অ্যা টক উইথ ইমরুল হাসান বাই মাহবুব মোর্শেদ’স স্প্রিকার

[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote] গতবছর (২০১৪-তে) মাহবুব মোর্শেদ Spreaker-এ অডিও ইন্টারভিউ নেয়ার একটা প্রজেক্ট হাতে নিছিলেন। উনি দৈনিক কালের কণ্ঠের অফিসে কাজ করেন আর উনার অফিস বারিধারা’র বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়। আমি এই এলাকায় থাকার কারণে উনার ইন্টারভিউ লিস্টে আমিও ইনক্লুডেড হইছিলাম। আমার কবিতার বই ‘স্বপ্নের ভিতর’ নিয়া মিনিট ত্রিশেকের মতো একটা আলাপ হইছিল। লগে, মেহেদীউল্লাহও আছিলেন।

লেখা নিয়া কথা বলতে গেলে খুব ফ্রিলি যে কথা বলতে পারি সেইটা হয় না কখনো। যেমন, এই আলাপে আমি মোস্টলি একটু ডিফেনসিভ-ই ছিলাম। তারপরও কিছু কথা তো হইছিলই।

মহাকালের দিকে‬

মহাকালের দিকে তাকায়ে তাকায়ে থাকতে থাকতে চোখ ব্যাথা হয়া গেলো; এখন ডাক্তার দেখাইতে হইবো। চোখের ডাক্তার, কানের ডাক্তার, বুকের ডাক্তার; ডাক্তার-রাই যদি এই জীবনটা নিয়া বাঁইচা থাকতো। আলাদা আলাদাভাবে। চোখের জীবন, কানের জীবন, হাঁটু-ব্যাথা নিয়া পা’দের জীবন। যেমন, ইন্টেলেকচুয়াল এবং বিপ্লবীর জীবন, মনোটনি আইসা গেলে পরে কবি’র জীবন। এইসব জীবন নিয়া আরো কিছুদিন কি বাঁইচা থাকা যাবে না, আর?

 

ট্রানজিসনাল সময়

কোথাও এসে বসে থাকি। বসে থাকার মতো সময় আছে কোথাও। শব্দ-জর্জরিত; ছন্দ-বেষ্টিত। একটা বিকাল। যাচ্ছে সন্ধ্যার দিকে। এইখানে বইসা থাকা যায়। গোধূলি সন্ধ্যায়। ফুটবল খেলার পরে নদীতে পা ধুইতে যাচ্ছে যারা তাদের দিকে তাকায়ে থাকতে থাকতে পার করা যায় এই ট্রানজিসনাল সময়।

 

বিকাল আসতেছে ধীরে

 

বিকাল আসছে ধীরে, মেঘনার পাড়ে। বৃষ্টি আইসা ছুঁইলো তারে। বেড়ার হোটেলে, চায়ের কাপে সেও মিলতে চায়। মিলন হবে কতোদিনে! পুনম ধীলন কাঁদতেছে; তেরে মেহেরবানিয়া’তে। কুত্তাটা ভিজতেছে বাইরে। ইয়াং কবির মতো সাহসে। মারা-যাওয়া নায়কের কবরটাও নিশ্চয় আশেপাশেই আছে অথবা নতুন ব্রীজের প্ল্যানে অ্যাকোমোডেড করা যায় নাই আর, বাদ পইড়া গেছে।

 

দ্য মামি রিটার্নস‬

 

দ্য মামি রিটার্নস সিনেমায়, মমিগুলা যখন জাইগা ওঠে, তখন ওরা ত নিজেদেরকে জীবিতই ভাবে, তাই না? এইখানে, এইরকম জীবিত থাকার মানে হইলো, মরা-কবিতাগুলা বারবার লিইখা যাইতে পারার ঘটনা বা লিখতে পারার ঘটনাগুলারে মনে করতে পারা। এতো এতো দিন পার হৈয়া গেলো তারপরও এরা ফ্রেশ; দেখো, এমনকি ফরমালিনও দেয়া হয় নাই কোনো (এই ‘কোনো’ মিনিংলেস আবেগের এক্সপোজার, অক্সিলিয়ারি হইলেও, জরুরি); জৈবসারেই উৎপাদিত। যার ফলে, অর্গানিক ষ্টোরগুলাতেই পাওয়া যায়। বেচা কম, দাম বেশি। যদিও পাবলিক এখন এইসবের ভ্যালু টের পাওয়া শুরু করছে। এইসবকিছুর পরে হইলো. পুরষ্কার-টুরষ্কারের কথা; দুই-একটা যদি পাওয়াই যায়, ওইটা ত ফাও! এই ঈর্ষাতেও বন্দী করা গেলো নাহয় কিছু সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের!