ফেমিনিজম

ফেমিনিজমের সুবিধা হইলো আপনি ফেমিনিস্ট না হইয়াও এর সুবিধা নিতে পারবেন, বেনিফিট পাইতে পারবেন অনেক। ফেমিনিস্ট হইলে বরং কম পাইবেন একটু। মানে, পিকাসো যদি খালি কিউবিস্ট হন বা দালি যদি সুরিয়ালিস্ট হন তাইলে যেমন হয়। আপনি কিউবিস্ট বা সুরিয়ালিস্ট না হয়া পিকাসো বা দালি হইবেন। বাদ’রে বাদ দিতে পারাটাই ঘটনা! ইন্ডিভিজ্যুয়ালিজম ফাইট্টা বাইর হইতে পারবে তখন, এর চিপা দিয়া।…

কিন্তু আপনার ডিজায়াররে জাস্টিফাই করতে গিয়া পার্টনাররে (মেইল/ফিমেইল) চিপায় ফালাইতে হইলে ফেমিনিজমরে ইউজ করবেন। ফেমিনিজম নিয়া সিমন দ্য বেভোয়া একটা মজার কথা কইছিলেন; যে, ইদানিং (মানে, উনার টাইমেই) ‘নারীর প্রতি সহিংসতা’ বাইড়া গেছে (কঠিন শব্দগুলাই এর কারণ না অবশ্যই); কারণ ফেমিনিজমের কারণেই পোলাগুলি কইতে পারে, তুমি ত ফ্রি, চলো আমরা শুইয়া পড়ি! ফ্রি মানে যে আপনি যে কারো লগেই শুইতে চাইতেছেন না – সেইটা না, ফ্রি মানে হইলো আপনি চাইলে যে কারো লগে শুইতে পারেন। নাইলে আর ফ্রিয়ের কি মানে! Continue reading

রফিক আজাদ

যিনি মারা গেছেন তারে নিয়া সমালোচনার কিছু নাই। যারা বাঁইচা আছেন তাদেরকেও মরণ জিনিসটারে মাইনা নিয়াই বাঁইচা থাকতে হয়। রফিক আজাদের কবিতা বাঁইচা আছে বা থাকবে – এইরকম কথাবার্তা দেখছি, আরো দেখবো – এইরকম আশাও আছে। তো, উনার কবিতা নিয়া বলা যাইতে পারে।

খালি সোসাইটিতে অনেকের কাছে পরিচিত বইলাই একটা কবিতা বা যে কোন ধরণের টেক্সট বা চিন্তা বা আর্ট বাঁইচা থাকে না। মানে, একটা বা অনেকগুলি পারসোনাল এসোসিয়েশন ক্রিয়েট করতে পারাটা তো একটা পদ্ধতি তো অবশ্যই। সোসাইটিতে যারা কবিতা লিখেন এবং পড়েন তারা সবাই আমারে চিনলেন, আর/অথবা যেইসব ইন্সটিটিউশনগুলি এনডোর্স করে আর্ট-কালচারের ঘটনাগুলারে তারা রিকগনাইজ করলেন – এইরকম যোগাযোগের ভিতর দিয়াই জানাশোনার ঘটনাগুলি ঘটে। এইটাই চালু তরিকা। (এই ধরণের ভ্যালু সিস্টেমের এগেনেস্টে আমি না। কোন না কোনভাবে কানেক্টেট তো থাকতেই হয়।) কিন্তু মুশকিল হইলো যে, আপনার বন্ধু-শত্রু বা প্রেমিক-প্রেমিকারা তাঁদের ফিজিক্যাল এগজিসটেন্সের ভিতর দিয়া আপনার আর্টরে বেশিদিন বাঁচায়া রাখতে পারেন না। (মন-খারাপ করার মতো ব্যাপারই আসলে এইটা।) এইভাবে, পারসোনাল ইমোশনের ভিতর দিয়া করা আর্টের বিচার একটা জেনারেশনের কাছে অনেক কাছের জিনিস হিসাবে থাকে, কারণ ওই আর্টের ভিতর দিয়া যতোটা না আর্ট তার চাইতে বেশি নিজেদের এক্সপেরিয়েন্সগুলারে ফিল করা যায়। এখন আর্ট বইলা যদি কিছু থাকে সেইটা এই পারসোনাল এক্সপেরিয়েন্সের বাইরের কোন ঘটনাই হওয়ার কথা। Continue reading

সেক্স-রোবট

অনলাইনে বা প্রাকটিক্যাল লাইফেও যেইসব মানুষদেরকে সেক্স-রোবট হিসাবে পারফর্ম করতে হয় সেক্স-রোবট বানানো শুরু হইলে উনাদের মেশিন হওয়ার নেসেসিটি কইমা আসবে বা কমপিট করা লাগবে মেশিনের সাথেই, তখন মোর ‘মানুষ’ হওয়ার অপারচুনেটি বাড়তে পারে উনাদের; যদিও এই কারণে ‘নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা’ কমার কথা না। বরং ‘রিয়ালিটি’র একটা নিশ অর্গানিক মার্কেট তৈরি হইতে পারে। এনাফ ডিমান্ড তৈরি হওয়ার পরে পুরুষ সেক্স-রোবটও বানানো হবে, ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী ম্যান-এর মতো। দেখেন, আমরা (মানে, হিউম্যান এগজিসটেন্স) হইলাম ডিজায়ার প্রডাক্ট; ব্যাপারটা এইরকম না যে আমরা ডিজায়ার বানাই, ডিজায়ারই আমাদের এগজিসটেন্সরে মিনিংফুল করতে পারে।

এথিকসওলাদেরও আর্গুমেন্ট এইটা যে, এই সেক্স-রোবটগুলি আমাদের ডিজায়ারের লেভেলে আসতে পারে নাই। মানুষও তো একদিনে মানুষ হয় নাই, ধীরে ধীরে সেক্স-রোবটরাও ফোরপ্লে করতে শিখবে। Continue reading

এবাদুর-এর ন্যান গোল্ডিন

Appearance is the only truth that we have.

———————————————————

এবাদুর-এর ক্লেইমটা হইলো যে, আরে উনারে ত আমি দেখসি; কথা কইসি; উনি যেই যেই জায়গায় গিয়া এবং যেইগুলা নিয়া আর্ট করসেন, ওইগুলাতেও আমি গেসি; সো, ওই আর্ট কনজিউম (ফিল-টিল আর কী) করার লাইগা আমি বেটার পজিশনে আসি আর এই কারণে বেটার এক্সপ্লেইন করতে পারি, যেহেতু উনার অভিজ্ঞতার (এক্সপেরিয়েন্স না কিন্তু) রোড-ম্যাপটা আমার জানা আসে। দেখেন, টেক্সটটাই জরুরি জিনিস না, জরুরি হইলো ইনফরমেশন, সেইটার বেসিসে ব্যাকগ্রাউন্ডের ইমাজিনেশন, ইন্টারপ্রিটেশন। ঠিক আসে!

ন্যান গোল্ডিন নিয়া এবাদুর যা করছেন, সেইটারে ওয়ান অফ সিচুয়েশন না ভাইবা তার থট-প্যাটার্ন হিসাবেই ভাবলাম। ভাবা ত যায়, মনেহয়।

যেই জীবনে আমি বাঁইচা আছি সেইটা নিয়াই আমি লেখতে পারি না খালি, যেই জীবনে আমি বাঁইচা আছি এর বাইরে আমি আর লেখতে পারবো না। ব্যাপারটা এইরকমভাবে দেখা যায় না, এইরকমই। সিমিলার টাইপের ট্রাপ। রিয়ালিটিটারে তখন বাঁইচা-থাকাতে ডাউনগ্রেড করা গেলো। আর এইখানে সামগ্রিকতা (টোটালিটি) একটা ফাঁপড় ছাড়া (ব্যতীত’রে মাফ কইরা দেন) আর কিছুই না। টোটালিটিরে প্রজেক্ট করাটা আর্টের কাজ হইতে পারে না বা একটা ‘আদার’ ক্রিয়েট করা। ন্যান-এর দেখানোর মতো যদি কিছু থাইকা থাকে সেইটা হইলো যে, দেখো, দেয়ার ইজ নো টোটালিটি অ্যাজ সাচ!

Continue reading

বিস্ময়ে…

হাইস্কুলে থাকার সময় এবং দেরিদা পড়ার আগে থিকাই আমি টিভি প্রোগ্রামের সমালোচক। আমার ধারণা, আমার বয়সের অনেকেই বুঝতে পারছিলেন যে, বর্তমান টাইমে (মানে ওই সময়েই, এইটিইজে) রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্তের চাইতে টিভি নাটকের বা ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের লোকজন জনসমাজে অনেকবেশি ইনফ্লুয়েন্সিয়াল, এমনকি কোন কবিতা না লিইখাই! এইটা একটা কারণ হইতে পারে, কিন্তু আমি বিরক্ত বোধ করতে চাইতাম এবং দেখামাত্র নানান বিষয়ে সমালোচনা শুরু কইরা দিতাম। এইটা এতোটাই বাজে পর্যায়ের ছিল যে, গালিগালাজ ত শুনতেই হইছে, মাইর-ধরও খাইতে হইছে কয়েকবার। চুপ থাকাটা আসলেই একটা কঠিন কাজ; বরং টিভি দেখাই কমাইয়া দিছি। কিন্তু মাঝে-মধ্যে ত টিভির সামনে বসা-ই হয়; তখন এই ঘটনাটা ঘটলো, কয়েকদিন আগের।

রাতের বেলা খাইতে খাইতে টিভি দেখতেছি। আমার বউ এবং মেয়েরা রবীন্দ্রনাথের গান পছন্দ করে এবং পশ্চিমবঙ্গের টিভি চ্যানেলগুলা; ত, এইরকম একটা চ্যানেলে ‘আকাশ-ভরা সূর্য তারা…’টা গাইতেছিলো ইয়া মোটা একজন গায়ক; লাইভ মনে হয়। বেশ দরদ দিয়া, এবং একটু টুইস্ট করতেছিলো ‘বিস্ময়’-এ আইসা; সব মিউজিক বন্ধ কইরা দিয়া পুট কইরা কয় ‘বিস্ময়ে…’। আমি আর নিজেরে ধইরা রাখতে পারলাম না; সমালোচনা কইরা ফেললাম। কইলাম যে, পুরা লিরিকসটা ডিপেন্ড করতেছে এই একটা শব্দের জোরের উপ্রে, সবকিছু আইতাছে এইখান থিকা, আর শালার পুতে এমনে উচ্চারণ করতেছে জানি, পাদ দিতাছে; আরে পাদ দিলেও ত এরচে জোরে আওয়াজ হওয়ার কথা! অ্যান্ড দ্যাট গ্লুমিনেস (অথবা পাদের গন্ধ) স্প্রেড অল ওভার দ্য রুম! Continue reading