মার্চ ১, ২০২২
(একটা জিনিস আমি ভাবছি, ভুলও হইতে পারে) ঢাকা শহরের মুদির দোকানগুলাতে কিছুদিন পরে পলিথিনের প্যাকেটে, ১০০ মিলি/২৫০ মিলি/৫০০ মিলির সয়াবিন তেল বেচা শুরু হবে। মানে, এখনো কিছু কিছু হয়। কিন্তু অইরকমভাবে চোখে পড়ে না। মেবি অইটা একটা ইন্ডিকেটর হবে (দুর্ভিক্ষ অফিসিয়ালি শুরু হইছে, বা), আমাদের পারচেজিং পাওয়ার যে বাড়তেছে! 🙂
#########
অফিসের ওয়েটিং রুমে সবসময় টিভি চলে। টিভি মানেই তো নিউজ। কাঁচের দেয়ালের কারণে বাইরে থিকা কি কইতেছে কাবজাব, কিছুই শোনা যায় না। দেখা যায় খালি। তো, লিফটের সামনে দাঁড়ায়া থাকতে থাকতে অনেক সময় টিভিতে নিউজ-প্রেজেন্টারদের মুখের হাব-ভাব দেখি। কি বলতে চান উনারা? উনাদের ভাব-ভঙ্গি দিয়া?
অন্য অনেক কিছুর বাইরে, ভাব’টা হইতেছে, অনেক সিরিয়াস কথা বলতেছি আমরা! 🙂 যদিও দেইখা দেইখা আজাইরা কথাই কইতেছে, যেইটা আসলে অদের নিজেদের কথাও না। অলমোস্ট তোতাপাখিই তো অরা! কিন্তু ভাব দেখলে সেইটা বুঝা যাবে না। সিরিয়াস-ভাব নিতে নিতে অরা মেবি নিজেরাও সিরিয়াস হয়া যাইতে থাকে। জ্বরের ভাব করতে করতে যেইরকম কিছুটা টেম্পারেচার বাড়ায়া ফেলা যায় অনেক সময় শরীরের, অইরকমের।…
মানে, মাঝে-মধ্যে মিউট কইরা দেইখেন, বাংলাদেশের চ্যানেলগুলাতে নিউজ-প্রেজেন্টারদের ভাব-ভঙ্গিমাগুলা। এতো সিরিয়াস যে দেখলে মজার চাইতে খারাপ-ই লাগে, কিছুটা। সুন্দর সুন্দর চেহারা নিয়া একই ধরণের কি বাজে অভিনয় করতেছে অরা! 🙁
########
ফটোকপি রাইটার
আমাদের দিকে একটা কথা আছে (অন্য অঞ্চলেও থাকার কথা) যে, নিজের পুটকিত নয় মণ গু, অন্যরে কয় পুটকি ধু! [একটু ‘অশ্লীল’ হইলো, কিন্তু কি আর করা…]
তো, কিছু “লেখক” আছেন, কলোনিয়াল-বাংলার বাইরে একটা লাইন লেখতে পারেন না। [‘আঞ্চলিক’ লেখেন, নাইলে ‘পরমিত’।] কিন্তু অন্যরা যারা-ই এর বাইরে লেখার ট্রাই করতে যায়, দৌড়ায়া আইসা ট্যাগ লাগায়া দিতে থাকে, “ও, আপনি এর মতো লেখতেছেন, ওর মতো লেখতেছেন!” যেন বিরাট একটা “সমালোচনা” কইরা ফেলছে। নিজেরা যে হইতেছে কলোনিয়াল কলকাতা-বাংলার ফটোকপি, অই খেয়াল নাই।
এই ফটোকপি রাইটার’রা জীবনে কোনদিন নিজের লেখা লেইখা দেখে নাই, লেখার সাহস করতে পারে নাই। এই কারণে এর বাইরে কিছু দেখলেই ডরায়। নিজেরা কপি-করা বাংলা থিকা বাইর হইতে পারে না, আর অন্যরে কয়, আপনি আরেকজনের কপি করতেছেন, না!
Continue reading