যেহেতু আমি সমালোচনাই করতে পারতেছি,
আমি তোমারে আর লাইক করবো কেমনে!
যেহেতু আমি সমালোচনাই করতে পারতেছি,
আমি তোমারে আর লাইক করবো কেমনে!
[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote] গতবছর (২০১৪-তে) মাহবুব মোর্শেদ Spreaker-এ অডিও ইন্টারভিউ নেয়ার একটা প্রজেক্ট হাতে নিছিলেন। উনি দৈনিক কালের কণ্ঠের অফিসে কাজ করেন আর উনার অফিস বারিধারা’র বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়। আমি এই এলাকায় থাকার কারণে উনার ইন্টারভিউ লিস্টে আমিও ইনক্লুডেড হইছিলাম। আমার কবিতার বই ‘স্বপ্নের ভিতর’ নিয়া মিনিট ত্রিশেকের মতো একটা আলাপ হইছিল। লগে, মেহেদীউল্লাহও আছিলেন।
লেখা নিয়া কথা বলতে গেলে খুব ফ্রিলি যে কথা বলতে পারি সেইটা হয় না কখনো। যেমন, এই আলাপে আমি মোস্টলি একটু ডিফেনসিভ-ই ছিলাম। তারপরও কিছু কথা তো হইছিলই।
কেবল আত্মাই জানে কিভাবে গান গাইতে হয়। নির্বাচিত কবিতা, কমলা দাস। অনুবাদ, উৎপলকুমার বসু। সাহিত্য অকাদেমি, নতুন দিল্লী। ২০১২। পৃষ্টা: ১৯২। মূল্য: ১২০ রূপি। প্রচ্ছদ: অপরূপ উকিল।
কমলা দাস ত কবি। এইকথা বুঝতে পারলাম উৎপলকুমার বসু’র করা তার নির্বাচিত কবিতার অনুবাদ পইড়া। যিনি অন্তঃত দশটা কবিতা লিখতে পারছেন, তারে কবি বইলা মাইনা নেয়া যায়। উনার নির্বাচিত কবিতার বাংলা অনুবাদের নাম – কেবল আত্মাই জানে কিভাবে গান গাইতে হয়; ওইখানের একশ তিপান্নটা কবিতা থিকা বিশটার মতো কবিতা পাওয়া গেলো। বইটা বাইর করছে ইন্ডিয়ার সাহিত্য অকাদেমি, ২০১২-তে। আমি দুইবছর পরে পড়তেছি।
আমার ধারণা, এইটা কোন প্রজেক্ট-বেইজড কাজ, এক ভাষার কবিতা আরেক ভাষাতে ট্রান্সফার করার লাইগা; এইরকম আরো কবিতার বই অনুবাদ হইছে মনেহয় ইন্ডিয়ার অনেক ভাষায়। প্রজেক্ট হিসাবে এইটা ভালো, বাংলাদেশে চলতে-থাকা মীনা প্রজেক্ট যেইরকম (যদিও এইটার স্কোপ এবং ইমপ্যাক্ট অনেকবেশি)। হইতে পারে, এই প্রজেক্টের লক্ষ্য ইন্ডিয়ান স্টেইটগুলার মধ্যে রিজিওনাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং বাড়ানো বা এইরকম একটাকিছু; কিন্তু এইখানে, ইন্ডিয়ারে বুঝতে হইলে খালি বঙ্গ দিয়া যে বোঝা যাইবো না এই মেসেজটা বাংলাদেশের লাইগা ইর্ম্পটেন্ট। আর উৎপলকুমার বসু যে আইয়াপ্পা পানিকর-এর কবিতাও অনুবাদ করছেন, এইটা দেইখাও ভাল্লাগলো। বঙ্গের হিন্দু ও মুসলমানরা যে সিটিজেন হিসাবে ইন্ডিয়ান, এই পরিচয়টা তারা মাইনা নিতে পারতেছেন ত তাইলে! আগেও নিতেন হয়তো, এবং এখনো নেন, কিন্তু বাংলাদেশের কথা মনেহইলে উনাদের চোখের জল পানি হইতে হইতে যে আবার জল হয়া যায়, এইরকম একটা ব্যাপারই বেশিবেশি দেখান। যা-ই হোক, বঙ্গ যদি এইরকম সরকারিভাবে হইলেও তার ইন্ডিয়াননেস বাড়াইতে পারে, এতে বাংলা-সাহিত্যের ভ্যারিয়েশনই বাড়ার কথা। Continue reading
বালু নদীর তীরে, সন্ধ্যা নামছে ধীরে। ছোট ছোট দেয়াল দেয়া প্লটগুলাতে ফুটে আছে শরতের কাশফুল। তার সাথে ফটো তুলতে আসছে অনেকে। অনেকে দেখতে আসছে নিজেদের জমি, জামাইয়ের সাথে, আরো অনেক জামাই আর বউ’রাও আছে। এই খোলামেলা জায়গাটা উনাদেরও ভাললাগে। বাতাস আর অন্য কোন সাউন্ড না-থাকা। সাইকেল চালায়া নিজে নিজে গান গাইয়া যাইতেছেন পৌঢ় যুবক, গলায় হেডফোন রাখা। ডায়াবেটিস নাই, কিন্তু হওয়ার আগেই তার এই সাবধানতা অথবা ইয়াং হয়া যাওয়া। আমি হাঁটতে হাঁটতে বালুর পাড়টাতে গিয়া বসি, যার পাশে এখনো গর্ত, বালুতে ভরা, কিন্তু ভরাট হইতে পারে নাই পুরাটা; মনেহয় নদী ছিল এইখানে অথবা নদী-কল্পনা সম্ভব হয়া উঠে এই সন্ধ্যাবেলা। যেইভাবে শি ছিল, এখন আর নাই অথবা থাকা আর না-থাকার কোন সিগনিফিকেন্স নাই আর। বসে আছে শে অন্য কোন জায়গায়, অন্য কোন সন্ধ্যাবেলায়। Continue reading
গো গো গোকূল তুমি
বাড়িছো যে!
আমারে যে খাইতে আসবে বাঘ
সে কই? ঘুমায়ে গেছে?