জানুয়ারি ১১, ২০২২
১.
১৪ শতকের আগে এই অঞ্চলে ‘মুসলমান’ বা ‘হিন্দু’ বইলা কোন আইডেন্টিটি ছিল না। (এরপরেও এতোটা ঘটনা ছিল না। এইটা ১৮ শতকের শেষের দিকের ঘটনাই।)
২.
এই কথা আমি আগেও ভাবছি, পুরান যত কাহিনি আছে রামায়ণ, মহাভারত, জাতক, কোন জায়গাতেই ধর্ম হিসাবে ‘হিন্দু’ – এই ঘটনা পাইবেন না, দুনিয়ার সবাই-ই হিন্দু, জাত-টাত জাস্ট আলাদা। যাদের জাত নাই, তারা ম্লেচ্ছ, বা এইরকম কিছু। হিন্দুই! মানে, ধর্ম বা রিলিজিয়ন হিসাবে কোনকিছু ফর্ম করে নাই।
একই ভাবে, ‘মুসলমানরা’ ‘ইন্ডিয়া’ দখল করে নাই। দিল্লী দখল করছিল, ‘ইন্ডিয়া’ বইলা আলাদা কোন দেশই তো ছিল না! আর তাদের আইডেন্টিটিও ছিল আরব, আফগান, তার্কিশ, এইরকম; ‘মুসলমান’ কখনোই না। মোগল’রাও ‘মুসলমান’ ছিল না, ছিল শিয়া ও সুন্নী। (এইখানে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হইতেছে পারস্যের লগে এই অঞ্চলের সবসময়ই খাতির ছিল, যার ফলে কালচারাল এক্সচেইঞ্জ দেখবেন অনেক বেশি হইতে পারছে।)
তো, এই মিস-কনসেপশন বা ভুল-ধারণা খুবই বাজেভাবে আছে, আমাদের আলাপ-আলোচনা’তে। এই বেইজ থিকা সরতে পারাটা সবচে জরুরি।
৩.
এইটা এখন আমি খুব জোর দিয়া এখন বলতে পারতেছি রমিলা থাপারের দুইটা কথার কারণে। ১০ম শতকের দিকে মোহাম্মদ ঘুরী’র দিল্লী দখলের সময়ের কথা বলতে গিয়া উনি বলতেছিলেন, “Today we speak of them as a collective entity, labelling them ‘the Muslims’, and label the hosts also collectively ‘the Hindus’. But these labels are historically inaccurate… Neither of these two communities had a homogenous culture and religion… People more frequently identified by caste, occupation, language, region and religious sect, than by the religious labels we use today.” (p. 438, The Early India)
“Hindus did not use this name for themselves until about fourteenth century, and then only sparingly.” (p. 440, The Early India)
হাউএভার, এই জায়গাগুলা ডিটেইল করার দরকার তো আছেই। ইন ফিউচার, করার ইচ্ছা আছে আমার।
৪.
আরেকটা জিনিস হইতেছে, এই সাব-কন্টিনেন্ট যে দিল্লী-বেইজড গোলামির জিঞ্জিরে বান্ধা পড়লো, সেইটা হিস্ট্রিতে একটা “মুসলিম” অবদান হিসাবে আইডেন্টিফাই করার ঘটনা হিসাবেই দেখতে পারা দরকার। যেই কারণে এখনকার “ইন্ডিয়ান কালচার” দেখবেন ‘মুসলিম আইডেন্টিটির’ বাইরে যাইতে পারে না। গেলে, বেইজটারে আর ধইরা রাখতে পারে না।
৫.
রামমোহন রায়, কেশবচন্দ্র সেন, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়’রা আসলে হিন্দু-ধর্মের ‘পুনর্জাগরণ’ ঘটান নাই, এক অর্থে, হিন্দু-ধর্মরে আসলে আবিষ্কার করছেন উনারা। কলম্বাসের মতোই। কিন্তু উনারা মারা যাওয়ার পরেও এই জিনিসটারে লোকেট করতে হেসিটেট করতেছি আমরা।