইটা কোনদিনই ফেরত আসবে না। অথচ এই ইন্ট্রিগ্রেটেড ফিগার নিয়া কোন কথাই নাই! মেনশনও করা হয় নাই! একটা যোগফল থাকবে না, ডেটার!

যদি এই টেম্পারড ডেটার বদলে একচুয়াল হিসাব করতে যান তাইলে নাম্বার’টা ২০% কম হওয়ার কথা না। এরপরে লুটপাটের যেই সুযোগ দেয়া হইছে, সেই ডিটেইলসে না হয় গেলামই না! মানে, ঘটনা হইতেছে ব্যাংকে যেই টাকা আছে বইলা দেখানো হইতেছে তার এটলিস্ট ৫ ভাগের ১ ভাগ-ই আসলে নাই।

অথচ গোয়েবলস কেমনে জিনিসটা প্রেজেন্ট করতেছে দেখেন! এইগুলা স্রেফ চালাকি করা বা হাফ-ট্রুথ বলা না, এমনভাবে বলা যেন মনেহয় সবকিছু ঠিকঠাকই চলতেছে! এইগুলা ফেক্ট-চেকিং নামের বলদামি দিয়া ধরতে পারবেন না আসলে। এবং ডেইলি যদি এই ডিএস আর পিএ’র নিউজ দেখেন এইরকমের গোয়েবলসীয় ঘটনাগুলা দেখতে পাইবেন।

জুলাই ১২, ২০২৩

টাকা-রুপি রুপি-টাকা

সবচে মজার জিনিস হইতেছে, বাংলাদেশের লোকজন ইন্ডিয়াতে জিনিস বেইচা ডলার না নিয়া রুপি-তে নিতে পারবে বা পেমেন্ট রুপিতে করতে পারবে; কিন্তু টাকা ইউজ করতে পারবে না! মানে, লাভ যদি কিছু হয় তার পুরাটাই ইন্ডিয়ার। এমনকি এই রিস্কও আছে ইন্ডিয়ার বায়ার আপনারে ডলার না নিয়া রুপি নিতে বাধ্য করতে পারে! তখন বাংলাদেশের এক্সপোর্টার’রা যারা ইন্ডিয়ার লগে বিজনেস করেন, তারা বিপদে পড়বেন।

কিন্তু আমরা যতটা না এক্সপোর্ট/ইনকাম করি তার চাইতে বেশি তো ইমপোর্ট করি বা খরচ করি ইন্ডিয়ার সাথে বিজনেসে। তার মানে ডলার বদলায়া রুপি দিবো আমরা এখন। ডলার না রাইখা রুপি রাখতে হবে এখন আমাদেরকে। 🙂 আর এইটাই হইতেছে আসল ক্যাচ’টা। ইন্ডিয়ার সাথে বাংলাদেশের ট্রেড-গ্যাপ মিনিমাম ১০ বিলিয়ন ডলারের, অই রুপি কই থিকা আসবে? যদি রুপি’র রিজার্ভ না থাকে?

তবে আমার ধারণা আসল ঘটনাটা অন্য জায়গায়। একটা হিউজ গ্রুপ অফ পিপল বাংলাদেশ থিকা ইন্ডিয়াতে ট্রাভেল করেন – মেডিকেলের জন্য, ঘুরা-ফিরার জন্য, এডুকেশনের জন্য, নানান কারণে। উনারা ডলার না কিইনা রুপি কিনবেন এখন। টাকা বা ডলারের বাইরের কারেন্সি হিসাবে রুপির আন্ডারে ঢুকবে বাংলাদেশের মানুশেরা। তবে বাংলাদেশেও রুপি-তেই বেচা-কেনা করা যাবে – এই নিয়ম মনেহয় নেকস্ট ইলেকশনে জিতার পরেই চালু হবে 🙂

জুলাই ১৩, ২০২৩

লেন্দুপ দর্জি কিভাবে সিকিম’রে ইন্ডিয়ার কাছে বেইচা দিছিলেন? ইলেকশন কইরা সংসদে বিল পাশ করায়া-ই সেই কাজ করছিলেন। কিন্তু ইলেকশন হইছিল ইন্ডিয়ান মিলিটারি’র “তত্ত্বাবধানে” 🙂 বাংলাদেশের কনটেক্সটে এইটা করাটা টাফ এখন।

কিন্তু মিলিটারির জায়গাটা প্রো-ইন্ডিয়ান আমলা ও মিডিয়া (ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো) দিয়া ফিল-আপ করা হইতেছে। যার ফলে, গোয়েবলসরে বিশ্বাস কইরা যেইরকম হিটলারের বিরোধীপক্ষ হইতে পারেন না আপনি, একইভাবে ডেইলি-স্টার ও প্রথম-আলো’র সাবস্ক্রাইবার হয়া নয়া বাকশালের ক্রিটিক করা পসিবল না আসলে; অইটা একইরকমের ফাঁপা ঘটনা হওয়ার কথা।

মানে, আমি বলতে চাইতেছি, ডেইলি স্টার ও প্রথম আলো যে আপনি দেখবেন না বা পড়বেন না – তা না, কিন্তু এরা যে বাংলাদেশের এখনকার কনটেক্সটে গোয়েবলস – এই আন্ডারস্ট্যান্ডিং ছাড়া বিরোধিতার ঘটনা ঘটতে পারার কথা না।

জুলাই ১৫, ২০২৩

অনেকেই, মানে যারা পাড় বাকশালি না, তারা এখন এক্সপেক্ট করতেছেন এবং বলতেছেনও যে, বিএনপি কেন কিছু করতেছে না! কিন্তু ব্যাপারটা তো আসলে বিএনপি’র কিছু করা না, মানে, পলিটিকাল পার্টি হিসাবে বিএনপি যা করছে সেইটা মোর দ্যান এনাফ। কথা হইতেছে, আপনি কি করতেছেন? দুয়েক্টা ফান করা বা উপদেশ দেয়া ছাড়া?

এইগুলা করা যাবে না – তা না, কিন্তু এইগুলা তো কোন পলিটিকাল স্ট্যান্ড নেয়ার ঘটনা না! এখন যখন বিএনপি’র দিকে পাল্লা ঝুলে পড়তেছে, এইজন্য প্রো-বিএনপি কিছু কথা-বার্তা বলাটাই ঘটনা, বেশিরভাগ কেইসে। বরং আসল কাজ হইতেছে প্রো-ডেমোক্রেটিক একটা পজিশন নেয়া। নিজের স্বাভাবিক বিচার-বুদ্ধির পক্ষে দাঁড়ানো। আর সেইটা করতে গেলে টের পাইবেন যে, এই নয়া বাকশালি প্রো-ইন্ডিয়ান ফোর্সটা যদি কন্সপিরেসির ভিতর দিয়া অবৈধ-ক্ষমতার জায়গাটারে কন্টিনিউ করতে পারে, দেশের অবস্থা আরো বাজে হবে। মানে, শয়তান তো কোনদিন ভালো হবে না! দে আর টোটাল ইভিল!

এখন এই ইভিলের এগেনেস্টে ফাইট করা তো বিএনপির কাজ না, আপনারও কাজ। এখন এইটা তো ট্রু যে, আপনি ভোকাল হইলে, পলিটিকাল স্ট্যান্ড নিলে, নয়া বাকশালের পতন হইলে বিএনপি-ই ক্ষমতায় আসবে; কিন্তু ঘটনাটা বিএনপি’রে ক্ষমতায় আনা বা ক্ষমতা থিকা দূরে রাখা না, বরং বাকশালি অবৈধ-শাসনের হাত থিকা নিজেদের বাঁচানোর ঘটনা। এখন বিএনপি’র ক্ষমতায় আসার ভিতর দিয়াই এইটা ঘটতে পারে বইলা এইটা বিএনপি’র একলার কাজ না। কোন কন্সপিরেসি না বরং পিপলস মুভমেন্টের ভিতর দিয়া যদি এই অবৈধ-বাকশালি সরকাররে ক্ষমতা থিকা সরাইতে হয়, তাইলে দেশের মানুশ হিসাবে সবাইরেই ভোকাল হইতে হবে আসলে। বিএনপি কি করছে, বিএনপি কি করতেছে – এই উৎসাহ-উৎকন্ঠাই এনাফ না।

জুলাই ১৬, ২০২৩

‘৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানরে কি কেউ আওমি-লিগের আন্দোলন বলবেন? (পাকিস্তানিরা বলতো, এখন চেতনাবাদিরাও বলবে কিছুটা, কিন্তু) অই মুভমেন্টের লিডিং পজিশন আওমি-লিগ থাকলেও অইটা তো ছিল বাংলাদেশের মানুশের রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসন ও অর্থনৈতিক সাম্য আদায় করার ঘটনা।

একইভাবে বাংলাদেশের এখনকার যেই আন্দোলন সেইটা হইতেছে বাকশালি-শাসনেন এগেনেস্টে ডেমোক্রেসির জন্য আন্দোলন; এর লিডিং পজিশনে আছে বিএনপি। কিন্তু এইটারে ডেমোক্রেসির জন্য মুভমেন্ট হিসাবে রিকগনাইজ না কইরা বিএনপির-আন্দোলন হিসাবে পরিচয় করায়া দিতে চাইতেছে বাকশালি-মিডিয়া এবং তার আছরে থাকা মিডিয়া-বুদ্ধিজীবীরা।

আমাদেরকে খেয়াল করতে পারতে হবে যে, এইটা খালি বিএনপির আন্দোলন না, বাংলাদেশের মানুশের মিনিমাম ডেমোক্রেটিক অধিকার আদায়ের মুভমেন্ট এইটা। আর বাকশালি-মিডিয়া ও বুদ্ধিজীবীরা এই ডিফরেন্সটা তৈরি কইরা রাখতে চায়। যেইটা আসলে তাদের “বুঝার ভুল” না, বরং বুদ্ধিবৃত্তিক অসততা, যা অনেকদিন থিকাই চালু আছে।

ইউনিয়ন পরিষদের একজন মেম্বারের সাথে কথা হইতেছিল। উনি শিক্ষিত, ইয়াং বা মাঝ-বয়েসি, ১০-১২ বছর জবও করছেন ঢাকায়। এখন এলাকায় চলে আসছেন। ৩ বছর হইলো। গত বছর ইলেকশন কইরা মেম্বার হইছেন। দুই-এক কথার পরেই বলতেছিলেন, ইলেকশন কইরা লাভ নাই ভাই! টাকা-পয়সা চাইতে পারি না, খাইতেও পারি না, খাওয়াইয়তে খাওয়াইতে জান শেষ! রোজার ঈদের সময় বাড়ি বাড়ি সেমাইয়ের প্যাকেট, পোলাওয়ের চাল, শাড়ি, লুঙ্গি দিতে হইছে; কুরবানি ঈদে গরু দিছি তিনটা, বাড়ি বাড়ি মাংস পৌঁছায়া দেয়া লাগছে। এইগুলা কইরা কি মেম্বারি করা সম্ভব!

তো, মেম্বার চইলা যাওয়ার পরে কমপ্লেইন করতেছিল তার এমপ্লয়ি, ২৭ লাখ টাকা খরচা কইরা ৬০০ ভোট পাইছে। আমি তো তার কর্মচারি, আমার কি পাওনা না কিছু! তা-ও কঞ্জুসি করে আমার লগে। তার কমপ্লেইনও রিয়েল আসলে।

মানে, গিইভ এন্ড টেইকে, মেম্বার টেঞ্জিবল জিনিস দিতেছেন, কিন্তু বিনিময়ে যা পাইতেছেন – ইজ্জত, সম্মান সেইটারে তো আবার টাকা-পয়সায় কনভার্ট করা যাইতেছে না! আর যারা টাকা-পয়সা পাইতেছে, এইটা তো দুইদিনেই শেষ হয়া যাইতেছে! দুই পক্ষেরই দিনশেষে তেমন কোন লাভ তো নাই!

ইন ট্রু সেন্স এইখানে ইলেকশনের কোন ঘটনাই আসলে ঘটতেছে না! যা ঘটতেছে তা হইতেছে –

“রিক্ত আমি, নিঃস্ব আমি দেবার কিছু নাই
আছে শুধু ভালোবাসা, দিয়ে গেলাম তাই”

জুলাই ১৮, ২০২৩

একটাকা-দুইটাকা

কয়দিন আগে একজন জিগাইতেছিল, একটাকা আর দুইটাকা কি সরকার বাতিল কইরা দিছে নাকি? তো, আমি বললাম, কেন, কি ঘটনা? সে কইলো, দোকানে তো একটাকা-দুইটাকা দিলে নিতে চায় না!

সাথের আরেকজন কইলো, আসলেই, কথা ঠিক। এমন কথাও শুনতে হইছে যে, ভাই, একটাকা-দুইটাকা তো কেউ এখন ফকির-রেও দেয় না! এইগুলা তো চালানো যাবে না!

তো, আমি বলতেছিলাম, গর্ভমেন্ট তো বাতিল করে নাই, কিন্তু মার্কেটে বাতিল হয়া গেছে আসলে। যেইরম পাঁচ পয়সা, দশ পয়সা, পঞ্চাশ পয়সা কি কেউ বাতিল করছে? কিন্তু নাই তো বাজারে, কেউ নিবেও না, কারণ এইগুলা দিয়া কিছু কেনা যায় না। একইরকভাবে একটাকা-দুইটাকা দিয়া কিনার মতো কিছু তো নাই বাজারে। দুইটাকার লজেন্সও নাই তেমন আর। আর ১২টাকা, ১৬ টাকা… এইরকম দামও রেয়ার। হয় ১০ টাকা, ১৫টাকা নাইলে ২০ টাকা। এক-দুইটাকা বেশি রাখে নাইলে কম-রাখে। মানে, গর্ভমেন্টের বাতিল করার কিছু নাই, আপনাআপনিই কিছু জিনিস বাতিল হয়া যায়, যাবে।

গুলি কইরা ও কোপায়া মানুশ মারা’রে গোয়েবলসরা লেখবে – সংঘর্ষ! লক্ষীপুরের কোন পুলিশ ও আওমি-সন্ত্রাসিদের নাম পাইবেন না কোথাও! যেন কোন অদৃশ্য হাত খুনগুলা করছে!

আগের দিনে যেমন রেইপে ভিক্টিমের নাম-ঠিকানা ও পোশাকের রগরগে বর্ননা থাকতো এবং রেপিস্টদের উল্টা বিজয়ী ও পাওয়ারফুল হিসাবে শো করতো, এখনো এই পলিটিকাল জায়গাগুলাতে দেখবেন যারা মারা যাইতেছে তাদের “ব্যাডলাক” হিসাবে দেখানো হবে, করুণ-রসে বলা হবে – কেন রে ভাই মিছিল-মিটিং করতে গেছিলি! আর যারা খুন করতেছে, জুলুম করতেছে তাদেরকে দেখানো হবে পাওয়ারফুল হিসাবে; যাদের এগেনেস্ট কিছু করা বা কথা-বলাটা যেন ‘বোকামি’। এইরকম ডর-ভয় দেখানোর কাজটা করতে থাকবে বাকশালি-মিডিয়ার গোয়েবলসরা।

মানে, যে ভিক্টিম তারেই দোষী বানায়া দিবে। গোয়েবলসরা যুগে যুগে হিটলারদেরকে এই সার্ভিসই দিয়া আসতেছে, এখনো দিতেছে।

 

জুলাই ১৯, ২০২৩

আম্রিকার সেংশন বা ইইউ বিবৃতির কারণে আওমিলিগের পতন হবে না, (শুনতে খারাপ শুনাইলেও বলি) বিএনপি’র আন্দোলনের কারণেও হবে না; এই নয়া বাকশালি অবৈধ শাসনের তখনই শেষ হবে যখন দেশের মানুশ এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নাইমা আসার সাহস দেখাইতে পারবে। আর বিএনপি’র মুভমেন্ট হয়তো সেই জায়গাটারে ট্রিগার করতে হেল্প করবে; কিন্তু এর অই জায়গাটাতে পৌঁছানো না পর্যন্ত কন্টিনিউ করতে পারতে হবে আসলে।

দুনিয়াতে কোন পলিটিকাল পার্টিই কোন দেশের মানুশের ফ্রিডম ও ডেমোক্রেসি আইনা দিতে পারে না। আওমি-লিগের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ হইছিল – এই নেরেটিভটা খুবই প্রবলেমেটিক; বাংলাদেশের মানুশের মনে এই আকাংখা না থাকলে কিছু কন্সপেরিসি দিয়া, এবং পলিটিকাল এক্টিভিটি দিয়া সেইটারে এচিভ করার কোন ঘটনা ঘটতো না; এইটা ঘটছে তখনই যখন দেশের মানুশ-জন নিজেদেরকে মবিলাইজ করতে রাজি হইছে, এচিভ করার জন্য জান-প্রাণ দিয়া লড়তে রাজি হইছে । ১৯৯০-ও কাছাকাছি ঘটনাই ঘটছে; বিএনপি-আওমিলিগের কাছে এরশাদ ক্ষমতা ছাড়ে নাই, যখন পিপলের/সাধারণ মানুশের দৌড়ানি খাইছে পুলিশ ও মাস্তানরা তখনই ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হইছে।

তো, এখনো অবস্থাটা এইরকমই। যতক্ষণ পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুশ-জন নিজেদেরকে মবিলাইজ করতে না পারবে ততক্ষণ পর্যন্ত এই অবৈধ-বাকশালি শাসনের শেষের শুরু হওয়ার কোন চান্স নাই। যদি এর বাইরে অন্য ফোর্সের মাধ্যমে সেইটা হয়ও, সেইটা পজিটিভ কোন ঘটনা হবে না, দুঃশসান আবারো ফিরা ফিরা আসতেই থাকবে তখন।

২.
আরেকটা ছোট্ট জিনিসও অ্যাড কইরা রাখি, এই অবস্থায় বিএনপি’রে দিয়া যারা বিপ্লব করাইতে চান, সেইসব জায়গাতেও সাবধান থাকাটা দরকার। বিপ্লব সবসময়ই একটা শ্রেনি-স্বার্থের ঘটনা। বাংলাদেশে অই অবস্থা তৈরি হওয়ার, এমনকি কাছাকাছি কোন রিয়ালিটিও আমি দেখি না। বিএনপি’রে দিয়া বিপ্লব করাইতে চাওয়া তাদেরকে একটা ফেইলওরের দিকে এবং পলিটিকালি বিপদের দিকে ঠেইলা দিতে চাওয়ারই ঘটনা, একদিক থিকা।

এইরকম কথা ধরেন ২-৩ বছর আগেও আমরা শুনছি যে, ডিজিএফআই’র কারণে ডিস্টার আর পিআলো সত্যি-কথা লেখতে পারে না; সাম্বাদিকদেরকে হুমকি-ধামকি দেয়া হয়, এই-সেই। মানে, এইটা অবশ্যই প্রকাশ্যে বা প্রফেশনালি বলা হইতো না, কিন্তু পারসোনাল আলাপে, আড্ডা-তে এইসব ‘অপারগতার’ কথা শুনতে পাইছেন এইরকম লোকের সংখ্যা কম হওয়ার কথা না। যে, সাংবাদিকরা তো মন থিকাই সত্যি-কথা কইতে চান, কিন্তু সরকারি-চাপের কারণে কইতে পারতেছেন না!

তো, শুরু থিকাই এই ধরণের বাকোয়াজি-তে আমার বিশ্বাস কম। সরকারি-চাপ ছিল-না না, (সব শাসনামলেই কম-বেশি ছিল বা থাকে,) কিন্তু তার চাইতে উনাদের মান্য করার মানসিকতা ছিল বললেও কিছুটা ভুল হবে; বরং লার্জ-স্কেলে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা এই জুলুমের, লুটপাটের পলিটিকাল বেনিফিসিয়ারি; এবং এই রিজিমের এনেবলার ছিলেন, এবং এখনো আছেন।

নয়া বাকশাল যদি বাংলাদেশি-ফেসিস্ট হয়া থাকে বাকশালি-মিডিয়া হইতেছে এর গোয়েবলস। উনারা ডিজিএফআই’র নিউজ ছাপান নাই, বরং ডিজিএফআই’র কোন ধরণের নিউজরে (পড়েন গুজবরে) ছড়ানো উচিত, সেই গাইডলাইন দেয়ার কাজে সরাসরি ইনভলব ছিলেন।

এইটা আরো স্পষ্টভাবে টের পাওয়া যাইতেছে এখন যখন আম্রিকা ও ইইউ’র এক্টিভ রোলের কারণে দেশের মানুশের ডর-ভয় একটু একটু কইরা কাটতে শুরু করছে; কিন্তু উনাদের অই কল্পিত-ভয় এখনো কাটতেছে না! এখনো বাকশালের তাবেদারিই এরা করে যাইতেছে! তার মানে, এইটা কোন সরকারি-চাপের ঘটনা না, বরং নিজেদের ইচ্ছাতেই এরা এই কাজ করতেছে!

এই গোয়েবলসদের চিনতে আমরা যত দেরি করবো, যত দোনামোনা করবো, তত সাকসেসফুললি এরা অবস্টেকল তৈরি করতে পারবে।

বাংলাদেশে মিনিমাম ডেমোক্রেসি আনতে হইলে, বাংলাদেশি-ফেসিস্ট নয়া বাকশালের অবৈধ শাসনের শেষ করতে হইলে এই গোয়েবলসদের নেরেটিভ থিকা বাইর হইতে হবে। কারণ গোয়েবলসদের একমাত্র কাজ হইতেছে হিটলার’রে রক্ষা করা। সত্য-মিথ্যা, ভালো-খারাপ কোনটাই ঘটনা না, ঘটনা হইতেছে হিটলারের গদি রক্ষা করা।

এই কারণে বাকশালি জুলুমের হাত থিকা বাঁচতে হইলে বাকশালি-মিডিয়ার বুজরুকিগুলারে খেয়াল করতে পারাটা জরুরি, তা নাইলে ঘুইরা-ফিরা একই ট্রাপে পড়তে হবে বারে বারে।

 

জুলাই ২০, ২০২৩

ধরেন, ১৯৬৯’র গণ-অভ্যুত্থানের মিছিল চলতেছে ঢাকায়, তখন ইত্তেফাক নিউজ করলো, হেডলাইন দিলো – মিছিলের কারণে জনজীবনে দুর্ভোগ! আপনার কি তখন ইত্তেফাক-রে ‘নিরপেক্ষ’ মনে হবে নাকি মনে হবে পাকিস্তানি সরকারের দালাল?

তো, এখন বাংলাদেশের মানুশ-জন যখন রাস্তায় নেমে আসতেছে, তখন ডিস্টারে যখন ট্রাফিক-জ্যামের ছবি পত্রিকার হেডলাইন হয় তখন তাদেরকে কেন অবৈধ-বাকশালি সরকারের দালাল এবং গনতন্ত্রের শত্রু মনে করবেন না? এইটা ‘নিরেপক্ষতার’ কোন ঘটনা তো না, এমনকি মিথ্যা-কথা বলাও না, বরং একটা পক্ষ নেয়া, দালালি করার ঘটনা তো!

আমি মোটামুটি শিওর তখনও বাংলাদেশের শিক্ষিত-মিডল ক্লাস অই মুভমেন্ট নিয়া নাক-ই সিঁটকাইতো, খুব অল্প একটা অংশই ডাইরেক্টলি পার্টিসিপেট করছে; তখনকার লেখাপত্র ঘাটলে দেখবেন ১৯৭১’র পরে যারা “মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক ও বাহক” হইছেন তাদের বড় একটা অংশ বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়াইতে হেসিটেড করছেন। এখনকার ডেমোক্রেসির মুভমেন্টেও কাছাকাছি রকমের ঘটনাই ঘটবে; যখন নয়া বাকশালের পতন হবে, তখন তারা ডেমোক্রেসির ঝান্ডা নিয়া আগায়া আসবেন, তার আগে না। কিন্তু অই সময়ের সাথে ডিফরেন্সটা হইতেছে, তারা এখন চুপ কইরাও নাই, সরাসরি জুলুমের পক্ষে দাঁড়াইতেছে, ‘নিরপেক্ষতার’ ভান কইরা।

জুলাই ২১, ২০২৩

মসজিদ এবং ইলেকশনের বুথের পরে, সিনেমাহলও মোটামুটি এমন একটা জায়গা যেইখানে সবার ‘সমান মর্যাদা’ আছে; মানে, টিকিট কাইটা এই ‘মর্যাদা’ অর্জন করা লাগে; কিন্তু তারপরও গরিব-ধনী ভেদাভেদ কমই ছিল। ব্যালকনিতে বইসা দেখলেও থার্ড-ক্লাসের লোকটা যেই সিনেমা দেখতেছে, সেইটা দেখা লাগতো।

এখন সিনেপ্লেক্স বানায়া এবং টিকেটের দাম বাড়ায়া গরিব খেদানো হইছে কিছু সিনেমাহল থিকা। তারপরও একটা সার্টেন ইকনোমিক এবিলিটি এচিভ করার পরে যে ‘সমান অধিকার’র জায়গাটা আছে, সেইটা টের পাওয়া যায় কিছুটা, এখনো।

এমনিতে, ইনকামের উপরে না, বরং আমাদের কনজামশন প্যাটার্নের উপরেই তো আমাদের সোশাল ও কালচারাল ক্লাসের জায়গাটা এগজিস্ট করে, পুরাটা না হইলেও অনেকটাই।

এখনকার হেইস্ট বা ব্যাংক-ডাকাতির মুভিগুলাতেও দেখবেন কেউ আর ব্যাংক থিকা ফিজিকাল ক্যাশ বা নোট ডাকাতি করে না, বরং দুইটা সিনেমাতে দেখছি যে, ব্যাংকে টাকা রাইখা ধরা খায়, কারণ নতুন নোট ছাপানো শুরু হইছে, বা পুরান নোট বাতিল হয় যাইতেছে, এইসব ঘটনা। মানে, ব্যাংক-ডাকাতির নতুন নতুন পদ্ধতি তৈরি হইছে, হইতেছে। তো, স্বাধীনতার পরে বাকশালের লোকজন যেইভাবে ব্যাংক-ডাকাতি করছে, এখন তো একইভাবে করবে না – এইটাই স্বাভাবিক।

তো, নতুন ব্যাংক-ডাকাতির ঘটনা হইতেছে সেন্ট্রাল ব্যাংকরে দিয়া টাকা ছাপায়া সেই টাকা নিয়া নেয়া। এখন মনিটারি সিস্টেমে নতুন কোন প্রডাক্ট বা ভ্যালু তো তৈরি হইতেছে না এই টাকার এগেনেস্টে, বরং এই টাকা যখন মার্কেটে আসতেছে তখন আপনার-আমার পকেটে যেই টাকা ছিল, সেই টাকার ভ্যালুই কমতেছে না খালি, অই টাকার যেই ডি-ভেলুয়েশন হইতেছে সেইটার একটা অংশ ডাকাতদের পকেটে চইলা যাইতেছে আসলে। মানে, টাকা ছাপাইয়াই আপনার এসেট, প্রডাক্ট ও ভ্যালুতে ভাগ বসাইতেছে তারা।

এখন যারা এইটা করতেছে তারা কি এইটা জানে না? না-জাইনা, না-বুইঝা এইরকম ‘ভুল’ করতেছে? 🙂 ওয়েল, ডাকাতদের সহযোগিরা তো এইরকমই বুঝানোর কথা, বা যারা এইরকম জিনিসরে ‘ভুল’ বইলা আইডেন্টিফাই করতে চান, তাদেরকে তো ডাকাতদলের কোলাবরেটই ভাবতে পারাটা দরকার আমাদের, নাকি না?

 

জুলাই ২২, ২০২৩

মানি-হেইস্ট সিরিজটা যারা দেখছেন, তারা মনে করতে পারবেন, সেন্ট্রাল ব্যাংকে একসেস পাওয়ার পরে গ্রুপটা যেইটা করে, টাকা ছাপাইতে শুরু করে! তারপরে সেই টাকা নিয়া ভাইগা যায়।

মানে, টাকা ছাপাইলে সেই টাকা তো বাতিল করতে পারবেন না। কিন্তু এই টাকার ভ্যালু কেমনে তৈরি হয়? এইগুলা তো স্রেফ কিছু কাগজ! কিন্তু এর ভ্যালু হইতেছে এর অথরিটি। আপনি টাকা ছাপাইতে পারেন, এই অথরিটিটাই মেইন ঘটনা। এই ছাপানো টাকা দিয়া আপনি বেচা-কেনা করতে পারবেন। কিন্তু এর রিয়েল ভ্যালু হইতেছে, বাজারে যেইসব জিনিস বেচা-কেনার জন্য আছে, সেইটারে এক্সচেইঞ্জ করার ক্ষমতা। এখন টাকা ছাপাইলেই বাজারের জিনিসপত্র তো আর বাড়তেছে না! তাইলে কি হইতেছে? যেই টাকা দিয়া আপনি এই বেচা-কেনা করতেছেন, সেই টাকার পরিমাণ বাইড়া যাইতেছে, আর জিনিসপত্র মোটামুটি একই থাকতেছে; তো, এই বাড়তি টাকার ভ্যালু আসলে আপনার হাতে থাকা টাকার ভ্যালু কমায়া দিয়াই তৈরি হইতেছে।

যেহেতু ঘটনাটা খালি চোখে দেখা যাইতেছে না, এবং দুইটা স্টেপ পার হয়া গিয়া ঘটতেছে, মনে হইতে পারে যেন এতোটা সত্যি-কথা না! কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই সত্যি জিনিসটা সহজ, খুব সময়েই সরল একটা ঘটনা।

সত্যি কথা শোনার লাইগা এখনো যারা পিআলো আর ডিস্টারের দিকে তাকায়া আছেন, সত্যি-কথা বলার হোলসেল এজেন্সি তাদেরকে দিয়া রাখছেন, তারা কি তাদের চোখ ফিরাইতে পারবেন?

আমার ধারণা, পারবেন না। উনারা মেন্টালি একটা লো সেলফ-স্টিমের ভিতর দিয়া যাইবেন; অনেকে জীবন-ভর মাইনা নিতে পারবেন না যে, উনারা শয়তানের সহযোগি-রে বিশ্বাস করছিলেন। আমার ধারণা, কিছু মানুশ মাইনা নিতে পারবেন, এবং বুঝতে পারবেন যে, ভুল বুঝতে পারার পরে রাস্তা যত তাড়াতাড়ি বদলানো যায় তত ভালো। ২০১৮ সালের ইলেকশনের পরেই এইটা ক্লিয়ারলি বুঝা গেছিল। যতদিন যাবে তত আরো স্পষ্ট হইতে থাকবে যে, জাইনা-শুইনা সত্য গোপন করার কাজ করছিল বাকশালি-মিডিয়ার লোকজন। উনারা নিজেদেরকে মাফ করতে পারবেন বইলা আমার মনেহয় না।

আমাদের বুঝতে পারাটা দরকার, রেভিউলেশন উইল নট বি টেলিভাইজড! পত্রিকার নিউজে, কলামে রেভিউলেশনের খবর বাইর হবে না! টুইটারে, ফেসবুক ও ইউটিউব লাইভে দেইখা সেইটা টের পাওয়া যাবে না। পথে নামতে হবে সবাইরে। পথে নামলেই পথের দেখা পাবো আমরা।

জুলাই ২৩, ২০২৩

সোশাল-মিডিয়ার ‘গুজব ও ফেইক-নিউজ’-এর ভাওতাবাজি নিয়া

এই নিয়া তিনটা কথা আছে আমার।

আগে গুজবের ব্যাকগ্রাউন্ডটা নিয়া বলি। গুজব মানে মিছা-কথা না, গুজব মানে হইতেছে ভিজিবল কোন ট্রুথ না-থাকা; ফেক্ট বা ইনফরমেশনরে যখন গোপন করা হয়, লুকায়া রাখা হয় তখনই গুজবের শুরু হয়। একটা কিছু নিয়া গুজব রটতেছে তার মানে হইতেছে অই বিষয়ে সত্যি-কথাটা জানা যাইতেছে না। যদি ঘটনাটা নিয়া আলাপ-আলোচনা থাকে, সেইটা নিয়া গুজব খুব একটা ছড়াইতে পারে না।

তো, এই ব্যাকগ্রাউন্ড থিকা যদি দেখেন, গুজব ছড়াবে আসলে তখনই, যখন কোন ফেক্ট জানার এবং বলাবলি করার জায়গাটারে জোর কইরা চুপ করায়া দেয়া হয়। কোন একটা কিছু গুজব ছড়াইতেছে তার মানে একটা মানে হইলো এইখানে কোন কন্ট্রোলের ঘটনা ঘটতেছে, বা মিডিয়ামটারে মেনিপুলেট করা হইতেছে। তো, মেনিপুলেট করার ক্ষমতা কার আছে? যার মিডিয়ামের উপরে কন্ট্রোল আছে তার বাইরে কারো পক্ষে কি এইটা করা পসিবল?

মানে, আমি বলতে চাইতেছি, গুজব বেশিরভাগ সময়েই পাওয়ারফুল লোকজনের কাজ; অপ্রেশনে থাকা মার্জিনালাইজড লোকজনের রেজিসটেন্সের ঘটনা না; সাব-অল্টার্ন স্টাডিজে যেইটারে পপুলার কইরা তোলা হইছে অনেকটা। এইটা হইতে পারে, বা হয়, কিন্তু অই নাম্বারটা কমই হওয়ার কথা। আমি বলতে চাইতেছি, গুজব যতটা না রেজিসটেন্সের টুল তার চাইতে অনেক বেশি কন্ট্রোল-উইপেন।

বাংলাদেশের এখনকার কনটেক্সটে নিউজ-মিডিয়াতে একটা গুজবের এনভায়রনমেন্ট তৈরি কইরা রাখা হইছে। পলিটিকাল পাওয়ারের কব্জা থিকা বাইর হওয়ার কোন উপায়ই এইখানে নাই। যার ফলে মানুশের সোশাল-মিডিয়া ডিপেন্ডেসি বাড়তেছে, কারণ সোশাল-মিডিয়ার বাইরে কর্পোরেট-মিডিয়াতে ফেক্ট জানার কোন স্কোপ নাই। যেইটারে সবচে আগে রিকগনাইজ করতে পারা দরকার আমাদের।

সেকেন্ড কথা হইতেছে, সোশাল-মিডিয়া নিয়া। সোশাল-মিডিয়াতে গুজব পয়দা হইতেছে – এইটা মিছা-কথা না, কিন্তু যেই অথেনিটিসিটি আমরা এক্সপেক্ট করি, সেইটা তো কখনোই পসিবল না! সোশাল-মিডিয়া টিইকাই আছে এক ধরণের রিয়ালিটি-প্রজেকশনের ভিতর দিয়া, যেইটা রিয়েল না; মানে, এইটা যদি রিয়েলই হয়, তাইলে তো নিউজই হইতো! সোশাল-মিডিয়াতে রিয়েল-পিকচার পাওয়া যায় না – এইটা কোন অভিযোগ হইতে পারে না, কারণ ফেসবুকের বা টুইটারের প্রমিজ এইটা না, আরেকটা অথেনটিক নিউজের সোর্স হয়া উঠা।

কিন্তু এইটা বলার পরে, এই আন্ডারস্ট্যান্ডিংটা জরুরি যে, রিয়ালিটির ডিসটরশনই এর উদ্দেশ্য না, বরং এক ধরণের শিফটিং যে এইখানে ঘটে, বা ঘটতে বাধ্য, যেই পয়েন্টটারে রিকগনাইজ করতে পারাটা দরকার। এই যে শিফটিং’টা এইখানে ঘটতেছে, সেইটার কন্ট্রোল করার ভিতর দিয়া, রেগুলেট করতে পারার ভিতর দিয়া ডিজায়ারড অবস্থায় পৌঁছানো যাবে না কোনমতেই, কারণ এইখানে বেইজটাই আলাদা! এইটা হইতেছে আমার সেকেন্ড পয়েন্ট’টা।

ব্যাপারটা কখনোই এইরকম না যে, সবকিছু ছাইড়া দিতে হবে বা একটা লেভেল পর্যন্ত কন্ট্রোল করতে পারতে হবে, বরং সার্টেন বাউন্ডারির ভিতরে মানুশ-জনরে আসলে এক্ট করতে দিতে পারতে হবে, এবং যখনই উইথ-ইন দ্য বাউন্ডারি কন্ট্রোল-মেকানিজমরে এস্টাবলিশ করা হবে, সেইটা এক্ট করার জায়গাটারে লিমিট কইরা তুলবে। আর এইটা ইনহেরিয়েন্টলি অনলাইন স্পেইসগুলারই একটা সমস্যা। মানে, এইটা নিজে নিজেরে এক্সপান্ড করতে পারে না, এবং কিন্তু একইসাথে যখনই কেউ বাউন্ডারিগুলারে এক্সপান্ড করতে থাকে তখন সেইটা আর এজ ইট ইজ থাকতে পারে না, যার ফলে অই জায়গাগুলারে সামাল দিতে হয় বা রেগুলেট করা শুরু করা লাগে। আর যখনই কোন প্লাটফর্ম অই জায়গাটাতে আইসা পৌঁছায়, তার শেষটা শুরু হইতে থাকে।

তো, গুজবের কারণে ফেসবুক বা অন্য প্লাটফর্মগুলা রিস্কে পড়তেছে না, বরং এক্ট করার জায়গাগুলা যেইভাবে এক্সপান্ড করতেছে, সেইটারে কন্ট্রোল এবং মেনিপুলেট করতে না পারলে ব্যাপারটারে প্রফিটেবল কইরা তোলাটা পসিবল হবে না – এইটা একটা মেজর কনসার্ন হিসাবে কাজ করে এইখানে!

গুজব ও ফেইক-নিউজ আটকাইতে চাইতেছে সোশাল-মিডিয়া প্লাটফর্মগুলা – এইটা উদ্দেশ্য-না না, এইটা একটা সাইডলাইনের ঘটনা বইলা আমি মনে করি। এইটা হইতেছে আমার থার্ড পয়েন্ট’টা। মেইন উদ্দেশ্য হইতেছে মোর কন্ট্রোলড একটা এনভায়রনমেন্ট তৈরি করা। যেইভাবে নিউজ-মিডিয়ারে কন্ট্রোল করা যাইতেছে একইরকমভাবে যদি সোশাল-মিডিয়ার স্পেইসগুলারে কন্ট্রোল করা না যায় তাইলে ‘গুজব ও ফেইক নিউজ’ বাড়তে থাকবে না, বরং ক্রাউডের ওয়েব’টা কোনদিকে যাবে সেইটারে এতোটা ডিটারমাইন্ড কইরা দেয়া যাবে না। মানে, উদ্দেশ্যটা ইন্টার-একশনরে একটা স্পেইসের মধ্যে ওপেন-আপ করা না, বরং সেইটারে লিমিট করা এবং স্পেসিফিক ডিরেকশনে ডাইবার্ট করতে পারার ক্ষমতার লগে রিলেটেড ঘটনা।

২.
তো, এইটারে এড়ানোর বা এর থিকা বাইর হওয়ার কি উপায়? এক নাম্বার উপায় অবশ্যই ইউজারের হাতে যত বেশি অথরিটি দেয়া যাবে তত বেটার; এবং একটা প্লাটফর্ম যত বেশি গোপন এলগারিদম নিয়া কাজ করতে থাকবে, ততই ধীরে ধীরে জিনিসটা বাতিল হইতে থাকবে, ইন্টার-একশনের জন্য প্রাণহীন হইতে থাকবে। সেকেন্ড আরেকটা আসপেক্ট হইতেছে, ফ্রিডম ভার্সেস কন্ট্রোলের পয়েন্ট’টা থিকা সরতে পারলে বেটার; বরং ফিচারগুলা পাস্ট-এক্সপেরিয়েন্সড বেইজড না হয়া ফিউচার-অরিয়েন্টেড হইতে পারলে ভালো; কিন্তু তাইলে টেকনোলজির এখনকার যে এরা (era) তারেই আসলে নতুন কইরা রি-থিংক করা লাগবে তখন। কারণ এইটা প্রজেক্টেড একটা রিয়ালিটিরে যতটা না রিয়েল কইরা তোলার ঘটনা তার চাইতে অনেক বেশি রিয়ালিটিরে ওপেন-এন্ডেড ঘটনা হিসাবে ধইরা নিয়া ক্রিয়েট করতে পারার কাজ। যা-ই হোক, সেইটা মেবি অন্য আরেকটা আলাপ…

জুলাই ২৬, ২০২৩

েলসন মেন্ডেলা যখন ২৭ বছর পরে জেল থিকা ছাড়া পাইলেন তখন বিশাল একটা জনসভা’র আয়োজন করা হইছিল, সেইখানে লাখ লাখ লোক জড়ো হইছিল, তো অইখানে ভাষণ দিতে গিয়া ভালোভাবে তেমন কিছু বলতে পারেন নাই উনি, উনার ‘লং ওয়াক টু ফ্রিডম’ বইয়ে এই নিয়া কথা বলতে গিয়া বেশ একটু শরমিন্দাই হইছেন উনি। যে, উনি পাবলিকের এক্সপেক্টশন তো দূর নিজের এক্সপেক্টশন মতোও কথা বলতে পারেন নাই।

এখন সুন্দর কইরা কথা-বলা বা ভাষণ দিতে পারাটা একজন পলিটিকাল লিডারের জন্য দরকারি কাজ-ই, কিন্তু থার্ড ইম্পর্টেন্ট কাজ। একজন পলিটিকাল লিডারের জন্য সবচে বেশি দরকারি জিনিস হইতেছে তার চিন্তা বা ভিশন, সেকেন্ড হইতেছে তার কাজ বা পলিটিকাল এক্ট; লাস্ট জিনিস হইতেছে তার কথা বা ভাষণ। একজন পলিটিকাল লিডারের ভাষণ সুন্দর হওয়ার চাইতে, উপমা-বহুল ফ্লাওয়ারি হওয়ার চাইতে স্পষ্ট হওয়াটা বেশি জরুরি।

‘সুন্দর’ ভাষণ দিতে পারা বরং মোটিভেশনাল স্পিকারদের কাজ, ইউটিউব পারফর্মারদেরও এই স্কিল দরকার, কিন্তু একজন পলিটিকাল লিডারের জন্য প্রায়োরিটি হিসাবে নিচের দিকে থাকাটাই ভালো। এমনকি আমরা যারা দেশের জন্য একজন ভালো পলিটিকাল লিডার চাই তাদের এই জায়গাটা মাথায় রাখলে ভালো। তা নাইলে কিছু ক্লাউন-ই না খালি বরং বাকোয়াজ কিছু বাটপারদেরকেই ‘ভালো’ লিডার হিসাবে আমাদের সামনে বারবার দেখতে পাবো।

২.
তো, এই জিনিসটা মনে হইলো গতকালকে তারেক রহমানের ভাষণটা দেখতে গিয়া। উনি যা যা বলতে চাইছেন মোটামুটি ক্লিয়ারলি বলতে পারছেন।

এটলিস্ট তিনটা ক্রিটিকাল মেসেজ উনি দিছেন –

এক, বিডিআর বিদ্রোহের সময় সেনাবাহিনিরে ইনএফেক্টিভ কইরা দেয়া,

দুই, সরকারি কর্মচারিদেরকে মাফ কইরা দেয়া হবে ওয়াদা দেয়া।

থার্ড, সিভিল সোসাইটি এবং সাংবাদিকদের জন্যও ডেমোক্রেসি দরকারি ঘটনা, এই জুলুমের জন্য তাদেরকেও সাফার করতে হইতেছে।

এই সবগুলার গোড়া একটা জায়গায় – ফেসিস্ট শেখ হাসিনা! এই জিনিসগুলা উনি খুব ফার্মলি এবং ক্লিয়ারলি বলতে পারছেন। এবং আমি মনে করি, এইটা জরুরি।

এখন কেমনে বলছেন, এডিটিং আরো বেটার হইতে পারতো, আরো ‘স্বতঃস্ফূর্ত’ হইতে পারতো, আরো কারিশমাটিক হইতে পারতো – এইরকম ‘ক্রিটিক’ করা যায়-না না, বরং মোটামুটি আজাইরা আলাপই কিছুটা। তারেক রহমান আরো ‘ভালো ভাষণ’ না দিয়া বরং উনার ভিশনটারে আরো স্পেসিফিক এবং পলিটিকাল এক্টিভিটির জায়গাগুলারে আরো এফিশিয়েন্ট করতে পারলে সেইটা বাংলাদেশের ডেমোক্রেসির জন্য আরো পজিটিভ হইতে থাকার কথা।

িডিয়া উস্কানি দেয়ার ট্রাই করবে, কিন্তু এর বাইরে কোন ‘ঝামেলা’ হওয়ার চান্স আসলে কম। দুইটা কারণে।

এক, বিএনপি যে পেইসে আগাইতেছে, অন্য সব পলিটিকাল দল ও এজেন্সিগুলারে একসাথে করতেছে, সেইটা বেশ ফেনোমেনাল একটা স্টেইজে পৌঁছাইছে, কোন কনফ্রন্টেশনে গিয়া কেন তার মোমেন্টাম’টারে নষ্ট করবে! বরং আর যদি ভাইব’টারে ধইরা রাখতে পারে, তাদের পজিশন আরো কনফাইন্ড হবে, পিপল প্রকাশ্যে নিজেদেরকে এসোসিয়েট করতে শুরু করবে বিএনপি’র সাথে। এই সময় ‘বিপ্লব’ করতে যাওয়া হবে সবচে বড় ভুল এবং হঠকারি ঘটনা।

এমনকি, একটু আজিব শুনাইলেও, আওমি-লিগের লোকজনও কোন ‘ঝামেলা’ করতে চাইতেছে না আসলে! এক তো হইতেছে, যা-ও কিছু ডাই-হার্ড বাকশালি আছে তাদের মোরাল ডাউন হয়া আছে। দেশের ইকনোমি’র যে বারোটার জায়গায় চব্বিশটা বাজানো হইছে, সেইটা তাদের টের না পাওয়ার তো কারণ নাই! কিন্তু তার চাইতে ইম্পর্টেন্ট ঘটনা হইতেছে কেন তারা ‘ঝামেলা’ করবে! লুটপাট কইরা যেই টাকা-পয়সা তারা কামাইছে সেইটা তো মোর দ্যান এনাফ! এখন এই টাকা-পয়সা নিয়া তারা যদি পালাইতে পারে, একটা মোটামুটি সম্মানজনক একটা এগজিট পায় দে উইল বি মোর দ্যান হ্যাপি। মানে, আরেকবার ক্ষমতায় আইসা নতুন কইরা কিছু কামানো যাবে-না না, বরং এর জন্য যা কিছু খরচ করা লাগবে, সেইটা তো লস প্রজেক্ট হবে একটা! মানে, যারা খাঁটি-বাকশালি তাদেরও ‘ঝামেলা’ করার তেমন কোন কারণ নাই আসলে!

তবে আছে একজনের – ইউ নো হু!

উনি ক্ষমতা ছাড়বেন না! কারণ ক্ষমতা ছাড়া একটা দিনও উনি বাঁইচা থাকতে পারবেন না। যেই কারণে উনি-ই একমাত্র লোক যিনি ‘ঝামেলা’ করতে চান, এবং ‘ঝামেলা’ করবেন। উনি ছাড়া বাংলাদেশের আর একটা লোকও ‘ঝামেলা’ করতে চায় না। বাংলাদেশে যদি কোন পলিটিকাল বাজে-অবস্থা তৈরি হয় তার জন্য দায়ি থাকবেন একজন মাত্র লোক।

২.
আর এর জন্য নিউজ-মিডিয়ারে উস্কানি দেয়ার কাজে ইউজ করা হবে। হাতে গোণা যে কয়টা কালপ্রিট আছে সবগুলারে দিয়া পানি ঘোলা করার ট্রাই করা হবে। কারণ কোন ষড়যন্ত্র এবং কন্সপিরেসি ছাড়া এই অবৈধ বাকশালি শাসনের রিজিম টিইকা থাকতে পারবে না।

ষড়যন্ত্র কইরাই আওমি-লিগ ক্ষমতায় আসছিল, ষড়যন্ত্র কইরাই ক্ষমতায় থাকার ট্রাই করবে। বাংলাদেশে যারা মিনিমাম ডেমোক্রেসি চান তাদের সবারই উচিত হবে বাকশালি-মিডিয়ার উস্কানি ও কন্সপিরেসি’র ব্যাপারে সাবধান থাকা।

জুলাই ২৭, ২০২৩

াম-বাটপার’রা আগে যেমন বুঝাইতো যে, বিএনপি আর আওমি-লিগ একই জিনিস, সেইটা বুঝতে আমরা তো আর রাজি নাই এখন; বরং আমরা এখন অনেক ক্লিয়ারলি দেখতে পারি যে, পলিটিকাল দল হিসাবে বিএনপি এবং আওমি-লিগ কমপ্লিটলি আলাদা। এবং দিনে দিনে এইটা আরো স্পষ্ট হইতেছে আমাদের কাছে।

মেজর ডিফরেন্স হইতেছে, বিএনপি সবসময় প্রো-ডেমোক্রেটিক; কিন্তু আওমি-লিগ সবসময় নন-ডেমোক্রেটিক একটা দল, দেশের মানুশের ভালো-মন্দ কখনোই তাদের বিচার-বিবেচনার মধ্যে ছিল না, এখনো নাই। আওমি-লিগ যে কোন মূল্যে ক্ষমতা ধইরা রাখতে চায়, দেশ বেইচা দিয়া হইলেও; দেশের মানুশ মাইরা হইলেও। ২০১৩-১৪ সালে খালেদা জিয়ার জায়গায় শেখ হাসিনা থাকলে দেশে একটা সিভিল ওয়ার লাগায়া দিতেন। এখনো বাংলাদেশরে একটা সিভিল ওয়ারের দিকে ঠেইলা দিতে চাইতেছেন শেখ হাসিনা, তার ফেসিস্ট রিজিম টিকায়া রাখার জন্য। বিএনপি-তে এই চেষ্টা কম, রাজনীতিতে তারা জোর-জবরদস্তি করেন নাই না, বরং সবসময় পিপলের রায়-রে মাইনা নিছেন, মাইনা নেয়ার মতো ডেমোক্রেটিক হইতে পারছেন।

এইরকম ডিফরেন্সের জায়গাগুলারে খেয়াল না করা একটা ঘটনা, কিন্তু গোপন করা ও বাতিল করতে চাওয়াটা একটা পলিটিকাল বাটপারির ঘটনাই আসলে।

নতুন কোন রাস্তায় যাওয়াটা এই কারণে কঠিন না যে, এতে অনেক সাহস লাগে; বরং এক ধরণের অভ্যাস ও জড়তা হইতেছে মেইন অবস্টেকল। ভুল এবং খারাপ জানার পরেও অনেক অভ্যাস থিকা আমরা বাইর হইতে পারি না, জাস্ট এই জন্য যে, এইটা তো হয়ে আসতেছে, বা এইরকমই তো করে আসতেছি!

তো, যা কিছু হয়ে আসতেছে, সেইটা থিকা বাইর হওয়াটা কঠিন বইলা নতুন রাস্তা ট্রাই করা হয়-না না আসলে, আর অইটা কোন সাহসের ঘটনা না এতোটা, বরং একটা স্ট্যাটাস-কো’তে অভ্যস্থ হওয়ার এবং হইতে থাকার ঘটনা।

এখন এর এগেনেস্ট, সব স্ট্যাটাস-কো ভাইঙ্গা ফেলতে হবে, এবং সবকিছু ‘বিশুদ্ধ’ বা পারফেক্ট কইরা তুলতে হবে – এইরকম আর্জটাও কোন কাজের জিনিস না। ঘটনা যেইটা হইতেছে, রিভিউ করতে পারাটা বা রিভিউ করতে রাজি হইতে পারাটা জরুরি।

কিন্তু এই রিভিউ’টা করতে গেলে আগে নিজেরে ডিটাচড করতে পারতে হয়, যেইটা মেবি সবচে মুশকিলের কাজ। আমি ঘটনাটার মধ্যে আছি, এবং আমারে-সহ ঘটনাটারে বিচার করতেছি – চিন্তার মধ্যে এই পজিশন নেয়াটা একটু ঝামেলার। ব্যাপারটা ঠিক অবজেক্টিভ পারসপেক্টিভ থিকা দেখা না, বরং এমন একটা সাবজেক্টিভিটিরে চুজ করা যেইটা সাবজেক্ট এবং অবজেক্টের জায়গা দুইটারে আলাদা কইরা দেখতে পারে।

এই না-পারাটার জায়গা থিকা বেশিরভাগ সময় আটকায়া থাকার ঘটনাটা ঘটতে থাকে আসলে, বেশিরভাগ সময়।

জুলাই ২৮, ২০২৩

– ডেথ অফ ট্রেডিশনাল মিডিয়া ইন বাংলাদেশ –

এইটা বেশ মজার জিনিসই হইছে যে, বাংলাদেশের এখনকার পলিটিকাল অবস্থার খবর কোন টিভি-চ্যানেল, নিউজপেপার (মানবজমিন বাদে) বা পোর্টালে পাইবেন না, পাইবেন একটা পলিটিকাল পার্টির ফেসবুক পেইজে – “বিএনপি মিডিয়া সেল”-এ।

মানে, ট্রেডিশনাল মিডিয়ার সাহস নাই না, এরা হিটলারের গোয়েবলস, বাকশালের পালা-কুত্তা। দেশের মানুশের ডর-ভয় নাই, এই কুত্তাগুলার পা-চাটা এখনো জারি আছে। এইটা হইতেছে এদের পলিটিকাল পজিশন, বিপ্লবের নামে, মুক্তিযুদ্ধের নামে নন-ডেমোক্রেটিক জুলুমের শাসনরে বৈধতা দেয়া। এরা এখন ‘নিরপেক্ষ’ সাজতে চাইবে। কিন্তু এইটা হইতেছে ডেথ অফ ট্রেডিশনাল মিডিয়া!

এরা পিপলের খবর নাই কইরা দিতে দিতে, গোয়েবলস-গিরি করতে করতে নিজেরাই বাতিল হয়া গেছে। যেহেতু অন্য কোন জায়গায় আসল খবর নাই, এই কারণে মানুশ-জন বিএনপি মিডিয়া সেলের কাছে কিছু খবর পাইতেছে; যেইগুলা ট্রেডিশনাল মিডিয়া অবৈধ-সরকারের ভয়ে দেখাইতেছে-না বা বলতেছে-না না, এরা নিজেরাই এই সেন্সরশিপ দিয়া নিজেদেরকে চালাইতেছে। পুরা একটা ইন্ড্রাষ্ট্রি এইভাবে সুইসাইডের পথে আগায়া গেছে, শয়তানের কাছে তাদের আত্মা বেইচা দিয়া।

জুলাই ৩০, ২০২৩

পলিটিকাল লিডার হইতে হইলে কাউরে ফেরেশতা হইতে হবে – এইটা খালি বাড়াবাড়ি না, মিসলিডিং একটা এপ্রোচ। এখন ফেরেশতার জায়গা থিকা এক্সপেক্টশনটারে ‘ভালো-মানুশ’-এও রিডিউস করতে রাজি হইতে পারেন অনেকে, কিন্তু মোটামুটি সেইম লাইন অফ আরগুমেন্টের মধ্যেই থাকে ব্যাপারটা।

যেই কারণে কোন পলিটিকাল লিডার-রে চোর-বাটপার বা খারাপ-মানুশ বলাটা ইজিয়ার হয়। মানে, যেহেতু কেউ গ্রেট না, সে যেন খালি এভারেজ টাইপের কিছু না; বরং যেন ‘খারাপ’ কিছু!

এখন একজন পলিটিকাল লিডারের ভিশন তো থাকা-ই দরকার, কিন্তু দার্শনিক, চিন্তাবিদ তো হইবেন না তিনি! পাবলিক এফেয়ারসে সৎ লোক হইবেন তিনি তাই বইলা পারসোনাল লাইফে হোটল-বয়রে ধমক দিতে পারবেন না – এইরকম মহত্ব তো এক্সপেক্ট করতে পারি না! আর এই এক্সপেক্টশনগুলা ইম্পোজ করা হয় কোন মানুশ-রে গ্রেট বানানোর কোন এক্সপেক্টশন থিকা না, বরং তারে ভিলেন হিসাবে পোর্টেট করার জন্য করা হয় মোস্টলি। তো, এর উদ্দেশ্য নিয়া বা এই জায়গাটা নিয়া এওয়ার থাকাটা ভালো।

জুলাই ৩১, ২০২৩

ঢাকা শহরে ডেঙ্গু এখন একটা মহামারী। কিন্তু বাকশালি-মিডিয়া দেখলে মনে হবে দেশে খালি একটা বিরোধীদল আছে যারা মিছিল-মিটিং করতেছে, এবং ডেঙ্গু নিয়া কথাই বলতে দিতেছে না!

মানে, দেশে যে অবৈধ হইলেও একটা গর্ভমেন্ট আছে, এবং যাদের মিনিমাম কিছু দায়িত্ব আছে, সেইটা নিয়াও কোন কথা নাই! পিপলের ভোটে ইলেক্টেড গর্ভমেন্ট না থাকাটা যে কি রকমের বাজে ব্যাপার একটা; এই ঘটনা থিকাও সেইটা টের পাওয়ার কথা আমাদের।

মানে, অবৈধ সরকারের একমাত্র রেসপন্সিবিলিটি হইতেছে যেন যে কোন মূল্যে ক্ষমতায় থাকা! বিএনপি ঠেকানো! মশা যদি বিএনপি হইতো তাইলে একটা কথা ছিল, তখন তাদের এগেনেস্টে একশন নেয়া যাইতো! কিন্তু মশা তো আর বিএনপি না! যার ফলে এইসব ঘটনা আন-ইম্পর্টেন্ট! কিছু মানুশ তো মরবেই! গর্ভমেন্টের তো গদি বাঁচাইতে হবে আগে।

Leave a Reply