প্লে দ্য গেইম

কবিতা পড়াটা কখনোই জরুরি কিছু না। ইচ্ছা হইলে পড়লাম। ইচ্ছা হইলে পড়লাম না। কিন্তু অ্যাভেইলেবল তো থাকতে পারে বিভিন্ন ফর্মে। যেমন ধরেন মোবাইল ফোন; এইটা দিয়া আপনি কথা বলেন, টেক্সট করেন, একটু দামি হইলে ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারেন, ছবি তুলেন, গান শুনেন, ফোন-টোন না আসলে এমনে এমনেও তাকায়া থাকতে পারেন। তো এইরকম মোমেন্টে, চাইলে কবিতাও পড়তে পারেন। আমার পাঁচটা কবিতার বই-ই অ্যান্ড্রয়েড প্লে স্টোরে রাখা গেছে। কাগজে ছাপানো বই ভালো জিনিস, কিন্তু মোবাইলে পড়ার ট্রাই তো করতেই পারেন, কোন না কোন অকোয়ার্ড মোমেন্টে। পুরান প্রেম আর কদ্দিন। মানে, পুরান প্রেমেরও নতুন নতুন সারফেইস তো দরকার! Continue reading

একটা আর্ট – এলিজাবেদ বিশপ।

হারায়া ফেলার আর্ট শিখাটা কঠিন কিছু না,
ইচ্ছার ভিতরে মনেহয় কতো জিনিস আটকাইয়া আছে
তাদের হারায়া ফেলাটা হারানোর ভিতর, বাজে কিছু না।

প্রতিদিন কিছু না কিছু হারায়া ফেলো। মাইনা নাও হতভম্ব হওয়াটা
দরজার চাবি হারায়া ফেলা, একটা ঘণ্টা বাজে কাটানোটা।
হারায়া ফেলার আর্ট শিখাটা কঠিন কিছু না।

তারপরে প্রাকটিস করো আরো বেশিকিছু হারায়া ফেলার, আরো তাড়াতাড়ি কইরা:
জায়গাগুলি, আর নামগুলি আর যেইখানে যেইখানে তুমি
যাইতে চাইছিলা। এইগুলির কোনটাই বাজে কিছু না। Continue reading

দিস ইজ মাই ডিসেম্বর (ডিসেম্বর, ২০১৫)।

ইমাজিনিং সামওয়ান লাইক ইউ

যেইভাবে তুমি বইসা থাকো;
তোমার থাকার ভিতর
থাকতে থাকে অনেককিছু – একটা নভেম্বরের সন্ধ্যা,
নারিকোল পাতার ডানায় কুয়াশা, হিবিজবি গান, গান্ধী পোকা, একটানা আওয়াজ কিসের জানি,
শাদা অন্ধকার, শাশ্বত টাইপ গোলাপ, ভেটকাইন্না ওয়াও, সিলি সকলবকুলফুলও থাইকা যাইতে পারে মনেহয়,
একটা পাকুড় বট? থ্রিলার কাহিনির লম্বা বারান্দা, কিউরিসিটি, একটা ক্লান্ত মন
মন তো জানেন মনের সব – এইসব কারিকুরি, কি জানি কি জানি…
ভাবি আমি;
আর বসে থাকতে থাকতে গুটলি পাকায়া শুইয়া পড়ার একটা ছবি
আমি ইনসার্ট করার ট্রাই করতে থাকি,
কাইত হয়া বইসা আমারই চেয়ারে
আমি ভাবি, যেইভাবে তুমি বইসা থাকো
মানে, থাকতেই তো পারো, আমার না-পারার মতো
ঝাপসা, অল্প একটু।

  Continue reading

সিলেক্টেড পোয়েমস: নভেম্বর, ২০১৫।

শীতের ডায়েরি

আরেকটা সিগ্রেট খাবো। তারপরে লিখবো। লেখা যে যায়, এইটারে একটা ঘটনা বানাবো। ঘটনার ভিতরে ঢুইকা পড়লে তখন ঘটনা আর কোন ঘটনাই নাই। রেসিপি বানায়া বানায়া লিখতে থাকবো।

পা দুইটার তো কোন দরকার নাই। কাইটা ফেলবো?

 

রেন্ডম

রেন্ডম পিপলদের সাথে রেন্ডম বিকালবেলা পার করার পরে রেন্ডম লাইফ নিয়া রেন্ডম কিছু ওয়ার্ড লিখতে লিখতে মনে হইলো রেন্ডম যে আইডেন্টিটি রিনেইমে ঘুরতে থাকে খালি পা ব্যাথা হইলে পরে রেন্ডম কোলে আসবা বাবু তুমি?

‘কোল থেকে কোলে ভেসে যাই আমি
আমারে নাও তোমারই বক্র কোলে’ Continue reading

কবিতা লেখা, বই ছাপানো…

১.
ব্যাপারটা আসলে একটু ঝামেলারই; এই যে কবিতা লেখা, তারপর ফেইসবুকের ওয়ালে শেয়ার করা এবং শেষে নিজে নিজেই বই ছাপানোটা। এইটা মোটামুটি একটা প্রমাণ যে নোবডি বদারস। মানে, এইরকম কবিতা-লেখা জিনিসটা দেশ, মানুষ বা ভাষার কোন কাজে লাগে না। বা যেইভাবে কোন জিনিসরে কাজে লাগানো যায় সেই অ্যাক্টটার ভিতর এইটা আর নাই। এইরকম কাজকাম একটা সার্টেন এইজ পর্যন্ত মেবি অ্যালাউড; যে, ঠিকাছে কলেজ-ইউনির্ভাসিটতে পড়ে বা চাকরি-বাকরি করে না, দ্যান এইরকম করতেই পারে, সোশ্যালি অ্যাকসেপ্টেবল হইতে পারে ব্যাপারটা। বা ধরেন, অ্যান্টি-সোশ্যাল হইতে পারলেও কাজে দিতো; বালছাল কি জানি আন্দোলন ছিল না, লেফট-রাইট, ওইগুলাও হইলেও হয়। কিন্তু এইসব কোনকিছুই নাই এইখানে। এই বই ছাপানোটা একটা ফেইলিওরেরই ঘটনা।

ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ’র ‘আমার কথা’ বইটা যখন পড়ছিলাম তখন মনে হইছিল, কতো সাধনা উনার; তারপরও বলতেছেন উনি কি কষ্ট নিয়া, পারি না! আমার এতো চেষ্টাও নাই, বরং অনেকবেশি ফ্লোটিং; কনটিনিউয়াসলি ট্রাই করতে থাকি। পারি না – এইটা মাইনা নিতে পারলেও শান্তি হইতো, কিন্তু আমি ট্রাই করতেই থাকি, আরো টেরিবেল ভাবে ফেইল করি। এইসব ফেইলিওরের তো পেইন আছে, আর মুশকিল হইলো এই পেইন অন্যদেরকেও নিতে হয়, যাঁদের সোশ্যালি মিশতে হয় আমার সাথে। কিন্তু উনারা এইটা ডির্জাভ করেন না। তখন খারাপ-ই লাগে… দ্যান আমি আবার আমার নিজের ট্র্যাকে চইলা আসি। একই জিনিস রিপিট করতে থাকি। কবিতা-ই লিখি। শেষমেশ, বেশ বাজে কাজই একটা।

কেউ কেউ মাইনা নিছেন এইটা, ইগনোর করতে পারেন। কারো মাইনা নেয়া ছাড়া আর কোন উপায় নাই।… Continue reading