ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩
– আমার সাহিত্যিক-দুশমনরা, প্লিজ, আমারে পপুলার বানায়া দিয়েন না! –
লাইফের এই স্টেইজে আইসা আমার লগে কারো “কবি-বন্ধু” টাইপের রিলেশন নাই। আর এইটা একটা ব্লেসিংই মনে করি আমি।*
কিন্তু তাই বইলা কোন দুশমনিও আমি এসপেক্ট করি না। তারপরও নানান ধরণের “সাহিত্যিক আড্ডায়” আমারে গালি-গালাজ করার ও আমার ব্যাপারে পারসোনাল রেইজের কথা শুনতে পাই। এমনকি যাদের লগে আমার ভালো-মন্দের কোন যোগাযোগ নাই, জীবনে কোনদিন কথাও হয় নাই, এইরকম লোকজনও শুনি জাত-দুশমনি নিয়া বইসা আছেন!
তো, কেন উনারা দুশমনি করেন? এইটা ভাবতে গিয়া দুইটা সম্ভাবনার কথাই মনে হইলো।
এক হইতেছে, আমাদের সমাজে পাওনাদাররে গালি-গালাজ করার একটা প্রাকটিস আছে। যে কেউ টাকা-পয়সা পাবে, তারে ছোট-করা কথা-বলা যাতে কইরা সে যে টাকা-পয়সা পায়, অইটা আর ইস্যু হিসাবে সামনে আসতে না পারে। তো, আমি কারো কাছে টাকা-পয়সা পাই না। মানে, দেয়ার মতো টাকা-পয়সা তো না-ই আমার তেমন। কিন্তু এইখানে একটা ঘটনা ঘটছে বইলা মনেহয়।
যেইসব কবি-সাহিত্যিকরা পারসোনাল আড্ডাতে আমার “মুন্ডুপাত” করেন, উনারা কম-বেশি এইরকম একটা সাহিত্য-ভাষাতে লেখেন যেইটা আমার লেখালেখির ধরণের উল্টা তো না-ই, বরং বেশ কাছাকাছি রকমেরই ঘটনা! যেই কারণে উনারা মেবি আমারে “পাওনাদার” ভাবতে পারেন! যে, ‘ইমরুল হাসানের ভাষায়’ লেখতেছেন! এই টিজ-টিটকারি আমি করতে দেখছি কয়েকজন বুড়া-কবিরে।
একশ-দেড়শ বছরের পুরানা কলোনিয়াল-ভাষায় লেইখা, ফটোকপির ফটোকপির ফটোকপি হইলে কোন সমস্যা নাই! এর বাইরে গেলেই এরমতো-ওরমতো হয়া যাইতে হয়! এইটা হইতেছে অই গোলামির ঘটনা আসলে। অই গোলামির বাইরে গিয়া অনেকেই লেখার ট্রাই করছেন, করতেছেন, করবেনও এবং আমি এক্সপেক্ট করি, অই জায়গাগুলা আরো ক্লিয়ার হইতে থাকবে দিন দিন।
এইখানে “ইমরুল হাসানের ভাষা” বইলা কিছু নাই। মানে, আমি কারো পাওনাদার না!
(অনেক দেরিতে হইলেও কিছু লিটারারি টেকনিকের জায়গাগুলারে আমি টের পাইতে শুরু করছি এবং একটা পলিটিকাল-পজিশন তৈরি করার দিকে চিন্তা-ভাবনা করতেছি। ঘটনা এইটুকই।)
এখন এক্সপ্লোর করতে গেলে, এর-অর লগে মিল থাকেই কিছু, নিজের জায়গা তৈরি হইলে পরে অইগুলা আর কোন ঘটনা না। তো, এইটা আসলে একটা ট্রিক্স, বুড়া-কবিদের, এবং কলোনিয়াল-ভাষার গোলামদের। আমার লেখালেখির লগে এর কোন রিলেশন নাই।
সেকেন্ড হইতেছে, আমারে নিয়া দুইটা বাজে-কথা কইলে যদি কারো কাছে পছন্দের হওয়া যায়, তাইলে তো কোন প্রবলেম নাই আমার। কিন্তু এইরকম “কবি-বন্ধু” থাকা বা না-থাকাটা তেমন কিছু মিন করে না আসলে। আমারে খারাপ বইলা যদি কারো কোন লাভ হয়, আমার তো লস নাই কোন! কিন্তু আমার অইরকম পাওয়ারফুল দুশমন তো দেখি না, যারা কোন লাভ দিতে পারবে।
কিন্তু মুশকিল হয়া হইতেছে, এইসব ঘটনায় আমার লাভ হয়া যাইতেছে। এর-ওর গালি-গালাজ শুইনা লোকজন আমার নাম জানতেছে, লেখা পড়তেছে। আমার নাম ছড়ায়া যাইতেছে। মানে, আমার “কবি-বন্ধুরা” আমার যেই ‘উপকার’ করেন নাই, আমার “সাহিত্যিক-দুশমনরা” আমারে সেই সার্ভিস দিতেছেন! মেবি না-জাইনাই। তো, এই কথা জানানোর জন্য এইটা লেখা।
হে আমার (ইনভিজিবল) সাহিত্যিক-দুশমনরা, প্লিজ, আমারে আর পপুলার বানায়া দিয়েন না!
…
*এমন না যে দোস্তি জিনিসটা বাজে, কিন্তু “কবি-বন্ধু” জিনিসটা মোস্টলি চুলকানি টাইপের জিনিসই কিছুটা, স্যাডলি 🙁 তারপরও ইন্টেলেকচুয়াল এক্সচেইঞ্জ তো দরকারি জিনিসই, সেইটা সবসময় সাহিত্যিক-রিলেশন দিয়াই হইতে হবে – এই এক্সপেক্টশন আমার সবসময় কমই।