রাষ্ট্র ত একটা এজেন্সী ছাড়া আর কিছুই না!

টাইটেলের কথাটা মনে হইছিল কয়েকদিন আগে। যে বিষয়টাতে মনে হইতেছিল, সেইটা নিয়া একটা নোট এবং একটা স্ট্যাটাস দিছেন, মাহবুব মোর্শেদ; তাই নতুন কইরা আবার মনে হইলো।

এখন মাহবুব মোর্শেদ যেইটা বলেন, সেইটা কিন্তু গ্রাউন্ডটা চেইঞ্জ কইরা বলেন না; বলেন একই গ্রাউন্ডে দাঁড়াইয়া। সেই গ্রাউন্ডটা কী? গ্রাউন্ডটা হইলো, রাষ্ট্রের ক্ষমতা! আর এইখানেই আমার আপত্তি। রাষ্ট্র ত একটা এজেন্সী ছাড়া আর কিছু না।

যারা বলেন, মন্ত্রীদের পদত্যাগ করা দরকার, তারা ত আসলে রাষ্ট্ররে গুরুত্বপূর্ণ কইরা তোলেন। যেন মন্ত্রীরা চেইঞ্জ হইলেই বিদ্যমান ‘বিষাদ’গুলার ‘আনন্দ’-এ পরিবর্তিত হওয়া সম্ভব! মাহবুব মোর্শেদের কথাতেও এই জায়গাটাতে [রাষ্ট্ররে গুরুত্বপূর্ণ ভাবাটাতে] কোন আপত্তি নাই, বরং উনার কথায় মনে হইছে যে, রাষ্ট্র ব্যাপারটা ত অ-গুরুত্বপূর্ণ না-ই, বরং রাষ্ট্রের ক্ষমতা দখলের জায়গাটারে মেরামত করা লাগবো। তাইলেই একটা কিছু হইবো।

যদিও (টাইগার) বামপন্থী ফারুক ওয়াসিফের সাথে উনার তর্কাতর্কি দেখি ফেসবুকে, জাহাঙ্গীরনগরের ধর্ষণ-বিরোধী আন্দোলন বিষয়ে [এইটার অসারতা নিয়াও চিন্তা আছে আমার, বলবো নে পরে] কিন্তু উনাদের ঐক্যের জায়গাটারেই বিরাট বইলা মনে হয়। দুইজনেই শুধুমাত্র রাষ্ট্র-ক্ষমতার দখলটারে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন বইলা না, রবং উনারা যেইভাবে চিন্তা করেন, সেই জায়গাটা একইরকম বইলা। Continue reading

ইয়াং কবিদেরকে কয়েকটা পরামর্শ

১. বাক্যের ভিতর চমকাইয়া দেয়ার ক্ষমতারেই যারা কবিতা ভাবেন, তাদের কবিতা পইড়েন না। কবিতা ভাষার ভিতর দিয়াই লেখা হয়, কিন্তু ভাষার কসরতই কবিতা না।

২. তত্ত্ব-চিন্তা দিয়া কবিতা লেখা হয় না। কবিতার ভিতরে তত্ত্ব-চিন্তারে গুরুত্ব দিয়েন না। যাঁরা গুরুত্ব দিতে চান, তাঁদের কবিতার পছন্দরে সবসময়ই সন্দেহের ভিতর রাইখেন।

৩. কবি হইতে হইলে কারো সাথে বইসা মদ খাওয়াটা জরুরি না।

৪. আগে-যারা-কবিতা-লিখতেন-কিন্তু-এখন-লিখেন-না সেইসব মানুষদের সাথে মিইশেন না। Continue reading

‘আলোচনায় প্রবৃত্ত’ হওয়া বিষয়ে

একটা স্ট্যাটাসে (http://web.facebook.com/imrul.hassan/posts/10150227887597093) আলাপ করতে গিয়া মজনু শাহ ‘আলোচনায় প্রবৃত্ত’ হওয়া/না-হওয়া বিষয়ে উনার অবস্থান জানাইছেন আর আমার কাছেও আমার অবস্থানটা জানতে চাইছেন। আমার মনে হইছে, আরেকটা কমেন্ট না কইরা একটু গুছাইয়া উত্তর করতে পারলে ভালো হয়। নিজের অবস্থানটা হয়তো আরো বিস্তারিত করা যাইবো, ফরম্যাটের কারণেই।

মজনু শাহ’র কমেন্ট থিকাই মনে হইতে পারে যে, ‘আলোচনায় প্রবৃত্ত’ হওয়া বিষয়ে আমাদের পরস্পর-বিরোধী অবস্থান আছে। ‘বিরোধ’ একটা আছে, কিন্তু সেইটা যতোটা না ‘আলোচনা’র জায়গাতে, তার চাইতে ‘আলোচনা’ থিকা আমরা কি ‘প্রত্যাশা’ করি, সেই জায়গাটাতে।

 

‘আলোচনা’ কেন করতে চাই?

মজনু শাহ’র মূল যে অ্যাজামশন সেইটা হইলো: আলোচনা আমরা করি জানার জন্য, কিন্তু এইভাবে জানতে গেলে সময় নষ্ট হয়, এর চাইতে এই বিষয়ে পড়াশোনা কইরা আরো ভালোভাবে জানতে পারি। এই ভাবনার সাথে আমার দ্বিমতটা হইলো, শুধুমাত্র জানার জন্যই ‘আলোচনায় প্রবৃত্ত’ হই না আমি। পলিমিকস বিষয়ে ফুকো’র একটা মতামত অনেক আগে থিকাই আমি সাবস্ক্রাইব করি। মানে, জানার জন্য আলোচনা কোন পজিটিভ উপায় কিনা সেই জায়গাটাতে আমার সন্দেহ আছে। তাইলে কেন আমি আলোচনা করি বা করতে চাই? Continue reading

জুলাই ৬, ২০১১

পরাজিত ভাবনার চাইতে বাজে আর কি হইতে পারে! ইচ্ছা হয় অনেক পথ হাঁটি… ভৈরব যাইতে চাই, গত শুক্রবারেও মনে হইলো যাই একবার, এই শুক্রবারও যাইতে পারবো বইলা মনে হয় না… অর্ধ-সমাপ্ত কাজের ভিতর বইসা আছি, এই ভাইবা যে, এইগুলা ত আমার কাজ না… ইচ্ছা হয় সারাদিন মাথানিচু কইরা বইসা থাকি… অনুবাদ-সাহিত্য ত আমার না… যে কবিতা লিখতে চাই, সেইটা কই?… পুরান ডায়রিও খুঁজলাম, কবিতা ত আমি লিখিই নাই!… আবার নতুন কইরাই শুরু করা লাগবো… [pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

ব্লগ ও সাহিত্য: ক্ষুদ্রত্বের আকাংখা এবং আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা

কমিউনিটি ব্লগে ত লিখছি কিছুদিন; সম্ভবত ২০০৬/৭ থিকা ২০১০ এর মাঝামাঝি সময়টাতে; সচলায়তন-এ নিয়মিতই, প্রায় ৮/১০মাস; আমার ব্লগ-এ ২/৩মাস, আর এর ফাঁকে সামহোয়ারইন ব্লগ-এ কিছুদিন ছাড়াছাড়া-ভাবে; এরমধ্যে গুগল-এও একটা নিজের ব্লগ অ্যাকাউন্ট করছিলাম, একধরণের আর্কাইভিং এর জন্য। কোনকিছুই কনটিনিউ করা হয় নাই, শেষপর্যন্ত।

কেন যে হয় নাই, এই বিষয়টা নিয়া মোটামুটি একটা ধারণা আমার হইছে।

একটা কারণ যে আমি ‘সাহিত্য’ লিখতে চাই, ‘ব্লগ’ লিখতে চাই না। সাহিত্য এবং অন্যান্য লিখিত ফর্ম (সংবাদ প্রতিবেদন, এনজিও গবেষণা-পত্র…) এর মধ্যে নানান পার্থক্য আছে, প্রধান পার্থক্যটা মনেহয় উদ্দেশ্যের দিক থিকা। উদ্দেশ্য বলতে খুব ডেফিনিট কিছু না যে, আপনি আসলে কি করতে চাইতেছেন, কেন, কার জন্য ইত্যাদি… এইসব প্রশ্নের সমাধান কইরা ত আর লেখালেখি হয় না, কিন্তু একটা ধারণা আসলে থাকেই বা লিখতে লিখতেই তৈরি হইতে থাকে। ‘কেন’ জিনিসটা রিফ্লেক্টেট হয় মোস্টলি ‘কিভাবে’-এর ভিতর দিয়াই; আলাদা কইরা ‘কেন’ মনেহয় হয় না। Continue reading