আমি ও শি

 

কত যে কথা শি, বলতেছো তুমি। আর তোমার চোখে কী যে হাসি! বাসর রাতের পরের দিন সকালবেলা ওইঠা দেখি বিশটা মিসকল। চিন্তা করো কেমন লাগে! তখনই আবারো হুদা ভাইয়ের ফোন, সকাল আটটায়। সাহিল ত পাশে মরা’র মতো ঘুমাইতেছে। ফোনটা ধরেই বললাম, কেন ফোন দিছেন? উনি বলে, ওই ফাইলটা ত আজকে সকালেই মিটিংয়ের আগে দরকার! চিন্তা করো, গতকালকে আমার বাসর রাত গেছে আর সকালবেলা ফাইলের খোঁজ দেয়া লাগে। অফিস জিনিসটা এতো বাজে! সবগুলা পুরুষ খালি জামাইয়ের পোস্ট চায়। আমি কি দ্রৌপদী নাকি? বইলা শি ঠোঁট টিইপা আবার হাসে। Continue reading

অতীত কল্পনা থেকে

যখন যাই
তখন কি আর ছায়া থাকে
দুপুরের শেষে, বিকালে[pullquote][AWD_comments width=”294″][/pullquote]

ফেরী চলে যায়
ব্রীজের কিনার ঘেঁষে;

Continue reading

চিঠিগুলি

নিস্তরঙ্গ ঘুমের ভিতর চিঠি-লিখার দিনগুলি ফুরায়ে গেলে আবার, মৃদু পায়ে কারা উঠে আসে?
ডাকঘরের বাক্স থেকে ঘরে ঘরে বিলীয়মান শব্দে, আবারো মুছে যায়;
অস্ফুট আলো আসে জানালা দিয়ে, শীতের নরোম দিন, বানর নাচছে সকালে…

*********

সেলাই মেশিনে করা ফুল-তোলা রুমাল পাঠিয়েছো
(সিঙ্গার কোম্পানীর মেশিনে করা, ১০,০০০ টাকা দাম)

বারান্দায় বসে বসে করা, তাই তাতে নানান আকৃতি, বিক্ষিপ্ত ও চঞ্চল-মন
ফুল আছে ৩টা, লাল রঙের; পাতাগুলা সবুজ আর হলুদ সুতায় তোলা;

সেলাইমেশিনে হাত রেখে অনেক সময় কাটলো তোমার
মেঘনাব্রীজ পার হয়ে ট্রেন চলে গেলো ভৈরব জংশনের দিকে

গাঢ় সেন্টের গন্ধ-মাখা তোমার রুমাল, পোষ্টম্যান দিয়ে গেলো
কি লিখবো এর উত্তর? ‘আর কবিতা না,
তুমি লিখ অনেক দীর্ঘ, দি-ই-র-ঘ আমার চিঠি’

প্রত্যাভিক্ষা তোমার! Continue reading