শি, অ্যান্ড দ্য রিটার্ন অফ শি (৯)

এই সিরিজটার নাম হইতে পারতো – পুরুষের প্রেম বা অন্য আরো অনেককিছুই। এই টানাগদ্যের ফর্মটাও অনেক কমন একটা ন্যারেটিভ ফর্ম আর সাবজেক্টটাও – না-পাওয়া প্রেম [প্রেম পাওয়া যায়, এই ব্যাপারটাই কি রকম না! এইখানে গরুর (ইদানিং অ্যাট একচুয়াল লিখতে গিয়া লিখে – গাভী’র) দুধের চা পাওয়া যায়’র মতোন]।

তো, আমি হয়তো ভাবছিলাম যে, একটাকিছু ইনসার্ট করতে পারবো, কিছু একটা কি হবে না? – আমি লিখলে? হয় নাই আসলে। এই রায় আমি-ই দিতে চাই। কমপ্লিটও হয় নাই পুরা সার্কেলটা, লেখার। সিরিয়ালটাও হয়তো ঠিক করা লাগবে। কিন্তু অনেক তো হইছে আসলে। ২০১৩-তে শুরু করছিলাম, ২০১৪-তেই লেখা মোস্টলি, তারপরে ২০১৫ আর ২০১৬-তেও লিখা হইছে কয়েকটা। তো, লিখছি যেহেতু থাকলো, একটা জায়গায়। এর বেশি কোনকিছু না।

————————————————

১ ।।  ২ ।। ৩ ।। ৪ ।। ৫ ।। ৬ ।। ৭ ।। ৮ ।।

————————————————

 

হঠাৎ

তোমার বাঁইচা থাকার লাইগা আমারেই কেন মরা লাগবে? শি জিগায় আমারে। মরো নাই তো তুমি! আমরা জাস্ট কথা বলা বন্ধ কইরা দিছি। একটা জিনিসরে কেন এক্সাজারেট করা লাগে তোমার? তোমার বাঁইচা থাকা তুমি চোদাও না গিয়া বাল। হোয়াই ইট হ্যাজ টু বি মি? এইরকম হাউকাউ করতে গিয়াও চুপ কইরা থাকি আমি। যে কোন কনভারসেশনই পসিবল না আর। একজন মানুষরে ন্যাংটা দেইখা ফেলার পরে যতোই তুমি তারে ঢাইকা রাখতে চাও, তার ইমেজ থাইকাই যায়। চোখ বন্ধ কইরা রাখলেও। অন্ধ হয়া গেলেও। একটা ট্রাজিক বা রোমাণ্টিক এন্ডিংয়ের লাইগাই তো ছিল এতকিছু। শি মেবি অপেক্ষা কইরা আছে, মেমোরিটা মুইছা গেলেই হয়। তখন ফোঁস ফোঁস কইরা ফিরা আসতে পারে। আমি ভয় পাই। আমি অন্য আরেকটা শি’র কথা ভাবি যে কখনো টেম্পট হইতে রাজি হয় নাই। অথবা দুই-তিনজন তারা ক্যাফেতে বইসা সিগ্রেট খাইতেছে। এই প্লেইসটা সেইফ। তারপরে সেলফি তুলে। আরেকজন শি আইসা বলে, বিয়া করছি ঠিকই, বাচ্চা তো নিবো না; আমার পেটে বাচ্চা দিয়া সে আরেকটা প্রেমই করতে চায়। ধোঁয়ায় বসে থাকে সবাই। আমি ভাবি যে উইঠা চইলা যাবো। আমি ভাবি, আমি তো মারা গেছি। মানে, আমি যদি মারা না যাই শি আর কেমনে বাঁইচা থাকতে পারে? এইটা এমন একটা দুনিয়া যেইখানে একজনই থাকে। আর আমাদের আইডেন্টিটি পিক করে সবচে নমিনাল এলিমেন্টটারে, যেইখানে ইউনিকনেস ক্লেইম করা যায়। উই আর ডান উইথ আওয়ারসেলফস। সো, একজনই আছে, শি। সামনের দিকে তাকায়া পিছনে হাঁটতে থাকি আমি। তেমন সমস্যা হয় না আসলে। বস্তার ভিতর দুই পা ঢুকাইয়া ব্যাঙের মতো লাফাইতেছে শি। আমি দেখতেছি। কুয়াশায় কিছুটা ঝাপসা লাগে। এখনো সন্ধ্যা আবার? একটা দিনের ভিতর কয়বার সন্ধ্যা হয়? ট্রাফিক জ্যাম কি আজকে ভাল্লাগতেছে? বুকার প্রাইজ পাওয়া বইয়ের পাইরেট কপিটা যদি তোমার গাড়ির জানালায় ধরি তুমি কি কিনতে পারো? পড়বা বইলা না, ধরো তুমি উদাস, ভাল্লাগতেছে না, কারো সাথে কথা বলাই যায়, এইরকম। আর সাথে সাথে ধূলা-বালি যত ঘিইরা ধরলো। ধরো, ৫০ টাকার নেগোশিয়েশন শেষ হইতে না হইতেই সিগন্যাল ছাইড়া দিলো। নীল গাড়ির ড্রাইভার সে। প্রাইড আছে। চইলা গেলো। পরের দিন মেবি দেখা হবে। পরের দিন। পরের দিন। পরের দিন। ধরো, মরার পরেও তো আছে পরের দিন। কয়েকটা পরের দিন পার হইলেই মনে হবে, মারা গেছি। কবরের ঘাসে বাতাস। পাকুড় বটের কাছে গোদারা ঘাটের কিনারে সন্ধ্যাবেলায়, আমি ভাবতেছিলাম, সবকিছুই কিরকম শেষ হয়                         হঠাৎ।

 

বইসা ছিলাম

অনেকক্ষণ বইসা থাকার পরে, অনেক অনেক ক্ষণ বইসা থাকার পরে লেখা হইলো, বইসা ছিলাম। “হইছে না এইবার?” শে জিগাইলো আমারে। আমি হাসলাম। কইলাম, ‘বইসা তো ছিলা-ই।’ শে কইলো, “না, না… বইসা থাকারে বসতে যে দিলাম; ঠিকাছে না এইটা?” তার চোখ হাসতেছিল, ঠোঁট নড়ে নাই। আমি বুঝতে পারলাম আর ওর হাসিটা হাসতে থাকলাম নিজেই আবার। কইলাম, ‘বইসা যে আছে, সে কি দাঁড়াইবো না আর… এতো শিওর তুমি কেমনে হইলা?’ “তখন না হয় লিখবো, দাঁড়ায়া গেলাম। 🙂 ” শি’র ঠোঁটও হাসলো এইবার। চোখগুলি ঝলমল। সূর্য ডুবে যাইতেছিল। দূর থিকা ভেসে আসতেছিল বৃষ্টির বাতাস। একটু একটু কাঁপতেছিল টিলার উপরের ঘাসগুলি। হাসিগুলি শেষ হয়া আসলো একটা সময়। ভাবতেছিলাম আমিও, লিইখা রাখবো কিনা, ‘বইসা ছিলাম।’ দূরে, জাহাজের ডেকে দাঁড়ানো শি’র চুলের মতোন উড়তেছিল পাশে বসে থাকা শি’র চুল। তখন।

Continue reading

শি, অ্যান্ড দ্য রিটার্ন অফ শি (৮)

 

এই সিরিজটার নাম হইতে পারতো – পুরুষের প্রেম বা অন্য আরো অনেককিছুই। এই টানাগদ্যের ফর্মটাও অনেক কমন একটা ন্যারেটিভ ফর্ম আর সাবজেক্টটাও – না-পাওয়া প্রেম [প্রেম পাওয়া যায়, এই ব্যাপারটাই কি রকম না! এইখানে গরুর (ইদানিং অ্যাট একচুয়াল লিখতে গিয়া লিখে – গাভী’র) দুধের চা পাওয়া যায়’র মতোন]।

তো, আমি হয়তো ভাবছিলাম যে, একটাকিছু ইনসার্ট করতে পারবো, কিছু একটা কি হবে না? – আমি লিখলে? হয় নাই আসলে। এই রায় আমি-ই দিতে চাই। কমপ্লিটও হয় নাই পুরা সার্কেলটা, লেখার। সিরিয়ালটাও হয়তো ঠিক করা লাগবে। কিন্তু অনেক তো হইছে আসলে। ২০১৩-তে শুরু করছিলাম, ২০১৪-তেই লেখা মোস্টলি, তারপরে ২০১৫ আর ২০১৬-তেও লিখা হইছে কয়েকটা। তো, লিখছি যেহেতু থাকলো, একটা জায়গায়। এর বেশি কোনকিছু না।

————————-

১ ।।  ২ ।। ৩ ।। ৪ ।। ৫ ।। ৬ ।। ৭ ।।

————————-

 

কাটাকুটি খেলা

যখনই কোন ইন্টার-অ্যাকশন হয়, তখন অন্য একটা কিছু চইলা আসে। সামথিং ট্রান্সিডেন্টাল। শি বলে, ফাইজলামিই এইসব। আমি জানি, এইটা যে বলা হইলো, সেইটা না-বলা আসলে। ইগনোর করা গেলো, কোন-না-কোনভাবে। আর এইটারে ট্রান্সিডেন্টাল বইলা ফাইজলামি করে শে। আমি জাইনা বইসা থাকি। আশপাশ দিয়া ঘুরাফিরা করি। কই না কিছু। যদি সেইটাই না-বলা হয়া যায়। যদিও সেইটা বলা-ই। এইরকমের তিন আঙুলের একটা ম্যাজিকের ভিতর যে শে জীবন পার কইরা দিতেছে, দেইখা আমার খারাপ লাগে। ওরে আমি কই, দেখো কাজল, দেখো মিরর, দেখো নামাজের সিজদা তোমারে আমি আর দেখতেই পাইতেছি না। সূর্যের ভিতর বন্দী আমাদের চোখ। ও যে জানে না এইটা তাও না। ও কয় যে জাইনা যাওয়াটা আমাদেরকে লিমিট করে। দূরে দূরে বসাইয়া রাখে। এইকারণে আমাদের না-জানা। মরবো যে, এইটাও ত জানি না। বা ধরো, জানলাম-ই আমরা। তাইলে কি এই কনভারসেশন ভুইলা যাবো আমরা? আমরা আসলে ইলিমিনেশনের ভিতর দিয়াই বাঁইচা আছি। আসো, কাটাকুটি খেলি।

আমার হাত জইমা যায়। শি কয়, তুমি বলো, তোমারটাও আমিই দিয়া দিতেছি।

 

মৈমনসিংহে

হয়তো আমি যাইতাম তোমার সাথে, মৈমনসিংহে। শি বলে। কিন্তু এখন ত শীত। ব্রক্ষপুত্র আরো শুকাইয়া গেছে। নদীতে পানি নাই। নদীর তীরে পার্ক খালি। ওইখানে গিয়া আমরা কি করবো? আমি কই, ঠিকই আছে। খালি খালি সাহিত্য-সভা জানি কোন। কোন রিফ্লেকশন নাই; আয়না যেইটা সেইটাই মানুষ, এইরকম ক্লান্তির। তারপরও ডিসেম্বর আসলে মনেহয়, যাই, ঘুইরা আসি কোথাও। নিজেরা নিজেদেরকেই দেখি আসলে ঘুরতে বাইর হইলে। আশপাশ যেহেতু নতুন, মনেহয় নিজেরাও নতুন হয়া গেছি। বা পুরানার সাথে মিইশা অনেকদূরে চইলা আসতে পারছি। এখন আবার ফিরা যায় নিজেদের কাছে। আমরা ত যাই নাই কোথাও! এইরকম ফিলিংস আসলে মনেহয় যাওয়া যায় আবার, মৈমনসিংহে। হাই তুলে শি, হাসে। কয়, ঠিকই আছে। যাবো নে আমরা কোনদিন, তোমার এগ্রিকালচারাল ড্রিমের ভিতরে। শীতের দিনের সিদ্ধ ডিম খায়া আসবো নে। আমি বুঝতে পারি, এইটা কথার কথা, না-যাওয়ার। আর আমরা আসলে রিনিউবেল এনার্জির সেলফ না। যে কোন শীতকাল আসলেই আত্মা মরে যায় আমরার। ফেব্রুয়ারিতে যারা আসে তারা অন্য কেউ। আমরা আর নিজেদের থিকা বাইর হইতে পারি না। মৈমনসিংহ যাবো বইলা দীনেশচন্দ্রের পূর্ববঙ্গের গীতিকা খুইলা বসি চারুকলায়, ছায়ানটে, রবীন্দ্র-সরোবরে। উত্তরা, গুলশান, বনানী আর বাড্ডার রাস্তায় শীতের সব্জির ভিতর দিয়া মৈমনসিংহ-ই আমাদের কাছে আসতে থাকে। সাপ্লাই হয় ইউরোপ, আম্রিকা, কানাডা’তে। এইরকম অফুরান মৈমনসিংহ আশেপাশে রাইখা কে যাবে আবার মৈমনসিংহ খুঁজতে মানিকগঞ্জে, গাজীপুরে, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া-তে? Continue reading

শি, অ্যান্ড দ্য রিটার্ন অফ শি (৭)

 

এই সিরিজটার নাম হইতে পারতো – পুরুষের প্রেম বা অন্য আরো অনেককিছুই। এই টানাগদ্যের ফর্মটাও অনেক কমন একটা ন্যারেটিভ ফর্ম আর সাবজেক্টটাও – না-পাওয়া প্রেম [প্রেম পাওয়া যায়, এই ব্যাপারটাই কি রকম না! এইখানে গরুর (ইদানিং অ্যাট একচুয়াল লিখতে গিয়া লিখে – গাভী’র) দুধের চা পাওয়া যায়’র মতোন]।

তো, আমি হয়তো ভাবছিলাম যে, একটাকিছু ইনসার্ট করতে পারবো, কিছু একটা কি হবে না? – আমি লিখলে? হয় নাই আসলে। এই রায় আমি-ই দিতে চাই। কমপ্লিটও হয় নাই পুরা সার্কেলটা, লেখার। সিরিয়ালটাও হয়তো ঠিক করা লাগবে। কিন্তু অনেক তো হইছে আসলে। ২০১৩-তে শুরু করছিলাম, ২০১৪-তেই লেখা মোস্টলি, তারপরে ২০১৫ আর ২০১৬-তেও লিখা হইছে কয়েকটা। তো, লিখছি যেহেতু থাকলো, একটা জায়গায়। এর বেশি কোনকিছু না।

————————-

১ ।।  ২ ।। ৩ ।। ৪ ।। ৫ ।। ৬ ।। 

————————-

 

 

ট্রাভেলগ

পৃথিবী যে একটা নির্দিষ্ট গতিতে ঘুরতে আছে, আমিও ঘুরতে থাকি তার ভিতরে। বব মার্লি যেমন গান গাওয়ার সময় প্রতিটা মুহূর্তের ভিতরেই ট্রাভেল করতে থাকেন; তুমি ফিল করবা তার পুরা শরীরটাই দুলতেছে, একটা নির্দিষ্ট রিদমে, শ্বাসে আর শব্দে, সে মিউজিকের ভিতর ট্রাভেল করতেছে। যে কোনভাবেই হোক স্থির আর নাই সে, তার শরীর, গান। এইরকম আমার আত্মা কত দেশে যে গেলো, কত জায়গায় গিয়া বইসা থাকলো তোমার সাথে। একবার একটা রাস্তায়, বিদেশের; হাঁটতে হাঁটতে পা ব্যথা হয়া গেলো, ফুটপাতের উপর বইসা শি জিগাইতেছিল নিজেরেই, ভূত মনেহয় আছে দুনিয়াতে, তাই না? তারপর নিজেই শরম পাইছে। খামখাই, কত কথা মনেহয় আমাদের। আর এর লাইগা ভুলে-যাওয়াটাই জরুরি সবচে। রাতে যখন ঘুম আসে না, চোখ বন্ধ, কিছুই দেখা যায় না, জানালার পর্দার ফাঁকে দূরের দালানের আলোগুলা যখন জাগতেছে, তখনও মনেহয় কেউ কি জাগতেছে না এই রাতে, না-ঘুমাইয়া, খামাখাই? শরীর ত মরে যাবে, আত্মাও মরে যায়; তার আগে সে ত খালি ঘুরতেই আছে শি’র সাথে সাথে, পিছন পিছন, সারা দুনিয়ায়।

 

সূর্য চলে আসছে শীতকালে

আমি দেখি আর ভুলে যাই। একজোড়া চোখ দেখে আরেকজোড়া চোখ। রিফ্লেক্ট করে নিজেদের দেখাদেখিরে। এইরকম জায়গায় আমরা আটকাইয়া থাকি। নাইমা আসি তারপর। থাকি না ত আর। যদি আমি না আসতাম। যদি সময়, সময়ের ডানা গেল পুইড়া; উড়তে পারলো না সে, এইরকম এইরকম যদি যদি দিয়া যদি ফিল-আপ করা গেলো সময়। একদম শেষে আইসা তখন জীবন কী রকম? এইরকমই মাথানিচু কইরা চলে-যাওয়া আর না-দেখতে-পারা আর দেখার ভিতর আটকাইয়া থাকা?

সূর্য চলে আসছে শীতকালে। প্রখর আর সংক্ষিপ্ত দিনে। দিনের ভিতর ডুবে যাইতেছে সময়। একজোড়া জুতার একটা পড়ে আছে দরজার এইপাশে। আরেকপাশে কেউ কি দেখতেছে দিন যে এমন, যাইতেছে চলে। রাস্তায় রিকশাওলা বলতেছে, ভাই, সাইডে যান! সিএনজি-স্কুটারওলা, তাও দেখে না। পারলে ত রে ভাই শরীরের উপ্রে দিয়াই যায়। বামে কাইত হয়া বাস যাইতেছে একটা। আমরা কই যাই? বইসা থাকি গ্লু-মাখা চেয়ারে। কচ্ছপের মাথা। পাথর শরীরের পিঠে লুকাইয়া থাকি, রোদ পোহাই।

শীত ত আসবে আরো। আর চলে যাবে দেখতে দেখতেই। আমাদের দিন; পরে, পরে, আরো পরে; বলতে বলতে হারাইয়া যাবে। সাগরের পাড়ের ঢেউ। জোয়ার ও ভাটাতে। শামুকের স্মৃতি নিয়া বইসা থাকবে। একজোড়া চোখ দেখবে আরেকজোড়া চোখ ভেসে আসতেছে এর্ন্টাটিকা থিকা কুয়াকাটায়। আটকাইছে আন্দামানে আইসা। দূর থিকা দেখি। দেখি আর ভুলে যাই। আমার ভুলের ভিতর শি আসে। চলে যায়। এতদূর এর্ন্টাটিকায়, কোন পেঙ্গুইনের পাশে, বরফে মিশে যাইতে যাইতে মনে পড়তেছে; হায়, কই যাওয়ার কথা ছিল আমরার; আর কই যে চইলা আসছি! শুকনা কোন ফলের বীজ হয়া বাতাসে ঘুইরা বেড়াই।

শি দেখে, সূর্য চলে আসছে শীতকালে। বাতাস ভারী হয়া আসতেছে। একটা কচ্ছপ তার মাথা গুঁজে নিতেছে শক্ত খোলের ভিতরে। Continue reading

শি, অ্যান্ড দ্য রিটার্ন অফ শি (৬)

এই সিরিজটার নাম হইতে পারতো – পুরুষের প্রেম বা অন্য আরো অনেককিছুই। এই টানাগদ্যের ফর্মটাও অনেক কমন একটা ন্যারেটিভ ফর্ম আর সাবজেক্টটাও – না-পাওয়া প্রেম [প্রেম পাওয়া যায়, এই ব্যাপারটাই কি রকম না! এইখানে গরুর (ইদানিং অ্যাট একচুয়াল লিখতে গিয়া লিখে – গাভী’র) দুধের চা পাওয়া যায়’র মতোন]।

তো, আমি হয়তো ভাবছিলাম যে, একটাকিছু ইনসার্ট করতে পারবো, কিছু একটা কি হবে না? – আমি লিখলে? হয় নাই আসলে। এই রায় আমি-ই দিতে চাই। কমপ্লিটও হয় নাই পুরা সার্কেলটা, লেখার। সিরিয়ালটাও হয়তো ঠিক করা লাগবে। কিন্তু অনেক তো হইছে আসলে। ২০১৩-তে শুরু করছিলাম, ২০১৪-তেই লেখা মোস্টলি, তারপরে ২০১৫ আর ২০১৬-তেও লিখা হইছে কয়েকটা। তো, লিখছি যেহেতু থাকলো, একটা জায়গায়। এর বেশি কোনকিছু না।

————————-

১ ।।  ২ ।। ৩ ।। ৪ ।। ৫ ।।

————————-

 

পায়ের ছাপ

কাছ দিয়া হেঁটে গিয়া একটু দূরে দাঁড়াইলো শি। হেঁটে হেঁটে আবার চলে যায়। দরোজার পাশে কিছু কি ছিল? জানালায়? আকাশে? এই হেঁটে যাওয়া ভালোলাগে আমার। শরীরে মেঘের গন্ধ নিয়া শে ভেসে গেলো। একটা বৃষ্টির আশংকা। একটা অনুচ্চারিত কথা। একটা ছোট্ট মেঘ। একলা আর বেশিদূর যাইতে পারে না। শে আসে আর নেমে যায় ঘাসের শরীরে। আমার বুক কাঁপে। মরে-যাওয়া এত নরমাল। এতোটাই যে, বললাম আর আমরা মরে যাইতে পারলাম। দূর থেকে কাছে আর কাছ থেকে দূরে, কেঁপে উঠা শব্দগুলাই থাকে খালি। বলে, আমরা ত গেলাম। মিনিংয়ের ভিতর এখন ঘুরপাক খাইতে থাকো তুমি। আমি ভাবি শি’র কথা; বলি, কি হয় না গেলে, দুনিয়া ত যাইতেই আছে, থাকবে; তার ভিতর আমরার যাওয়া, কি দরকার! অথচ দিন, বিরাট অজগরের মত গিলে খাইলো আমাদের। ভ্যানিশ কইরা দিলো একদম। পায়ের ছাপও নাই।

 

ইরেজ হেড

শি চলে যাওয়ার আগে থিকাই শি’রে দেখি না আমি আর। তার মানে ওর চলে যাওয়া ঘটছে বেশ আগেই। আর আমি ত নাই-ই। যেহেতু আমার থাকা-ই নাই ওর কাছে, না-থাকা আর কেমনে হয়? এর শোধ নিতেই আমি ইরেজ করতে থাকি ওরে। আর ইরেজ করতে গেলে যা হয়, শাদা কাগজটা ময়লা হইতে থাকে। ঘষতে ঘষতে আমি পাতাটাই ছিঁড়া ফেলি। শি যে আছিলো, সেইটাই নাই করতে চাই আমি। তারপরেও শে আসে। কয়, মুছে ফেলতে পারতেছো তুমি ঠিকঠাক মতো? যা যা কিছু তুমি বলো নাই? আমি কই, চেষ্টার ভিতর আছি, পাইরা যাবো; এইটা নিয়া তুমি চিন্তা কইরো না! শি কয়, না, না, তুমি পারবা, আমি জানি ত! আমরা দুইজনেই দুইজনের কাছ থিকা মুছে যাইতে থাকি। ময়লা শাদা একটা পাতার ভিতর। না-থাকার।   Continue reading

শি, অ্যান্ড দ্য রিটার্ন অফ শি (৫)

এই সিরিজটার নাম হইতে পারতো – পুরুষের প্রেম বা অন্য আরো অনেককিছুই। এই টানাগদ্যের ফর্মটাও অনেক কমন একটা ন্যারেটিভ ফর্ম আর সাবজেক্টটাও – না-পাওয়া প্রেম [প্রেম পাওয়া যায়, এই ব্যাপারটাই কি রকম না! এইখানে গরুর (ইদানিং অ্যাট একচুয়াল লিখতে গিয়া লিখে – গাভী’র) দুধের চা পাওয়া যায়’র মতোন]।

তো, আমি হয়তো ভাবছিলাম যে, একটাকিছু ইনসার্ট করতে পারবো, কিছু একটা কি হবে না? – আমি লিখলে? হয় নাই আসলে। এই রায় আমি-ই দিতে চাই। কমপ্লিটও হয় নাই পুরা সার্কেলটা, লেখার। সিরিয়ালটাও হয়তো ঠিক করা লাগবে। কিন্তু অনেক তো হইছে আসলে। ২০১৩-তে শুরু করছিলাম, ২০১৪-তেই লেখা মোস্টলি, তারপরে ২০১৫ আর ২০১৬-তেও লিখা হইছে কয়েকটা। তো, লিখছি যেহেতু থাকলো, একটা জায়গায়। এর বেশি কোনকিছু না।

————————-

১ ।।  ২ ।। ৩ ।। ৪ ।।

————————-

 

মরার আগে ও পরে

মরার আগে ভাপ-উঠা ভিজা গরম ভাত খাইতে চাই আমি শুকনা শরীরের মুর্গির মাংস ও ঝোল দিয়া। শি খুশি হয়া ওঠে। কয়, হায় হায় মারা যাইতেছো নাকি তুমি! কখোন? কেমনে? আমারে ত কান্দে হবে তাইলে। যদিও চোখের কাজল লেপ্টাইয়া যাবে। কিন্তু রিচুয়াল যেহেতু, মানুষ মরলে কান্দা ত লাগবোই একটু। আমি শি’র দিকে তাকাইয়া দেখি। কোন ফাইজলামি নাই তার চোখে। সিরিয়াস শে। শে বলতেই থাকে। তুমি চিটাগাংইয়া হইলে কী ভালোই না হইতো; কুলখানিতে মেজবানি গরুর মাংস খাইতে পারতাম আমরা! ওর সুডো সিরিয়াসনেস দেইখা আমার খুব খারাপ লাগে। আমি মিনমিন কইরা কই; হ, জন্ম নিয়া ত আমি কিছুই হইতে পারলাম না; মরার পরেও আমি কী কী হইতে পারলাম না, তোমার লাইগা।

 

লাইলী’র বাড়ির কুত্তা

কুত্তায় জানে তোমার নাম। তোমার কুত্তার সাথে দোস্তি পাতাইলাম। ওই শালা ত আমারে দেখলেই ঘেউ ঘেউ করে। কয়, বাইরে যান! আমি ত বাইরেই, সীমানার; আইসা আইসা ঘুইরা যাই। যদি জানালায় তোমারে দেখা যায়, যদি ছাদে উঠতে ইচ্ছা হয় (যদিও এখন উঠে না কেউ আর) আর উঁকি দিতে ইচ্ছা করে রাস্তায়; দেখতে চাও কে যায়, কেন যায়? আর চায়া থাকে বোবা দালানগুলির দিকে, খামাখাই। পাগলের মতো উল্টা পাল্টা ড্রেস আর কুত্তার গলায় হাত, লোকটার; কি কথা বলে? তোমার লাইগা দৃশ্য হয়া বইসা থাকি আমি রাস্তায়। লাইলী’র বাড়ির কুত্তারে আমি বলি, একহাজার এক রাতের গল্প। যেইখানে আমি শি’রে ইনসার্ট করি। আর বলতে বলতে ওরে আমি হারাইয়া ফেলি গল্পের ভিত্রে। তারপর খুঁজতে থাকি বাড়ির সামনে। তুমি আছো ত সহি সালামতে, ঘরের ভিতর, নিজের ভিতরে; কোন গল্প কাহিনিরে বিশ্বাস না কইরা? জীবনরে পার কইরা দিতে পারতেছো ত; ঠিকঠাক মতো?

Continue reading