এপ্রিল ১, ২০২৩
এইটা মনে হইতেছিল John Wick 4 দেখতে গিয়াই যে, আসল ভিলেনের লগে মারামারি কিন্তু খুব অল্পই হয় নায়কের। যে কোন একশন-মুভিতে ভিলেনের চেলা-চামুন্ডা, ছোট ছোট ভিলেনরে সামলাইতেই আসলে টাইম লাগে বেশি।
আগে তো ভাবতাম যে, সিনেমারে লম্বা করার লাইগা এইগুলা করে। এখন অইটা তো আছেই, কিন্তু তারপরও ভিলেন নরমালি দলবল নিয়া থাকে, একলা থাকে না। অই দলবল সামলাইতেই টাইম বেশি লাগে আসলে। অই ছোট-মাস্তানগুলারে সাইজ কইরা ফেললে পরে দেখা যায়, ভিলেন এতো “প্রবল পরাক্রমশালী” কিছু না! মানে, একটা লাস্ট ফাইট তো হয়-ই। কিন্তু ভিলেনের সাঙ্গাতগুলারে সাইজ করা লাগে আগে।
মানে, বাংলাদেশের পলিটিকাল অবস্থার লগেও এই জায়গাটারে একটু মিলায়া দেখতে পারেন।
এপ্রিল ২, ২০২৩
– নুন-ভাত হোক, ফেন-ভাত হোক বা মাছ-মাংস-চাইল
গরিবের চাওয়া দালালদের কাছে সবসময় ‘ফানি’ ঘটনাই –
বাকশালি বাটপারগুলা ঘটনাটারে এইভাবে দেখাইতে চায় যে, ১৯৪৩’র সময়ে মানুশ নুন-ভাত চাইতো, ১৯৭৪’র সময়ে চাইতো ফেন-ভাত, আর এখন চাইতেছে মাছ-মাংস-চাইল! তো, এইটা হইতেছে উন্নয়ন!
মানে দেখেন, এরা কিন্তু একসেপ্ট কইরা নিতেছে আজকে বাংলাদেশের অবস্থা ১৯৪৩ বা ১৯৭৪’র মতোই। যে, মানুশ নিজে আর যোগাড় করতে পারতেছে না, কিনতে পারতেছে না! চাইতেছে, হাত পাততেছে! এই পয়েন্টটারে মিস কইরা যাওয়াটা ঠিক হবে না।
সেকেন্ড হইতেছে, ফুড হ্যাবিটের ব্যাপারটারেও কন্সিডার করেন। ঢাকার কোন হোটেলে কি সবজি-ডাল দিয়া খাইয়া আসতে পারবেন, মাছ বা মাংসের কোন আইটেম ছাড়া! মানে, তাইলে তো হোটেল-বিজনেসই বন্ধ হয়া যাবে! আগের দিনে তো পোল্ট্রি ছিল না, ফার্মিং ছিল না; মানুশ নুন-ভাত, ফেন-ভাতই খাইছে। এখন ফকিন্নির বাচ্চাগুলা কেন মাছ-মাংস খাইতে চায়! চেত’টা আসলে এইখানেও! (নুন-ভাত বা ফেন-ভাত খাইতে চাইলে যেন খাইতে দিত, বা তখন দিছে!)
দুইদিন আগেও ভিখারিরা ২টাকা ভিক্ষা চাইতো, এখন ১০ টাকা ভিক্ষা চায়। (পরে পলিসি বদলাইছে, কয় খাওয়ার টাকা দেন। একটা রুটি খাইতেও তো ১০ টাকা লাগে।) এতে কইরা ভিখারিদের ‘উন্নয়ন’ হয় নাই, লিভিং স্যান্ডার্ড বাড়ে নাই, খরচ বাড়ছে, টাকার দাম কমছে। নুন-ভাত, ফেন-ভাত এবং মাছ-মাংস-চাইলের ঘটনাটা এইরকমেরই।
থার্ড বা মেইন ঘটনা হইতেছে, ব্যাপারটা এইরকম না যে, এরা ‘ভুল-কথা’ বলতেছে, এরা জাইনা-শুইনা এই হাউকাউ করতেছে, যাতে কইরা মানুশের দুরাবস্থার কথা কেউ না বলে। এইটা কোন লজিকাল কথা বা পজিটিভ-প্রপাগান্ডাও না, এই স্রেফ একটা থ্রেট!
একটা আগলি ফান! যে, এইগুলা নিয়া কথা বলা যাইবো না! বললে তোমাদেরকে নিয়া সুশীল-হাসি হাসবো, ফান করবো আমরা! তোমাদেরকে আমাদের দলে নিবো না।
মানে, এইটা লজিকাল কোন আর্গুমেন্টই না, বরং এক ধরণের ক্লাস মেনিফেস্ট করা যে, তোমাদের হায়-হুতাশ নিয়াও আমরা হাসি-ঠাট্টাই করি! যার ফলে এই দালালদের কথার কোন জবাব হয় না, এর যে বড় “ফান” কইরাই এর জবাব দেয়া লাগে। আর হইতেছেও সেইটাই।
Continue reading →