জুলাই ০১, ২০২৩
Break Point
১. ঈদের ছুটিতে Break Point’র ১০টা এপিসোড দেইখা শেষ করলাম। স্পোর্টস ডকুমেন্টারি হিসাবে ভালো হইছে জিনিসটা। টেনিসের কয়েকটা গ্যান্ড স্লাম ট্রফি নিয়া বানানো।
২. নরমালি যেইরকম হয়, স্পোর্টস ডকু-তে তো কোন না নো হিরো’রে হাইলাইট করা হয়। এইখানে ঘটনা এইরকম না; মানে, হিরো আছে, হিরোজম-ও আছে; কিন্তু ফেইলওরও আছে। অনেকটা যেন অডিয়েন্স’স পিক; একজনরে ফলো করতে থাকলেন টুর্নামেন্টের শুরুতে, কিন্তু দেখা গেলো সে/শে জিততে পারলো না, শেষে। জয়-পরাজয় না, ইভেন্টস হইতেছে গিয়া সেন্টার ঘটনা।
৩. মাল্টিপল প্লেয়ার আছে এইখানে; বেশিরভাগই টপ টেনের লোকজন; কিন্তু সবাই গ্রেট না। গ্রেট এবং এভারেজের ডিফরেন্সটাও আসলে টের পাওয়া যাইতেছে। যেমন, আমার ভাল্লাগছে Iga Świątek’রে। ফানি, উইটি এবং কম্পোজড বইলা না, এইটা হইতেছে নরমালিটি একটা তাঁর কাছে, এইরকম গ্রেট হওয়াটা। অন্যরা, অনেকেই নরমাল হিসাবে, ইন্টারনাল অবস্থা হিসাবে নিতে পারতেছে না! যেন এইটা বাইরের একটা জিনিস, যা এচিভ করা লাগবে! আর ইগা’র ঘটনাটা হইতেছে ইন্টারনাল; আমার ভিতরে তো আছে জায়গা’টা, অইখানে থাকতে পারতে হবে। আর অন্যরা, অনেকেই অই জায়গাটাতে যাওয়ার ট্রাই করতেছে, এইরকম।
৪. টনি নাদালের জায়গাটাও ইন্টারেস্টিং লাগছে। সে ফ্যামিলি’রে ছাড়তে রাজি না! কয়েকটা দামি কথা বলছে সে; যে, আপনি যদি কাউরে রেসপেক্ট না করেন, তার কাছ থিকা তো কিছু শিখতে পারবেন না! আর যদি কারোর দমের/প্রতিভার উপরে যদি আপনার বিশ্বাস না থাকে, তাইলে তো তারে মন থিকা কিছু শিখাইতে পারবেন না। এইরকম খুচরা কাহিনি সব এপিসোডেই কম-বেশি আছে।
৫. কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান নিক কিওরিঅস’রে যতোই জাস্টিফাই করা হোক, ভাল্লাগে নাই। বরং ফিল করা গেছে যে, এন্টারেটেইনিং ইজ ইরিটেটিং আসলে!
৬. ইন্টারেস্টিং লাগছে বেলারুশের Aryna Sabalenka-রেও। পলিটিকাল ক্রাইসিস কেমনে মানুশের পারসোনাল জায়গাটারে এফেক্ট করে, নার্ভাস-ব্রেক ডাউনের একটা কারণ হয়া উঠতে পারে, সেই জিনিসটারে (অবভিয়াসলি পশ্চিমাকরণের জায়গা থিকা) হাইলাইট করলেও জিনিসটারে ডিগ-ডাউন করা হয় নাই আসলে। যেইরকম Ons Jabeur’র কেইসটা ফার্স্ট আফ্রিকান, আরব ওমেন হিসাবে গ্লোরিফাই করা হইতেছে, সেলিব্রেট করা হইতেছে, কিন্তু একইসাথে টেনিস জিনিসটা যে একটা ইউরোপ-আম্রিকান গেইম, এই জায়গাটা ওভারলুক করতে পারাটা এতোটাই ইম্পসিবল যে, এই কারণেই যেন মিসিং!
৭. তবে গ্রেটনেসের জায়গাটাতে একটা সাজেশন কিছুটা চোখে লাগছে, যেইটা ক্রিস এভার্ট-ও বলতেছিলেন Ajla Tomljanović’র ব্যাপারে অনেকটা যে, টুউ মাচ পোলাইটনেস উইল কিল ইউর থিংকস! Taylor Fritz’র ব্যাপারেও ব্যাপারটা ফিল করা যায় অনেকটা যখন সে তার বাচ্চার সাথে আলাপের ব্যাপারে বলে যে, সে তো দুনিয়ার সেরা টেনিস প্লেয়ার না! এইটা তার পোলাইটনেসই এক রকমের। (সে যে কেন হলিউডের হিরো হইলো না 🙂 ) তো, ব্যাপারটা এইরকম না যে, উনারা পোলাইট বইলা গ্রেট না, বরং উনারা সার্টেন এরিয়ারে পুশ করার বাটনটা খুঁইজা পাইতেছে না আসলে।
৮. তো, টেনিসের ভালো-রকম একটা ডিসপ্লে হইছে ডকু’টা। নেরেটিভের ধরণটা লিনিয়ার না হয়া যে নানান দিক থিকা আগাইছে অইটা ভালো হইছে, সাসপেন্স ক্রিয়েট করতে পারছে। (ডকু-তে সাসপেন্স লাগে না বা না হইলেও চলে – এইটা খুবই ভুল-চিন্তা।)
৯. এমনিতে আমি তো ডকু-লাভার। একটা সময়ে যেইরকম খালি গল্প-উপন্যাস ছিল পড়ার বই, নন-ফিকশন ছিল খুবই পাইনশা; সিনেমাতেও আমার ধারণা ডকুমেন্টারি অই অবস্থাটাতে আছে এখনো; কিন্তু আরো অনেক ভাস্ট এরিয়া এক্সপ্লোর করার বাকি আছে আসলে, এইখানে। Continue reading →