গুগল বাংলাদেশরে অভিনন্দন বাংলাদেশের কনজিউমারদের গুরুত্ব দেয়ার জন্য

গুগল বাংলাদেশরে অভিনন্দন বাংলাদেশের কনজিউমারদের গুরুত্ব দেয়ার জন্য।

২৬শে মার্চ উপলক্ষ্যে গুগল বাংলাদেশের ডুডল

২৬শে মার্চ উপলক্ষ্যে গুগল বাংলাদেশের ডুডল

 

কনজিউমার হিসাবে কেউ আমারে গুরুত্ব দিতে চাইলে সেইটা নিতে আমি অ-রাজি না। ধরেন, যেই ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোর থিকা আমি সপ্তাহের বাজার করি সে আমারে ২% ছাড় দেয়, পাশে আরেকটা দোকান খুলছে বইলা। এখন এই ২% ছাড়ের ‘সম্মান’ না নেয়ার বিপ্লব করতে আমি রাজি না, কারণ ৩% দিলেই হয়তো বিপ্লবে ইস্তফা দিবো; চক্করটা এই জায়গাটাতেই – কনজিউমারিজমের ভিতরে। যখন আমি কনজিউমার, কোম্পানির দেয়া গুরুত্বরে আমি আমলে নিতে আগ্রহী।[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

আ্যাপল বা ফেইসবুক যে এখনো বাংলাদেশি শাখা খুলেন নাই, উনারাও এই ঘটনা থিকা উনাদের ব্যবসায়িক পজিশন রিথিংন্ক করতে পারেন।

 

চৈত্র ১২, ১৪১৯ (মার্চ ২৬, ২০১৩)

২২শে শ্রাবণ

এই একটা তারিখ কেমনে বাংলা’য় রয়া গেলো? (আরো আছে হয়তো, হিন্দুধর্মীয় উৎসবগুলা এর সাথে… কিন্তু ১লা বৈশাখ-ই ত এখন ১৪ই এপ্রিল)[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

তারও আগে মনে হয় বলাটা দরকার যে, একটা মানুষ যদি ভালো কবিতা লিখতে পারে, তার ভালো মানুষ হওয়ার ত দরকার নাই… মানে, ভালো মানুষ না হইলে জানি ভালো কবিতা লেখা যাইবো না, এইটা কোন ফাইজলামি… ভালো ভালো মানুষ কেন সব ভালো ভালো কাজ করবো, একটু একটু খারাপ মানুষ অনেক ভালো ভালো কাজ করতে পারে ত… মানে, ভালো জিনিসটারে ক্রিটিক্যাল না কইরাও এই কথা বলা যাইতে পারে…

Continue reading

The tree of life/জীবনবৃক্ষ

১.

“তখন তুমি কই ছিলা, যখন আমি দুনিয়ার ভিত্তিগুলা রাখতেছিলাম?… যখন সকালবেলার তারাগুলা গাইতেছিল একসাথে, আর আল্লার বান্দারা সবাই আনন্দে চিৎকার করতেছিল?”  [pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

 

এই লাইন কয়টা দিয়া সিনেমাটা শুরু হইছে।

 

এইটা আসলে সিনেমা না, স্ক্রিপ্টটা হয়তো একটা কবিতাই ছিল। খৃষ্ট-ধর্ম নিয়া লেখা কোন কবিতা।

 

শুরু থিকাই মন-খারাপ করার একটানা মিউজিক।

 

কিউরিয়াস কেইস অফ বেঞ্জামিন বাটন-এর ব্রাড পিট আর মিস্টিক রিভার-এর শন পেন।

 

দীর্ঘক্ষণ খালি অনুভূতিগুলার ফটোগ্রাফিক রিপ্রেজেন্টেশন।

Continue reading

‘আলোচনায় প্রবৃত্ত’ হওয়া বিষয়ে

একটা স্ট্যাটাসে (http://web.facebook.com/imrul.hassan/posts/10150227887597093) আলাপ করতে গিয়া মজনু শাহ ‘আলোচনায় প্রবৃত্ত’ হওয়া/না-হওয়া বিষয়ে উনার অবস্থান জানাইছেন আর আমার কাছেও আমার অবস্থানটা জানতে চাইছেন। আমার মনে হইছে, আরেকটা কমেন্ট না কইরা একটু গুছাইয়া উত্তর করতে পারলে ভালো হয়। নিজের অবস্থানটা হয়তো আরো বিস্তারিত করা যাইবো, ফরম্যাটের কারণেই।

মজনু শাহ’র কমেন্ট থিকাই মনে হইতে পারে যে, ‘আলোচনায় প্রবৃত্ত’ হওয়া বিষয়ে আমাদের পরস্পর-বিরোধী অবস্থান আছে। ‘বিরোধ’ একটা আছে, কিন্তু সেইটা যতোটা না ‘আলোচনা’র জায়গাতে, তার চাইতে ‘আলোচনা’ থিকা আমরা কি ‘প্রত্যাশা’ করি, সেই জায়গাটাতে।

 

‘আলোচনা’ কেন করতে চাই?

মজনু শাহ’র মূল যে অ্যাজামশন সেইটা হইলো: আলোচনা আমরা করি জানার জন্য, কিন্তু এইভাবে জানতে গেলে সময় নষ্ট হয়, এর চাইতে এই বিষয়ে পড়াশোনা কইরা আরো ভালোভাবে জানতে পারি। এই ভাবনার সাথে আমার দ্বিমতটা হইলো, শুধুমাত্র জানার জন্যই ‘আলোচনায় প্রবৃত্ত’ হই না আমি। পলিমিকস বিষয়ে ফুকো’র একটা মতামত অনেক আগে থিকাই আমি সাবস্ক্রাইব করি। মানে, জানার জন্য আলোচনা কোন পজিটিভ উপায় কিনা সেই জায়গাটাতে আমার সন্দেহ আছে। তাইলে কেন আমি আলোচনা করি বা করতে চাই? Continue reading

ইমেজ-ই কবিতা!

 

ইমেজ-ই কবিতা! একটা ভালো কবিতা শেষ পর্যন্ত সেইটাই যা একটা ভালো ইমেজ বা দৃশ্যকল্প তৈরি করতে পারে। এই পর্যন্ত পৃথিবীতে যত ভালো কবিতা আমরা পাইছি, কবিতাগুলি পড়তে বা শুনতে ভালো লাগে এই কারণে না যে, এইগুলির মধ্যে এক ধরণের শ্রুতিমধুরতা বা ধ্বনির তন্মময়তা আছে; বরং এইগুলি অনেক গভীর ইমেজের জন্ম দেয়। Continue reading