নোটস: ফেব্রুয়ারি, ২০২২ [পার্ট ১]

ফেব্রুয়ারি ১, ২০২২

এইরকম একটা জিনিস দেখলাম নিউজফিডে, যেইখানে সাস্টের আন্দোলন থামানোর জন্য মু.জা.ই.’রে যেমন দায়ী করা হইতেছে, একইভাবে সুন্দরবন বাঁচাও আন্দোলন স্টপ হওয়ার জন্য আনু মুহাম্মদ’রে দায়ী করা হইতেছে। অথচ যিনি এই মুভমেন্টের একজন সেন্ট্রাল-ফিগার ছিলেন। এই কারণে অই কথাটারে মাইনা নেয়া যাইতেছে না। ট্রলের জায়গাতেও চইলা যাইতে পারে ব্যাপার’টা।

কিন্তু আমার মনে হইছে, যিনি এই কথা কইছেন, উনি তার কথা-বলার বেইজ’টা ক্লিয়ার করতে পারেন নাই। মু.জা.ই. এবং আ.মু.’র মিল যেমন আছে, অমিলও আছে।

মিল’টা হইতেছে দুইজনেই ভালো-মানুশ, সৎ, ভদ্রলোক। আবার অমিল’টা হইতেছে, মু.জা.ই. যতোটা বাকশালি, আ.মু. তা না। কিন্তু যেই মিল’টা ভিজিবল নাই এতোটা সেইটা হইতেছে – বিএনপি-বিরোধিতা।

উনারা দুইজনেই বাকশালের ব্যাপারে একই মাত্রায় ক্রিটিক্যাল না হইতে পারেন, কিন্তু বিএনপি বা খালেদা জিয়া ভালো না, এই ব্যাপারে আমার ধারণা, দুইজনেই সমান লেভেলের একমত আছেন, বা হইতে পারবেন।

উনারা দুইজনই কম-বেশি ‘হাজার বছরের বাঙালি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির’ও সার্পোটার হওয়ার কথা।

মানে, কালচারালি একই ঘরানার লোক হওয়ার কথা, যেইটা উনাদের পলিটিক্যাল পজিশনটারে সিগনিফিকেন্টলি আলাদা করতে পারে না আসলে। বাকশাল সবসময় একটা ‘মন্দের ভালো’ ঘটনা, দুইজনের কাছে। (আ.মু.’র কাছে হয়তো কম, মু.জা.ই’র কাছে যেইটা হইতেছে ‘বিকল্প নাই!’)

উনারা দুইজনই খারাপ-বাকশালের জায়গায় ভালো-বাকশালের শাসন চান। এইটা পলিটিক্যালি বেটার না, বরং আরো বাজে একটা ঘটনাই। উনাদের নিজ নিজ ডিফরেন্সের পরেও।

Continue reading

নোটস: জানুয়ারি, ২০২২ [পার্ট ৩]

জানুয়ারি ২১, ২০২২

টিভি-সিরিজের লগে উপন্যাসের মিলের ব্যাপারটা অনেকেই একটু তাকাইলে খেয়াল করতে পারবেন। কিন্তু ঘটনা হইতেছে, ভিক্টোরিয়ান আমলের হিউজ ইট-মোটা উপন্যাসের লগে আজকের দিনের লং লং এপিসোডের টিভি-ওয়েব সিরিজগুলার মিলের জায়গাটা এতোদিন খেয়ালই করা হয় নাই।

পুরাপুরি উল্টা জায়গা থিকা মনে হইতেছিল জিনিসটা। যে, এইগুলা তো টাইম-কনজিউমিং জিনিস! পচ্চুর অবসর বা ফ্রি-টাইম না থাকলে পড়তে বা দেখতে পারবেন না।

তো, আমার ধারণা, ভিক্টোরিয়ান নভেলগুলা বিশাল হইতো এই কারণেই না যে, যারা পড়বেন, তাদের অনেক সময় আছে, অই অডিয়েন্সের জন্য; বরং এই বই-পড়ার ভিতর দিয়া একটা এফ্লুয়েন্সি এক্সপ্রেস করা যাইতো আসলে, যেই কারণে বই-পড়া একটা এরেস্টোকেসির ঘটনা হয়া উঠছিল। যেইটা এখনো চালু আছে, আমাদের সোশ্যাল মিনিংয়ের ভিতরে। (অবশ্যই অন্য আরো অনেক ঘটনা তো আছেই।)

‘অফুরন্ত অবসর’ জিনিসটা বেকার-থাকার ঘটনা তো অবশ্যই, কিন্তু না-থাকা’টাও অনেক সময় মিডল-ক্লাস ঘটনা আর কি! 🙂

তবে জিনিসগুলা (উপন্যাস ও টিভি-সিরিজ) এইটুক পর্যন্তই না। ডিটেইলস তো বরং দরকারি জিনিস। ফর্মটা নিয়া আরো কথার বলার জায়গা আছে। এইটা জাস্ট একটা ঘটনা।

#########

অনশন

ভালো বা খারাপের বাইরেই, পলিটিক্যাল টুল হিসাবে হরতাল যেমন হাস্যকর হইছিল, অনশনও একই রকম ভাবে বাতিল হইছে, আরো অনেক আগেই। মানে, অনশন কইরা বাংলাদেশে কোন দাবি’টা আদায় হইছে লাস্ট টাইম? ইন ফ্যাক্ট, পাকিস্তান পিরিয়ডেও, ব্রিটিশ-আমলের পরে?
তারপরেও অনেক মুভমেন্টের পার্ট হিসাবে অনশন হয় বাংলাদেশে এখনো। অনশনের মানে ‘নন-ভায়োলেন্ট মুভমেন্ট’ নাই এখন আর, বরং একটা ইশারা-ই (স্যাডলি) যে, আমরা নেগোশিয়েট করতে রাজি আছি! কিন্তু কেউ যদি পাওয়ারফুল না হয়, বা মিনিমাম পলিটিক্যাল অস্বস্তিও তৈরি করতে না পারে, সেই মুভমেন্ট কি অথরিটিরে নেগোশিয়েশনের টেবিলে বসাইতে পারবে?

মানে, অনশন করা যাবে না – এইটা কোন কথা না, বরং এইটা করার আগে, বা পরে বা এইটা করার সময়েও নিজেদেরকে পলিটিক্যালি অন্য সব এজেন্সিগুলার লগে এসোসিয়েট করতে পারাটা, মিনিমাম পাওয়ারফুল হইতে পারাটা জরুরি। তা নাইলে নেগোশিয়েশনের টেবিল পর্যন্তও যাইতে পারার কোন কারণ নাই আর কি! 🙁

Continue reading

নোটস: জানুয়ারি, ২০২২ [পার্ট ২]

জানুয়ারি ১১, ২০২২

১.
১৪ শতকের আগে এই অঞ্চলে ‘মুসলমান’ বা ‘হিন্দু’ বইলা কোন আইডেন্টিটি ছিল না। (এরপরেও এতোটা ঘটনা ছিল না। এইটা ১৮ শতকের শেষের দিকের ঘটনাই।)

২.
এই কথা আমি আগেও ভাবছি, পুরান যত কাহিনি আছে রামায়ণ, মহাভারত, জাতক, কোন জায়গাতেই ধর্ম হিসাবে ‘হিন্দু’ – এই ঘটনা পাইবেন না, দুনিয়ার সবাই-ই হিন্দু, জাত-টাত জাস্ট আলাদা। যাদের জাত নাই, তারা ম্লেচ্ছ, বা এইরকম কিছু। হিন্দুই! মানে, ধর্ম বা রিলিজিয়ন হিসাবে কোনকিছু ফর্ম করে নাই।

একই ভাবে, ‘মুসলমানরা’ ‘ইন্ডিয়া’ দখল করে নাই। দিল্লী দখল করছিল, ‘ইন্ডিয়া’ বইলা আলাদা কোন দেশই তো ছিল না! আর তাদের আইডেন্টিটিও ছিল আরব, আফগান, তার্কিশ, এইরকম; ‘মুসলমান’ কখনোই না। মোগল’রাও ‘মুসলমান’ ছিল না, ছিল শিয়া ও সুন্নী। (এইখানে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হইতেছে পারস্যের লগে এই অঞ্চলের সবসময়ই খাতির ছিল, যার ফলে কালচারাল এক্সচেইঞ্জ দেখবেন অনেক বেশি হইতে পারছে।)

তো, এই মিস-কনসেপশন বা ভুল-ধারণা খুবই বাজেভাবে আছে, আমাদের আলাপ-আলোচনা’তে। এই বেইজ থিকা সরতে পারাটা সবচে জরুরি।

৩.
এইটা এখন আমি খুব জোর দিয়া এখন বলতে পারতেছি রমিলা থাপারের দুইটা কথার কারণে। ১০ম শতকের দিকে মোহাম্মদ ঘুরী’র দিল্লী দখলের সময়ের কথা বলতে গিয়া উনি বলতেছিলেন, “Today we speak of them as a collective entity, labelling them ‘the Muslims’, and label the hosts also collectively ‘the Hindus’. But these labels are historically inaccurate… Neither of these two communities had a homogenous culture and religion… People more frequently identified by caste, occupation, language, region and religious sect, than by the religious labels we use today.” (p. 438, The Early India)

“Hindus did not use this name for themselves until about fourteenth century, and then only sparingly.” (p. 440, The Early India)

হাউএভার, এই জায়গাগুলা ডিটেইল করার দরকার তো আছেই। ইন ফিউচার, করার ইচ্ছা আছে আমার।

৪.
আরেকটা জিনিস হইতেছে, এই সাব-কন্টিনেন্ট যে দিল্লী-বেইজড গোলামির জিঞ্জিরে বান্ধা পড়লো, সেইটা হিস্ট্রিতে একটা “মুসলিম” অবদান হিসাবে আইডেন্টিফাই করার ঘটনা হিসাবেই দেখতে পারা দরকার। যেই কারণে এখনকার “ইন্ডিয়ান কালচার” দেখবেন ‘মুসলিম আইডেন্টিটির’ বাইরে যাইতে পারে না। গেলে, বেইজটারে আর ধইরা রাখতে পারে না।

৫.
রামমোহন রায়, কেশবচন্দ্র সেন, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়’রা আসলে হিন্দু-ধর্মের ‘পুনর্জাগরণ’ ঘটান নাই, এক অর্থে, হিন্দু-ধর্মরে আসলে আবিষ্কার করছেন উনারা। কলম্বাসের মতোই। কিন্তু উনারা মারা যাওয়ার পরেও এই জিনিসটারে লোকেট করতে হেসিটেট করতেছি আমরা।

Continue reading

নোটস: জানুয়ারি, ২০২২ [পার্ট ১]

জানুয়ারি ১, ২০২২

একটা লিস্ট দেখলাম কয়দিন আগে, যেইখানে ‘হাইপ উঠার কারণে ফেমাস হইছিল, কিন্তু সিনেমা হিসাবে এতোটা ভালো কিছু না’ – এইরকম একটা লিস্ট বানানো হইছে। তো, কম-বেশি ঠিকই আছে জিনিসটা; পুরাপুরি একমত হওয়া তো কঠিনই। কিন্তু এইরকম একটা ক্যাটাগরি যে আছে, বা হইতে পারে – এই জিনিসটা পছন্দ হইছে।

অইখানে একটা সিনেমা ছিল, DUNKRIK; ক্রিস্টোফার নোলানের। অইটা দেখছিলাম আমি, এই কারণে কিছুটা রিলেট করতে পারছি। সিনেমা’টা যে খারাপ – তা না, কিন্তু হাউ-কাউয়ের কারণেই দেখছিলাম, যে আরে, ক্রিস্টোফার নোলানের সিনেমা! সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ারের কাহিনি! ফেসবুকের নিউজফিডে ১০টা পোস্ট, ম্যাগাজিনগুলাতে রিভিউ, ক্রিটিক’রা কথা কইতেছে, দেখা লাগবে তো! শুরু’র সিনটা ইন্টারেস্টিং ছিল। কিন্তু অই তো, এভারেজ মুভিই মোটামুটি। নোলানের সিনেমা নিয়া কথা কইতে গেলেও এইটা নিয়া খুববেশি কথাও হয়তো বলা যাবে না। কিন্তু হিট ছিল তখন, আলাপের সাবজেক্ট ছিল একটা, ইনকামও খারাপ হওয়ার কথা না। তো, এইভাবে এভারেজ জিনিসই হিট হয় – তা না, কিন্তু এভারেজ জিনিসও হিট হইতে পারে।

আমাদের চারপাশে যেইসব জিনিস নিয়া কথা-বার্তা হইতেছে, সেইসব নিয়াই ইন্টারেস্টেড হই আমরা। অইগুলাতেই পার্টিসিপেট করি। এর বাইরে গেলে তো আসলে কথা কওয়াই পসিবল না। ধরেন, কয়দিন আগে DONT LOOK UP নিয়া যে মাতামাতি’টা হইলো, অইটা দেইখা মনে হইলো AVATAR যখন রিলিজ হইছিল, শতাব্দীর সেরা সিনেমাও মনেহয় বানায়া দেয়া হইছিল! 🙂 তো, এইরকম হয় আসলে। হওয়াটা দোষের কিছু না। কিন্তু দ্যান এগেইন, ইমোশনালি চার্জড-আপ হইতে পারাটা বা সেনসেশন ক্রিয়েট করতে পারাটাই গ্রেট আর্টের ঘটনা না আর কি সবসময়!
বরং আমি খেয়াল কইরা দেখছি, যে কোন নতুন আর্টের, সুন্দরের ‘হিট’ হইতে একটু টাইম লাগে, (সবসময় না হইলেও) বেশিরভাগ সময়। কারণ এইখানে যেই সুন্দরের ঘটনা’টা, সেইটা আমাদের এক্সপেরিয়েন্সের ভিতরে থাকে-না না, অনেকটা আবছা-ভাবে থাকে, সেইটারে কানেক্ট করতে টাইম লাগে একটু। চিনতে সময় লাগে। [ও, আরেকটা গ্রুপ অবশ্য আছে যে, ও, এই জিনিসটা হিট হয়া যাইতেছে! যাই, দুইটা গাইল দিয়া আসি! 😛 ] এই কারণে যখন কোনকিছু হিট হয়, সেইটা ‘খারাপ’ – তা না, কিন্তু ওভারহুইলমড হওয়ার আগে একটু টাইম নেয়াটা বেটার।

ট্রু আর্ট (লাইক ট্রু লাভ) অলওয়েজ টেইকস টাইম! 🙂

Continue reading

নোটস: ডিসেম্বর, ২০২১ [পার্ট ৩]

ডিসেম্বর ২১, ২০২১

ভালো-মানুশের মিথ

দুনিয়ার সব সমাজেই এই জিনিসটা আছে, কিন্তু আমাদের সমাজে এইটার একস্ট্রা আরো কিছু ভ্যালু আছে, বা বেশ স্ট্রংলি আছে বইলা ফিল করি আমি যে, ভালো-মানুশ হওয়াটা হইতেছে একটা ‘যুক্তি’ বা ‘লজিক’। এর অনেকগুলা সাইড-এফেক্টও আছে, এটলিস্ট তিনটা জিনিসের কথা মনে হইছে এখন।

এক হইতেছে, ‘ভালো-মানুশ’ (একটা স্ট্যান্ডার্ড সেন্সেই) না হয়া আপনি ‘ভালো’ কিছু করতে পারবেন না। মানে, কেউ ভালো-গান গাইতেছে, কিন্তু লোকটা তো ভালো না! তার মানে, তার গান-গাওয়া হইতেছে না আসলে।

এইটা খালি গান না, এনিথিং অ্যান্ড এভরিভ্রিং দিয়া রিপ্লেইস কইরা নিতে পারেন। এর উল্টাও হয় যে, কেউ একজন ভালো-জোকস বলতেছে, তাইলে লোকটা মনেহয় ভালোই। 🙂 একজন মানুশ ‘ভালো’ – এইটার কল্পনা ছাড়া তার কোন কাজরে ‘ভালো’ আমরা মনে করতে পারি না। মানে, কেউ ‘মানুশ হিসাবে ভালো-না’ কিন্তু ‘ভালো-কথা’ বলতেছেন বা ‘ভালো-কাজ’ করতেছেন – এই সিচুয়েশনটা আমাদের পক্ষে চিন্তা করাটা ইজি বা নরমাল কোন ঘটনা না।

আর অন্যদিক দিয়া একজন মানুশ যেহেতু মানুশ হিসাবে ভালো, উনার ভুল-কথা বা ভুল-কাজ এতোটা বাজে-জিনিস না, কারণ উনি তো ভালো-মানুশ!

এখন জিনিসগুলা যে আলাদা – এই দাবি আমার নাই। কিন্তু রিলিভেন্সগুলা স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড না। এইভাবে মিলায়া দেখার অভ্যাসটারে আমাদের বরং খেয়াল করাটা দরকার। মোরালিটি এবং ইন্টেলেকচুয়ালিটি অপজিট কোন জিনিস না, কিন্তু কেমনে কাজ করতেছে – সেইটা নিয়া ভাবতে রাজি না-হওয়াটা জায়গাটারে একটা ‘মিথ’ বানায়া ফেলছে এখন, আমাদের সমাজে।

সেকেন্ড ঘটনা হইতেছে, যিনি অ্যাক্ট করতেছেন, তার জায়গা থিকাও এই ঘটনা’টা ঘটতেছে যে, “আমি তো সৎ আছি, আমি ভুল চিন্তা কেমনে করবো!” মানে, ভালো-মানুশ হওয়াটা একটা এডভান্স বা সুপিরিয়র ঘটনা হয়া আছে আমাদের সমাজে, যেইটা হইতেছে আরো বাজে জিনিস। মানে, আপনি ভালো-মানুশ, অন্য কারো ক্ষতি করতেছেন না, এই-সেই, এইটা তো বেসিক! এডভান্স লেভেলের কোন ঘটনা না। আর এইটা খালি সমাজে আপনার রেসপন্সিবিলিটি না, একটা পারসোনাল ঘটনাও যে, মানুশ-হওয়া মানেই হইতেছে ভালো-মানুশ হওয়া, আদারওয়াইজ অইটা তো মানুশ-হওয়া হইতে পারে না! কিন্তু ভালো-মানুশ জিনিসটা একটা সুপিরিয়র বিইং হয়া আছে, আমাদের সমাজে।
যার ফলে দেখবেন, একজন মানুশরে ভালো-না প্রমাণ করাটাই এনাফ, তার কাজ-কামের চিন্তা-ভাবনার এনকাউন্টার করা লাগে না তখন। এমনকি কোন ‘সাধারণ’ (খুবই বাজে টার্ম এইটা) মানুশ যদি ‘ভালো’ হন, তারেও দেখবেন ‘মহান’ বানানির একটা তোড়জোর শুরু হয়। মানে, ভালো-হওয়াটা যেন একসেপশনাল ঘটনা!

থার্ড জিনিসটা আরো বাজে, যখন আপনি ‘ভালো’, আপনি তো আসলে কম্পারেটিভলি ভালো; সমাজে কিছু খারাপ-মানুশ থাকা লাগে তখন। মানে, যখন অনেক অনেক খারাপ-মানুশ আছে সমাজে, তখন ভালো-হওয়াটা আরো বেশি মিনিংফুল হইতে পারে তো! আর ভালো-মানুশ যেহেতু রেয়ার (বাংলায় ব্রাহ্মণদের মতো), তারা কেন টেম্পু’তে, রিকশায় চড়বেন, উনাদের হেলিকপ্টার না থাকুক, দামি-গাড়ি তো থাকা দরকার! (অবশ্য গরিব না হইলে ভালো-মানুশ হওয়াও তো টাফ! 🙁 )

আমি বলতে চাইতেছি, এইখানে ক্রুশিয়াল একটা আলাপ আছে। ভালো-মানুশ জিনিস’টা জাস্ট ইনোসেন্ট কোন ঘটনা না, একটা ব্রাহ্মণবাদের ব্রাঞ্চ বরং অনেকটা। যেইটা সোসাইটির বেসিক একটা জিনিস হওয়ার কথা।…

Continue reading