সিলেক্টেট পোয়েমস: অগাস্ট, ২০১৫।

 

বাঘ-বন্দী

আমাদের বন্দীটারে
আমরা বন্দী কইরা
আমাদের কাছেই
রাইখা দিলাম।

 

রোলিং স্টোন

যা কিছু আমি বুঝতেছি না, তা আর ঘটতেছে না।
যা কিছু আমি দেখতেছি না, তা ঘটার সম্ভাবনাই; ঘটনা কিনা শিওর না।

আমি অনুমান করতে পারি খালি। অনুমানগুলি সত্যি না।

যা কিছু সত্যি, তারা আমার বুঝা আর দেখার ভিতর কোন একভাবে থাকতেই থাকে।

সত্যি হইলো পাত্থর। অথবা আমাদের নিজস্ব এক একটা সত্যি।
তারপরও অন্যরা অনুমান করতে থাকে। কোনটা আমার সত্যি; সত্যি সত্যি?

সত্যির নাম দিয়া সবাই নিজেদের অনুমানের কথা-ই বলে। এইরকম ভাবতে পারি আমি।

আমি যে ভাবতেছি এইটা ভাবতেছো তুমি।

তোমার সত্যি’র পাথর নড়তে পারতেছে না।

আমি গড়াইয়া গড়াইয়া সরে যাইতেছি আরো দূরে…

তারপর, একটা মিথ্যার ভিতর, স্থির।

Continue reading

সিলেক্টেড পোয়েমস: সেপ্টেম্বর, ২০১৫।

 

সত্যরে ভালোবাসিলাম

সত্য দেখি নড়ে চড়ে না,
গাঁট হয়া
বইসাই থাকে
কাঁঠাল গাছের তলে
দুপুরবেলার রোদে

আমি কইলাম,
ভাই, শরৎকাল আইছে তো
সে কয়,
আসেনি তো অটাম

Continue reading

সিলেক্টেড পোয়েমস: অক্টোবর, ২০১৫।

 

বেলা বিস্কুটের বাস্তবতা

কি ভালোই না হইতো, যদি তুমি তোমার ম্যরালিটির গর্ত থিকা বাইর হইতে পারতা;
যদি আমি ভাবতে পারতাম প্রাকটিসগুলাই তো আর মানুষ না
(শেখ হাসিনা বেলা বিস্কুট খান বইলা আমি বেলা বিস্কুট খাইলেই তো আর শেখ হাসিনা না, এইরকম…),
এর বাইরেও কিছু না কিছু থাকে; থাকতে তো পারে
অহেতুক ইমাজিনেশনগুলির বাইরে, আমাদের রিয়ালিটির একটা দুনিয়া।

Continue reading

শীতের দিন

১.
EAT YOUR SOUL
ইটের দেয়ালে লিখে রাখি।

কত কত মানুষ
কতো কতো মানুষ

আকাশে তারার মতোন
আকাশে তারাদের মতোন
ডুবে যায় রাত এখন

 

২.
এখন যে রাত
রাত ও দিন

রিপিট ইট
রিপিট ইট।

Continue reading

কমেন্টস অন উৎপলকুমার বসু

আমার ধারণা, উৎপলকুমার বসু ডিডাক্টিভ পদ্ধতিতে কবিতা লিখতেন; মানে, অনেককিছু বাদ দিয়াই তো আমরা লিখি; কিন্তু পদ্ধতি হিসাবে উনি এইটা বেশ স্মুথলি ইউজ করতেন; এই জায়গাটা* – “বাতাস শান্ত, নীল।” – দেইখা জিনিসটা আরেকবার মনে হইলো; যিনি পড়বেন তিনি কিন্তু বুঝবেন যে, না-থাকা শব্দটা হইতেছে ‘আকাশ’ যেইটা নীল। এই যে বাদ দেয়াগুলি বাদ-ই দেয়া যাইতেছে এবং তারপরে ফিল করা যাইতেছে, এই আনন্দ উনার কবিতা পড়লে পাওয়া যায়।

আরেকটা লাইনের কথা অ্যাড করা যায় এইখানে, ওই যে ‘বাদাম পাহাড়’… “তোমার ব্যক্তিগত বসন্তদিনের চটি হারিয়েছ বাদাম পাহাড়ে”। মানে, পাহাড় তো বাদাম রংয়ের হইতেই পারে, খাগড়াছড়িতে দেখছি এইরকম, ঘাস এবং গাছ-গাছালির ছাল উইঠা যাওয়া পাহাড়। কিন্তু যদি লিখা হইতো, “ব্যক্তিগত বসন্তদিনের চটি আমি হারিয়েছি বাদাম রঙের পাহাড়ে”… কবিতা তো কমতোই, উৎপলকুমার বসু’রেও কি আর তেমন একটা কিছু মনে হইতে পারতো? মানে, আমি ডাউটফুল আর কি। Continue reading