ডিসেম্বর ১১, ২০২১
১.
গত ডাকসু ইলেকশনে প্রো-আম্রিকান একটা ফোর্স ভিজিবল হইছিল – স্বতন্ত্র জোট নামে। ইন্টারেস্টিং ঘটনা হইতেছে বামাতি (পরথম আলো, ডেইলি স্টার গ্রুপ) এবং এনার্কিস্টরাও তাতে সার্পোট দিছিল। (মেমোরি থিকা বলতেছি, ফ্যাক্ট হিসাবে ভুল না মনেহয়।) মানে, এই জিনিসটা খেয়াল করার মতো একটা ঘটনা। যেইখানে টের পাওয়া যায় পুঁজিবাদী বা কমিউনিস্ট হওয়া একটা আইডিওলজিক্যাল মাস্ক ছাড়া আর কিছু না, কালচারালি একই ঘটনা।
২.
একটা পপুলার ‘গুজব’ তো অনেকদিন থিকাই চালু আছে যে, শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়ার লিডারশিপের মধ্যে বেসিক ডিফরেন্স হইতেছে শেখ হাসিনা সরকারি-আমলা, পুলিশ, মিলিটারি, মিডিয়া, সুশীল সমাজের লগে আতাঁত কইরা চলতে রাজি হইছেন, খালেদা জিয়া রাজি হন নাই। কিন্তু বাংলাদেশে এই ইভিল-ফোর্সটাই ক্ষমতা’তে আছে (এই জায়গাটারে ঠিকমতো ডিফাইন করা হয় নাই); ১৯৭১ সালের পর থিকাই এর ফর্মেশন শুরু হইছে, ১৯৯১’র পরে পলিটিক্যাল পাওয়ার হিসাবে অর্গানাইনজড হইছে, এবং ১/১১’র পর থিকা জায়গা থিকা আরো কনফার্মড একটা পজিশনে আসতে পারছে। বারবার আন্দোলন-সংগ্রামের পরে, মানুশের রক্তের বিনিময়ে, ডেমোক্রেসির নামে একটা গোষ্ঠীর হাতেই পিপলের ক্ষমতারে বর্গা দেয়া হইছে।
এরা সময়-সুযোগ মতো প্রো-ইন্ডিয়ান যেমন হইতে পারে, প্রো-আম্রিকানও হইতে পারবে, এমনকি প্রো-ইসলামিস্টও। যেইটা পারবে না সেইটা হইতেছে পিপলের লগে মিলতে পারবে না, অই কাতারে ‘নামার’ আগে দেশ ছাইড়া পালাবে, ইভেন সুইসাইড করবে।
বাংলাদেশের সমস্যা এই ক্লাস, কালচার এবং আইডিওলজির লোকজন, সবসময়।
৩.
রেব’রে মহান বানানোর কাজে মিডিয়াও প্রপাগান্ডা-মেশিন হিসাবে কাজ করছে। অই নিউজ-ক্লিপগুলা সামনে আনা দরকার, প্রাপাগান্ডাগুলা। আম্রিকার গর্ভমেন্ট এরে খারাপ বলছে – এইটা ভালো-জিনিস অবশ্যই; কিন্তু আম্রিকা খারাপ বলার আগেও এইটা খারাপ-ই ছিলো।
ডিসেম্বর ১২, ২০২১
[যেই লোক একটা কাজ ভুল জাইনাও সেই কাজটা বারবার কইরা যাইতেছে, সেই লোকটা কাজটারে ভুল বইলা ভাবতেছে না আসলে, সে শয়তান না হইলেও ট্রাপড বা অভিশপ্ত-ই, এক রকমের।]
যেই লোক একটা কাজ ভুল বইলা বুঝতে পারার পরে সেইটা করা বাদ দিতে পারছে, সেই লোক কোন সন্দেহ ছাড়াই একজন ভালো-মানুশ।
যেই লোক, একটা ভুল-কাজ করার আগেই বুঝতে পারছে, আর সেই কাজটা করা থিকা নিজেরে থামাইতে পারছে, সেই লোক আরো ভালো একজন মানুশ।
তবে অই লোকটাই হইতেছে সবচে ভালো-মানুশ, যে তার ডেইলি লাইফের কাজকামের ভিতর দিয়া ভুল-কাজ বা ভুল-চিন্তাগুলারে সবসময় এড়ায়া চলার রাস্তা বানাইতে পারতেছে নিজের জন্য।
#########
কবিতার বা আর্টের ব্যাপারে এই জিনিসটা আমি কম-বেশি ফলো করি। যেই কবিতা আমার পছন্দ না – তার ব্যাপারে নিন্দা-মন্দ করি না নরমালি, যদি না সেইটা এস্থেটিক্যালি বা পলিটিক্যালি পাওয়ারফুল হয়া উঠতে থাকে। মানে, কোনকিছু’র নিন্দা-মন্দ করতে পারাটারে আমি ক্রিটিকের কাজ বইলা মনে করি না। বরং কোন ‘খারাপ-জিনিস’ বা ‘বাজে আর্ট’ যদি আর্ট হিসাবে সমাজে এস্টাবলিস্ট হইতে থাকে, পাওয়ারফুল হয়া উঠতে থাকে, সেইখানে কথা-বলার দরকার আছে।
একইভাবে, যেই জিনিসরে কবিতা বা আর্ট মনে করি, তারে হাইলাইট করাটাই না, বরং কোন জায়গা থিকা ‘ভালো-আর্ট’ মনে করি সেইটা বলতে পারাটা বেটার। জায়গাগুলারে মার্ক করাটা তারিফ করা বা বদনাম করার চাইতে জরুরি জিনিস।
মানে, কোনকিছু এস্টাবলিশড হয়া আছে বইলাই সেইটা ‘বাজে-জিনিস’ আর কোন আর্ট ‘প্রতিষ্ঠা’ পাইতেছে না বইলাই তারে ‘তুইলা ধরতে হবে’ – এইটা খুবই সিউডো (pseudo) একটা জিনিসই না খালি, বরং এর লগে তেমন কোন রিলেশন আসলে থাকার কথা না কারো, ক্রিটিক হিসাবে।
পলিটিক্যাল, এবং ইন্টেলেকচুয়াল জায়গাগুলাতেও ব্যাপারগুলা মনেহয় এইরকমই।