এই সিরিজটার নাম হইতে পারতো – পুরুষের প্রেম বা অন্য আরো অনেককিছুই। এই টানাগদ্যের ফর্মটাও অনেক কমন একটা ন্যারেটিভ ফর্ম আর সাবজেক্টটাও – না-পাওয়া প্রেম [প্রেম পাওয়া যায়, এই ব্যাপারটাই কি রকম না! এইখানে গরুর (ইদানিং অ্যাট একচুয়াল লিখতে গিয়া লিখে – গাভী’র) দুধের চা পাওয়া যায়’র মতোন]।
তো, আমি হয়তো ভাবছিলাম যে, একটাকিছু ইনসার্ট করতে পারবো, কিছু একটা কি হবে না? – আমি লিখলে? হয় নাই আসলে। এই রায় আমি-ই দিতে চাই। কমপ্লিটও হয় নাই পুরা সার্কেলটা, লেখার। সিরিয়ালটাও হয়তো ঠিক করা লাগবে। কিন্তু অনেক তো হইছে আসলে। ২০১৩-তে শুরু করছিলাম, ২০১৪-তেই লেখা মোস্টলি, তারপরে ২০১৫ আর ২০১৬-তেও লিখা হইছে কয়েকটা। তো, লিখছি যেহেতু থাকলো, একটা জায়গায়। এর বেশি কোনকিছু না।
————————-
————————-
পায়ের ছাপ
কাছ দিয়া হেঁটে গিয়া একটু দূরে দাঁড়াইলো শি। হেঁটে হেঁটে আবার চলে যায়। দরোজার পাশে কিছু কি ছিল? জানালায়? আকাশে? এই হেঁটে যাওয়া ভালোলাগে আমার। শরীরে মেঘের গন্ধ নিয়া শে ভেসে গেলো। একটা বৃষ্টির আশংকা। একটা অনুচ্চারিত কথা। একটা ছোট্ট মেঘ। একলা আর বেশিদূর যাইতে পারে না। শে আসে আর নেমে যায় ঘাসের শরীরে। আমার বুক কাঁপে। মরে-যাওয়া এত নরমাল। এতোটাই যে, বললাম আর আমরা মরে যাইতে পারলাম। দূর থেকে কাছে আর কাছ থেকে দূরে, কেঁপে উঠা শব্দগুলাই থাকে খালি। বলে, আমরা ত গেলাম। মিনিংয়ের ভিতর এখন ঘুরপাক খাইতে থাকো তুমি। আমি ভাবি শি’র কথা; বলি, কি হয় না গেলে, দুনিয়া ত যাইতেই আছে, থাকবে; তার ভিতর আমরার যাওয়া, কি দরকার! অথচ দিন, বিরাট অজগরের মত গিলে খাইলো আমাদের। ভ্যানিশ কইরা দিলো একদম। পায়ের ছাপও নাই।
ইরেজ হেড
শি চলে যাওয়ার আগে থিকাই শি’রে দেখি না আমি আর। তার মানে ওর চলে যাওয়া ঘটছে বেশ আগেই। আর আমি ত নাই-ই। যেহেতু আমার থাকা-ই নাই ওর কাছে, না-থাকা আর কেমনে হয়? এর শোধ নিতেই আমি ইরেজ করতে থাকি ওরে। আর ইরেজ করতে গেলে যা হয়, শাদা কাগজটা ময়লা হইতে থাকে। ঘষতে ঘষতে আমি পাতাটাই ছিঁড়া ফেলি। শি যে আছিলো, সেইটাই নাই করতে চাই আমি। তারপরেও শে আসে। কয়, মুছে ফেলতে পারতেছো তুমি ঠিকঠাক মতো? যা যা কিছু তুমি বলো নাই? আমি কই, চেষ্টার ভিতর আছি, পাইরা যাবো; এইটা নিয়া তুমি চিন্তা কইরো না! শি কয়, না, না, তুমি পারবা, আমি জানি ত! আমরা দুইজনেই দুইজনের কাছ থিকা মুছে যাইতে থাকি। ময়লা শাদা একটা পাতার ভিতর। না-থাকার। Continue reading