[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote] শিমুল সালাহ্উদ্দিন উনার গালুমগিরি সংঘ থিকা কবি কাজল শাহনেওয়াজ-এর কবিতা পড়া’র প্রোগ্রাম করছিলেন ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে। ঢাকায়, পাবলিক লাইব্রেরীতে। ওই প্রোগ্রামে উনার কবিতা নিয়া বলার লাইগা আমারে রিকোয়েস্ট করছিলেন শিমুল। পুরা প্রোগ্রামটার ভিডিও কাজল শাহনেওয়াজ আপলোড করছিলেন; ওইখান থিকা আমার আলাপের অংশটুক এইখানে রাখলাম। শেষের দিকে কিছু অংশ বাদ গেছে অবশ্য। আর এমনিতে আমি কথা বলার সময় ডান চোখ টিপি না, টানা কয়েক রাত জাইগা থাকার কারণে এই অবস্থা হইছিল।
:: কবিতা ::
চাঁদ
[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote] অনেকটা সময় আমি একলা থাকতে পারি। ভাবতে পারি, আমি আছি যে, এইটা আসলে নাই। তখন মনে হইতে থাকে, রাস্তার ধূলা, টেম্পোর হর্ণ, ট্রাকের ভোমা চাকা, রিকশাগুলার একটু একটু কইরা চইলা-যাওয়া, এরা তো আছে। এরা ধইরা রাখবে না আমারে! যেহেতু আমি দেখতেছি, তারাও কি দেখে না আমারে! দেখে, অপরিচিতের মতোই। যেমন চাঁদ দেখে আমারে। চাঁদ দেখে তারেও, যে থাকে দূরে। এমন একটা দূর, যেইখানে চাইলেই যাইতে পারি আমি, শেও আসতে পারে। আমি আর চাঁদ, দূর থিকা দেখি, একজন আরেকজনরে। দেখার ভিতর দিয়াই ভুলে যাবো কোনদিন আমাদেরকে আমরা! চাঁদ বলে। চাঁদ-ই তো দেখে আমার না-দেখা। তারপরও, তারপরও ভুলে যাবে, না?
ঘুমাইয়া ঘুমাইয়া রাত জাগার স্বপ্ন দেখলাম
শান্তি আছে বইলাই কাঁধে কাঁধ ছুঁইয়া বইসা থাকা
স্টেইনলেস ষ্টিলের চামচ মুখে নিয়া বিস্কুট দৌড়ে নামি নাই
কুয়াশায় কি জানি ঝরে
অ্যাফ্লুয়েন্ট একটা জিনিস –
রিচ রিচ ফিলিংস হয়
স্পাইডারের মতোন ধীরে ধীরে সুতার জাল বোনা
দেখি নাই আমি,
শুনতে যে পাই, মনেহয়
এনাফ ঘটনা ফিল করা যায় যখন
না গিয়াও যাওয়াই হইতেছে এখন
(তুমি ঘটনার বাইরে থাকতে পারো, ঘটনা ত তোমারে বাদ দিয়া ঘটতে পারে না, এইরকম) Continue reading
লোনলিনেস
ছবি: দঈত আননাহাল
অনেকদিন পরে লোনলিনেসের সাথে আবার দেখা। সে কয়, ভাই আপনি না গেছিলেন গা; আবার কই থিকা আইলেন? আমি কই; না, না, ফিরা আসি নাই ত একবারে; দেখতে আইলাম রাস্তাঘাট কিরকম, আগের মতোন আছে কিনা; এখনো গরুর দুধের চা বেচো নাকি, এইসব। সে কয়, দুইটা সিগ্রেট খান ভাই, একটার পুটকি দিয়া আরেকটা ধরাইয়া, তাইলে ভাল্লাগবো। কুয়াশা এখনো পড়ে নাই। মনেহয় বাতাসে খালি একটু ধোঁয়া উঠতেছে। রিকশা-ট্রাক-বাস-টেম্পু-কার সবাই যাইতেছে কোথাও না কোথাও। লোনলিনেস চা বানাইতেছে। চা-টা খাইয়া আমি আবার হাঁটতে হাঁটতে বাসায় চইলা আসবো। মনেই হবে না, রাস্তায় লোনলিনেসের সাথে দেখা করতে গেছিলাম। মাঝে মাঝে এইরকম ত আসা-ই যায়, আমি ভাবতেছিলাম।
দুইটাকার কবি হন, নাইলে একটাকার
কবি হইতে হইলে কথা কম কইবেন, কম লিখবেন। মানে, যা লিখতে পারতেন, সব লেখবেন না। লেখলেও দেখাইবেন না। বারবার একই জিনিস কেন লিখবেন? তাও আবার প্রত্যেকদিন? না-কওয়া দিয়াই কইয়া ফেলতে হবে অনেক কথা। এইরকম হইতে হবে, বাংলাভাষার কবি হইতে হইলে। চুপ-থাকাটা শিখবেন। ইন ডিউ টাইম। তারপর চেকটা হাতে পাইতে পারবেন একটা সময়, কবি-হওয়ার। মরা’র আগেই। সিরিয়াল বেশি লম্বা না হইলে। আর মরলে এইসব দিয়া কি করবেন? বাঁইচা থাকতে থাকতেই প্রাকটিস করা শুরু করেন। আমি না, ভাস্কর চক্রবর্তী-ই কইছেন এইটা: “ঠিক সময়ে ঠিক কথা বলার দাম একটাকা, ঠিক সময়ে চুপ করে থাকার দাম দু’টাকা।” Continue reading