নোটস: মার্চ, ২০২৩ [পার্ট ২]

মার্চ ১৬, ২০২৩

১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষ-রে যে এখনো ভয়াবহ বইলা ভাবতে পারি আমরা, এর একটা কারণ হইতেছে জয়নুল আবেদীনের স্কেচগুলা। এই ছবি বাদ দিলে বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের “অশনি সংকেত” নভেলে কিছুটা আছে। এর বাইরে এই ঘটনার তেমন কোন ডকুমেন্টশন নাই সাহিত্যে, আর্টে।

আব্বাসউদ্দিন আহমদ উনার অটোবায়োগ্রাফিতে বলতেছেন কলকাতা ধীরে ধীরে কালো হয়া যাইতেছিল, গেরামের ময়লা-রংয়ের মানুশ দিয়া ভইরা যাইতেছিল। কিছুদিন ছিল। তারপরে পুলিশ একদিন তাদেরকে ধইরা নিয়া শহরের বাইরে ফেলে দিয়া আসলো। মানে, এই অবস্থাটা বেশিদিন ছিল না। (আর যাদের কথা-ই পাইবেন, দেখবেন যে, একটু দূর থিকাই উনারা দেখতেছেন। মানে, উনারা, মধ্যবিত্ত শিল্পী-সাহিত্যিকরা অই ক্লাসের লোকজন ছিলেন না, যাদেরকে দুর্ভিক্ষের কারণে না-খায়া থাকতে হইছিল।…) জয়নুল আবেদীন মেবি তখনই ছবিগুলা আঁকছিলেন।

সেই তুলনায় ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের কথা যে আমরা মনে করতে পারি না, এর একটা কারণ হইতেছে, এইটা নিয়া তেমন একটা আর্ট বা লিটারেচার নাই। এক আছে আজম খানের “বাংলাদেশ” গানটা। উনি বলতেছিলেন, কমলাপুর রেলস্টেশন থিকা নটরডেম কলেজ পর্যন্ত কালা কালা কাদা হয়া গেছিল। তবে দুর্ভিক্ষের কিছু নিউজ এখনো খুঁজলে পাওয়া যাবে, বিবিসি-র একটা নিউজ ছিল মেবি, ডিটেইল। যার ফলে, দুর্ভিক্ষ হয় নাই – এই ক্লেইম করাটা মুশকিলের হয়। স্বীকার করা লাগে।

এখন গত এক বছর ধইরা বাংলাদেশে যে “নিরব” দুর্ভিক্ষ চলতেছে, সেইটা দুর্ভিক্ষ মনে হয় না, এরও একটা বড় কারণ হইতেছে আর্ট-কালচারে ব্যাপারটা তো নাই-ই, নিউজও নাই তেমন। “আমি না খায়া আছি” – এই কথা মানুশ-জন তো পত্রিকা-অফিসে গিয়া, সাংবাদিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়া বইলা আসবে না। কিন্তু আশেপাশের “লো-ক্লাসের” 🙁 লোকজনের দিকে তাকাইলে কিছুটা হইলেও খেয়াল করতে পারার কথা আমাদের।

মানে, আমি বলতে চাইতেছি, আর্ট-কালচার দিয়া, নিউজ-টিউজ বেইজ কইরা “সমাজের সত্য” আবিষ্কার করতে চাওয়ার যেই রেফারেন্স-সিস্টেমটা সেইটা ভুয়া না হইলেও এইটারে রিয়ালিটি কনজামশনের একমাত্র রাস্তা হিসাবে ধইরা নিলে অনেক কিছু দেখতে পাবো না আসলে আমরা।

কোন কিছু জানতে হইলে, শুরুতেই রেফারেন্স সিস্টেমটা নিয়া ক্রিটিকাল হওয়া দরকার আমাদের।

যেমন ধরেন, বাংলাদেশের এখনকার বেসরকারি বিটিভিগুলার নিউজগুলারে রেফারেন্স হিসাবে যদি অথেনটিক ধইরা নেন, তাইলে জিনিসগুলা ফেইক না রিয়েল – এই সিউডো-তর্কে না গিয়াও, মানে ১০০% অথেনটিক নিউজ নিলেও, ভুল এবং ভয়াবহ একটা রিয়ালিটিতে গিয়া ল্যান্ড করবেন আপনি, যার লগে আমাদের দেশের, চারপাশের তেমন কোন রিলিভেন্সই নাই।

একইভাবে আপনি গুগুল-সার্চে বা অনলাইনে যদি বাংলাদেশি কোন মেটেরিয়াল – ছবি, সিনেমা, গান খুঁজেন, তেমন একটা পাইবেন না। আপনারে যাইতে হবে মিডল-ইস্টের “প্রবাসীদের” জায়গাগুলাতেও, অইগুলাতে কিছু জিনিস পাইতে পারেন। তা নাইলে ইন্ডিয়ান-বাংলার লগে খালি মিক্স-আপ করা-ই না, বরং অইগুলাই বেশি, অইগুলারেই মনে হবে “অরিজিনাল বাংলা”!

তার কারণ হইতেছে, এই যে অনলাইনের দুনিয়া – এইটা আসছে বইয়ের ভিতর থিকা। বই ছাপানো শুরু হইছে কলিকাতারে সেন্টার কইরা। বাংলা-ভাষার বইগুলা ছাপা হইছে অইখানের প্রেসগুলাতে। কলেজ, পত্রিকা, সরকারি-অফিসগুলাও ছিল অইখানে। কিন্তু প্রেসে বই ছাপা-হওয়ার আগে দুনিয়াতে কি কোন জ্ঞান-বিজ্ঞান, আর্ট-কালচার ছিল না? 🙂 ছিল, কিন্তু সেইটার ফর্মটা, ফরম্যাট’টা ছিল আলাদা।

যেই কারণে হিস্ট্রিতে বইয়ের আগের ফেইজটাতে যদি যান (পুঁথি, পালাগান, গীতি-কবিতা…) দেখবেন বাংলা-ভাষাটা অন্যরকম। এমনকি অইসব জায়গায় কলিকাতা বইলা কোন জিনিসও পাইবেন না, কারণ ব্যাপারটা শুরু হইছে কলোনিয়াল আমল থিকাই।

মানে, আমি বলতে চাইতেছি, কোন রেফারেন্সরে ফলো করবেন না – তা না, রেফারেন্সের ব্যাপারে ক্রিটিকাল থাকতে হবে আমাদেরকে। তা নাইলে ব্যাপারটা নেরো একটা পাইপের ভিতর দিয়া দেখার ঘটনাই হবে। আমাদের আই-সাইটের অবশ্যই একটা লিমিটেশন আছে, কোন না কোন রেফারেন্স-সিস্টেমের ভিতর দিয়াই আমাদেরকে দেখতে হবে, কিন্তু একইসাথে কোন জায়গাটার ভিতর দিয়া আমরা দেখতেছি, অই জায়গাটা নিয়াও ক্রিটিকাল থাকতে পারাটা জরুরি।

যারা বইয়ের বাংলা পড়েন, তারা দেখবেন এই কারণে ‘ফেইসবুকের বাংলা’ 🙂 নিতে পারেন না। ইউটিউবে মিডল-ক্লাস ক্রাউডে জমা হওয়া গান শুইনা মনে করেন, বাংলাদেশে তো গানের কোন ‘ঐহিত্য’ নাই! তো, এইগুলা যতটা না একটা সত্য বা মিথ্যা কথা, তার চাইতে একটা এগজিস্টিং রেফারেন্স সিস্টেমের বাইরে না যাইতে চাওয়ার ঘটনাই, মোস্টলি।
Continue reading

নোটস: মার্চ, ২০২৩ [পার্ট ১]

মার্চ ২, ২০২৩

এইরকম আলাপ তো মাঝে-মধ্যে দেখি ফেইসবুকে যে, আপনার পড়া ফার্স্ট বই কোনটা? বা আপনার পড়া ফার্স্ট রিমার্কেবল বই কোনটা? বা কোন বইটার কথা আছে? বা কোন বইটা দিয়া “গল্পের বই” পড়া হইছে আপনার? এইরকম।

তো, এইগুলাতে খুব বেশি এনগেইজড হওয়া হয় না। কিন্তু মনে হইতেছিল, আমাদের জেনারেশনে সবারই কম-বেশি “বই পড়া” শুরু হইছে আসলে সেবা-প্রকাশনী’র বইগুলা দিয়া। (হুমায়ূন আহমেদ তখনো সেলিব্রেটি হন নাই, তার কিছুদিন পরেই হইছেন।) কারো হয়তো তিন গোয়েন্দা, কারো হয়তো ওয়েস্টার্ন, কারো হয়তো মাসুদ রানা দিয়া। মানে, “সেবা প্রকাশনী”র বই বইলা একটা কেটাগরি এগজিস্ট করে এখনো বাংলাদেশের বইয়ের মার্কেটে।

তো, বইগুলা কেমন ছিল? 🙂 হার্ডকাভার তো অবশ্যই না, অত বেশি মোটা-কাগজেরও না; ছিল নিউজপ্রিন্ট কাগজে ছাপানো। ছাপানো খারাপ না, তবে এভারেজই। ফন্ট-টন্টও ছোটই। কাভার তো বিদেশি ছবি মাইরা দিয়া বসানো। মানে, কোয়ালিটি সেন্সে যদি বলেন, আদর কইরা “এভারেজ”-ই বলা যাবে, এর বেশি বললে সেইটা সত্যি-কথা বলা হবে না।

মানে, বই বলতে যেই সফিশটিকেশন আমরা বুঝি, কোয়ালিটি আমরা বুঝি, সেই পেরামিটারগুলাতে টেকনিকাল সেন্সে “ভালো বই” না। সাহিত্য হিসাবেও “বাজে বই” কেটাগরিতেই ফেলা হইতো। কিন্তু আমাদের টিনএইজ বয়সে অইগুলাই ছিল আমাদের বই।

আমি বলতে চাইতেছি, টেকনিকাল এফেশিয়েন্সি কোন খারাপ জিনিস না, কিন্তু একটা বই দেখতে সুন্দর বইলাই সেই বই আমরা পড়ি না। এমনকি এগজিসটিং সাহিত্য-ধারণার লগে মিলে বইলাই সেইটা ভালো-বই না।

বরং আমি যেইটা মনে করতে পারি, সেবা প্রকাশনীর বই যে পড়তে ভালো-লাগতো, এর একটা মেজর কারণ ছিল বইগুলাতে সাহিত্যিক-বর্ণনার চাইতে ঘটনার বর্ণনা বেশি থাকতো। ঘটনা তরতর কইরা আগায়া যাইতো। পড়তে কোন সমস্যা হইতো না। এমন একটা শব্দও ছিল না, যেইটা আমরা বুঝতাম না। স্মুথ একটা রিডিং এক্সপেরিয়েন্স দিতো। যেইটা সাহিত্য-পড়া লোকজন খুব একটা পছন্দ করতো না বইলা “খারাপ-বই” বলতো।

এখন অই সিউডো-তর্কে আমি যাইতেছি না। আমি বলতে চাইতেছি, যে কোন জায়গাতেই টেকনিকাল এফিশিয়েন্সটাই ঘটনা না। মিনিমাম একটা টেকনিকাল কোয়ালিটি থাকাটা বা সেন্স থাকাটা ভালো অবশ্যই, কিন্তু এইগুলা দিয়া কোন জিনিসরে বিচার করতে যাওয়াটা হাইট দেইখা বা কালার দেইখা মানুশের ভালো-মন্দ যাচাই করতে যাওয়ার মতোই আজাইরা ঘটনা অনেকটা।
Continue reading

নোটস: ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ [পার্ট ২]

ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩

– আমার সাহিত্যিক-দুশমনরা, প্লিজ, আমারে পপুলার বানায়া দিয়েন না! –

লাইফের এই স্টেইজে আইসা আমার লগে কারো “কবি-বন্ধু” টাইপের রিলেশন নাই। আর এইটা একটা ব্লেসিংই মনে করি আমি।*

কিন্তু তাই বইলা কোন দুশমনিও আমি এসপেক্ট করি না। তারপরও নানান ধরণের “সাহিত্যিক আড্ডায়” আমারে গালি-গালাজ করার ও আমার ব্যাপারে পারসোনাল রেইজের কথা শুনতে পাই। এমনকি যাদের লগে আমার ভালো-মন্দের কোন যোগাযোগ নাই, জীবনে কোনদিন কথাও হয় নাই, এইরকম লোকজনও শুনি জাত-দুশমনি নিয়া বইসা আছেন!

তো, কেন উনারা দুশমনি করেন? এইটা ভাবতে গিয়া দুইটা সম্ভাবনার কথাই মনে হইলো।

এক হইতেছে, আমাদের সমাজে পাওনাদাররে গালি-গালাজ করার একটা প্রাকটিস আছে। যে কেউ টাকা-পয়সা পাবে, তারে ছোট-করা কথা-বলা যাতে কইরা সে যে টাকা-পয়সা পায়, অইটা আর ইস্যু হিসাবে সামনে আসতে না পারে। তো, আমি কারো কাছে টাকা-পয়সা পাই না। মানে, দেয়ার মতো টাকা-পয়সা তো না-ই আমার তেমন। কিন্তু এইখানে একটা ঘটনা ঘটছে বইলা মনেহয়।

যেইসব কবি-সাহিত্যিকরা পারসোনাল আড্ডাতে আমার “মুন্ডুপাত” করেন, উনারা কম-বেশি এইরকম একটা সাহিত্য-ভাষাতে লেখেন যেইটা আমার লেখালেখির ধরণের উল্টা তো না-ই, বরং বেশ কাছাকাছি রকমেরই ঘটনা! যেই কারণে উনারা মেবি আমারে “পাওনাদার” ভাবতে পারেন! যে, ‘ইমরুল হাসানের ভাষায়’ লেখতেছেন! এই টিজ-টিটকারি আমি করতে দেখছি কয়েকজন বুড়া-কবিরে।

একশ-দেড়শ বছরের পুরানা কলোনিয়াল-ভাষায় লেইখা, ফটোকপির ফটোকপির ফটোকপি হইলে কোন সমস্যা নাই! এর বাইরে গেলেই এরমতো-ওরমতো হয়া যাইতে হয়! এইটা হইতেছে অই গোলামির ঘটনা আসলে। অই গোলামির বাইরে গিয়া অনেকেই লেখার ট্রাই করছেন, করতেছেন, করবেনও এবং আমি এক্সপেক্ট করি, অই জায়গাগুলা আরো ক্লিয়ার হইতে থাকবে দিন দিন।

এইখানে “ইমরুল হাসানের ভাষা” বইলা কিছু নাই। মানে, আমি কারো পাওনাদার না!

(অনেক দেরিতে হইলেও কিছু লিটারারি টেকনিকের জায়গাগুলারে আমি টের পাইতে শুরু করছি এবং একটা পলিটিকাল-পজিশন তৈরি করার দিকে চিন্তা-ভাবনা করতেছি। ঘটনা এইটুকই।)

এখন এক্সপ্লোর করতে গেলে, এর-অর লগে মিল থাকেই কিছু, নিজের জায়গা তৈরি হইলে পরে অইগুলা আর কোন ঘটনা না। তো, এইটা আসলে একটা ট্রিক্স, বুড়া-কবিদের, এবং কলোনিয়াল-ভাষার গোলামদের। আমার লেখালেখির লগে এর কোন রিলেশন নাই।

সেকেন্ড হইতেছে, আমারে নিয়া দুইটা বাজে-কথা কইলে যদি কারো কাছে পছন্দের হওয়া যায়, তাইলে তো কোন প্রবলেম নাই আমার। কিন্তু এইরকম “কবি-বন্ধু” থাকা বা না-থাকাটা তেমন কিছু মিন করে না আসলে। আমারে খারাপ বইলা যদি কারো কোন লাভ হয়, আমার তো লস নাই কোন! কিন্তু আমার অইরকম পাওয়ারফুল দুশমন তো দেখি না, যারা কোন লাভ দিতে পারবে।

কিন্তু মুশকিল হয়া হইতেছে, এইসব ঘটনায় আমার লাভ হয়া যাইতেছে। এর-ওর গালি-গালাজ শুইনা লোকজন আমার নাম জানতেছে, লেখা পড়তেছে। আমার নাম ছড়ায়া যাইতেছে। মানে, আমার “কবি-বন্ধুরা” আমার যেই ‘উপকার’ করেন নাই, আমার “সাহিত্যিক-দুশমনরা” আমারে সেই সার্ভিস দিতেছেন! মেবি না-জাইনাই। তো, এই কথা জানানোর জন্য এইটা লেখা।

হে আমার (ইনভিজিবল) সাহিত্যিক-দুশমনরা, প্লিজ, আমারে আর পপুলার বানায়া দিয়েন না!


*এমন না যে দোস্তি জিনিসটা বাজে, কিন্তু “কবি-বন্ধু” জিনিসটা মোস্টলি চুলকানি টাইপের জিনিসই কিছুটা, স্যাডলি 🙁 তারপরও ইন্টেলেকচুয়াল এক্সচেইঞ্জ তো দরকারি জিনিসই, সেইটা সবসময় সাহিত্যিক-রিলেশন দিয়াই হইতে হবে – এই এক্সপেক্টশন আমার সবসময় কমই।

Continue reading

নোটস: ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ [পার্ট ১]

ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩

– বাংলাদেশের বইয়ের বাজার –

যে কোন আলাপে প্রিমাইজটা ইম্পর্টেন্ট, যে কোন বেইজগুলার উপরে দাঁড়ায়া আপনি কথাগুলা বলতেছেন। অই প্রিমাইজগুলা বদলাইলে আলাপের ধরণও বদলায়া যাবে। প্রিমাইজগুলা স্ট্যাটিক না, বদলাইতেই পারে, কিন্তু অইগুলা ঠিক না কইরা নিলে কোন আলাপ করাটাও মুশকিল। তো, মোটাদাগে, আমার আলাপের প্রিমাইজগুলা হইতেছে এই ৫টা:

১. বাংলাদেশে বই পড়ে স্টুডেন্টরাই। এই গ্রুপটাই সবচে বড় কাস্টমার। বইয়ের বাজারের একটা বড় অংশও হইতেছে টেক্সট বুক। ভার্সিটির না, বরং স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার বই।

২. বাংলাদেশে এই টেক্সট-বইয়ের বিজনেসটা করে গর্ভমেন্ট। এখন যে কোন বিজনেস যদি গর্ভমেন্ট করে, সেইটা খারাপ-বিজনেস হইতে বাধ্য। খালি প্রফিটেবিলিটির জায়গা থিকাই না, প্রডাক্টিভিটি, বিজনেস অপারেশনসের জায়গা থিকাও এইটা বাজে এবং দুর্নীতিরও বড় একটা ঘটনা। আর এইটা পলিটকাল কন্ট্রোলের টুল তো অবশ্যই। এই টেক্সট-বুক বিজনেসের ভিতর দিয়াই গর্ভমেন্ট বাংলাদেশের বইয়ের মার্কেটরে কন্ট্রোলের মধ্যে রাখে।

৩. এর বাইরে গল্প-কবিতা-উপন্যাস-ননফিকশনের বই চলে না – ব্যাপারটা এইরকম না। কিন্তু এই ধরণের বইগুলা দরকারি-জিনিস হয়া উঠতে পারে নাই। এমনকি ফ্যাশন হিসাবেও বাংলা-কবিতা বা ফিকশন পড়াটা স্মার্ট কোন ঘটনা না। ইংলিশ-বই ব্যাপারটাই স্মার্ট এবং কম-বেশি দরকারি ঘটনাও। মানে, এমন কোন বাংলাদেশি রাইটারের বই নাই, যেইটা না পড়লে অনেককিছু আপনি মিস কইরা যাবেন। বা কোন বাংলাদেশি রাইটারের বই নাই যেইটা বাংল-ভাষার কমিউনিটির বাইরে ইন্টারন্যাশনাল কোন ইন্টারেস্টের ঘটনা হয়া উঠতে পারতেছে। বাংলাদেশে গল্প-উপন্যাস-কবিতার যেই নিশ-মার্কেটটা আছে, অইখানেও ইন্ডিয়ান-বইই ডমিনেন্ট। নন-ফিকশন ক্যাটাগরিতেও ইন্ডিয়ান-বাংলা বই যেহেতু প্রাচ্যবিদ্যা বা ইন্ডিয়ান-কালচারের লগে কানেক্টেড, প্রডাক্ট ক্যাটাগরি এবং রিচনেসের জায়গা থিকা বাংলাদেশের বাংলা-বই খালি কমই না, মোটামুটি নাই-ই আসলে।

৪. আর এইটা খালি সাহিত্য-ধারণার এবং কনটেন্টের রিচনেসের ঘটনাই না, ভাষার প্রাকটিসের লগে রিলেটেড একটা ফেনোমেনা-ই। বাংলা-ভাষা লিখিত হওয়া শুরু করছে কলোনিয়াল পিরিয়ড থিকা, অই সময়ে কলকাতায় যেই সাহিত্য-ভাষা তৈরি হইছে অইটাই এখনো পর্যন্ত “বাংলা-ভাষা”। অইটা কম-বেশি চেইঞ্জ হইলেও এর বাইরে গিয়া নতুন সাহিত্য-ভাষা তৈরি হইতে পারে নাই এখনো। অই প্রাকটিস ও ধারণাটা খালি একটা অভ্যাসের জিনিস না, কনশাস বোঝা-পড়ারও ঘটনা, যেইটা সরতে টাইম লাগার কথা। মানে, বাংলা-ভাষা এবং বাংলাদেশের রিডার – এই জায়গাটাতে একটা ডিসকানেকশন আছে। যেইটার কারণে কনটেন্টের জায়গাটাও সাফার করার কথা।

৫. আরেকটা ঘটনা হইতেছে বাংলা-বইয়ের বাজার বাংলাদেশের বাইরে নাই-না, অইটা প্রডাক্ট হিসাবে অই লেভেলে এক্সিলারেটেড হইতে পারে না, যেইখানে ইন্টারন্যাশনাল কোলাবরেশন পসিবল হইতে পারে। কনটেন্টের বাইরেও ফিনান্সিয়াল লেনদেনের প্রবলেম এইখানে আছে, যার জন্য ই-বুক এবং অডিও-বুক বিজনেস মিনিমাম কোন জায়গাতে রিচ করতে পারে নাই।

যদিও এই প্রিমাইজগুলা আরো ব্যাখ্যা করা যায় এবং নতুন কিছু অ্যাড করা যায়, কিন্তু আপাতত, এইটুক রিলিভেন্ট পয়েন্ট হিসাবে থাকতে পারে। আর চিন্তার জায়গাতে চাইলে এন্ডলেসলি যেমন সামনের দিকে যাইতে পারি আমরা, পিছনের দিকেও যাইতে পারি তো। এই কারণে মিনিমাম এই কয়েকটা পয়েন্টরে ধরে নিতেছি।

এই প্রিমাইজগুলার লগে কয়েকটা প্রেজেন্ট কন্ডিশন বা অবজারভেশনও অ্যাড করতে চাই আমি। যেই অবজারভেশনের বেসিসে কয়েকটা ডিসিশানের কথা আমি বলতে চাই। বাংলাদেশের বইয়ের বাজার নিয়া আমার অবজারভেশন মোটাদাগে ছয়টা –

১. বুক পাবলিকেশন এবং বই-ছাপায়া দেয়ার বিজনেস যে একই ঘটনা না – এই আন্ডারস্ট্যান্ডিংটা এখনো ক্লিয়ার না। এখনো পর্যন্ত বই ছাপানোটারেই “পুস্তক প্রকাশনা” বিজনেস বইলা ধইরা নেয়া হয়। কেউ একজন একটা বই লিখলো আপনি সেইটা ছাপায়া দিলেন – এইটাই হইতেছে পাবলিশারের কাজ। এইটা সরকারি-বই ছাপানো জায়গা থিকা আসছে বইলাই আমার ধারণা। বাংলাদেশে “সৃজনশীল পুস্তক প্রকাশনা” অইটারই একটা বাই-প্রডাক্ট, যার ভিতর দিয়া পাবলিশার হিসাবে নিজেদেরকে ক্লেইম করা যায়, সরকারি অফিসে বই সাপ্লাই দেয়া যায় এবং সরকারি-ছাপার কাজ পাইতে সুবিধা হয়। এমনকি বই ডিস্ট্রিবিউশন করাও পাবলিশারের কাজ না!

২. বাংলাদেশে বুক ডিস্ট্রিবিউশন কোন সিস্টেম নাই। হাইস্কুল, মাদরাসা এবং কলেজ লেভেলের নোটবই এবং বিসিএস পরীক্ষার জন্য কারেন্ট এফেয়ারস বই-ই মোটামুটি জেলা-উপজেলা শহরগুলাতে পাওয়া যায়। এর বাইরে বই বেচাকেনার মেইন জায়গা হইতেছে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকায় বাংলা একাডেমির বইমেলা। তা নাইলে ঢাকায় দুই-চাইরটা বইয়ের দোকান এবং অনলাইনে রকমারি-তে বই বেচা।

৩. বাংলাদেশে নানান পদের বইয়ের কোন ডিমান্ড নাই বা রিডার নাই, নাকি বই-ই নাই – এই নিয়া কিছু তর্ক থাকলেও, এইটা ‘ডিম আগে না মুর্গি আগে’র ঘটনা না এতোটা। বরং বই জিনিসটারে বিভিন্ন ক্যাটাগরির নিডের লগে রিলিভেন্ট কইরা তোলা যায় নাই।

৪. আর এরজন্য রাইটারদের রয়ালিটির বেবস্তা করলেই সমস্যার সমাধান হয়া যাবে না আর কি! 🙂 বা রাইটারদেরকে বাজারি-বই লেইখা “স্বাবলম্বী” হইতে হবে – এইরকমও না। একজন রাইটার একইসাথে ভালো-রাইটার এবং পপুলার-রাইটার হইতে পারেন, কিন্তু ক্যাটাগরি হিসাবে দুইটা আলাদা ঘটনাই। একজন ভালো-রাইটার বা ভালো-বই অবশ্যই একটা ঘটনা। সৈয়দ মুজতবা আলী বা বিষাদ-সিন্ধু এখনো বাংলাদেশের বেশি-বেচা বইগুলার লিস্টে থাকার কথা।

৫. কিন্তু এইটা একজন সেলিব্রেটি রাইটার আবিষ্কার করতে না-পারার রেজাল্ট না, বরং একটা একো-সিস্টেম তৈরি না-করতে পারার ফেইলওর। খালি ইকনোমিকালি না, পলিটিকাল জায়গা থিকাও। যেইটা বাংলাদেশে তৈরি করার কোন ইনিশিয়েটিভও নেয়া হয় নাই। এবং অই জায়গাগুলাতেও কথা-বলার ও নজর দেয়ার নজিরও নাই তেমন। Continue reading

নোটস: জানুয়ারি, ২০২৩ [পার্ট ২]

জানুয়ারি ১৭, ২০২৩

– বাংলাদেশের ভার্সিটি –

[সম্ভবত গোলাপগঞ্জে এলাকাবাসীর লগে অইখানের ভার্সিটির স্টুডেন্টদের মারামারি নিয়া কথা বলতে গিয়া জিনিসটা নিয়া কথা বলা শুরু করছিলাম। কিন্তু এইখানে ডিপ-রুটেড কিছু জিনিস আসলে আছে।]

মার্চ ২২, ২০২২
২০০১/০২ সালের দিকে যখন সিলেটে থাকতাম তখন এই জিনিসটা ফার্স্ট খেয়াল করছিলাম, যে ভারসিটির স্টুডেন্টদেরকে সিঅলটি লোকাল পাওয়ারফুল লোকজন খুব-একটা পছন্দ করেন না; মানে, হেইট করেন – এইরকম না, কিন্তু “পছন্দ” করেন না। ভারসিটির স্টুডেন্টরাও লোকাল লোকজনের লগে একটু ডিসট্যান্স রাইখাই চলতো। মানে, একসেপশন যে নাই – তা না, কিন্তু ওভারঅল এইরকম একটা সিচুয়েশন বা ধারণা ছিল। কয়দিন আগেও দেখবেন, সাস্টের ঘটনায় লোকাল লোকজন আগায়া আসে নাই, ভারসিটির স্টুডেন্টরাও ‘মুখ ফসকায়া’ তালেবান বইলা ফেলছিল অন্যদেরকে, উনাদের ফ্রিডম ক্লেইম করতে গিয়া।…

তো, এইটা খালি সিলেটের সাস্টের ঘটনাই না, ঢাকা ভারসিটির শুরু থিকাই এই ঘটনা থাকার কথা। ঢাকার নবাব বাড়ির লোকজন কাজী আবদুল ওদুদরে নাকে খত দেয়াইছিলেন বইলা শোনা যায়, ইকনোমিকসের টিচার হিসাব উনি যখন কইছিলেন, মহাজনের সুদের চাইতে ব্যাংকের ইন্টারেস্ট জায়েজ হওয়া দরকার, এইরকম একটা কথা।… জাহাঙ্গীরনগরেও মনে পড়ে যে, একটা সময় আশে-পাশের গেরামের লোকজনের লগে মারামারি হইতো। মানে, বাংলাদেশের ভারসিটিগুলা খালি “ইয়াং পিপলদের ফ্রি-স্পেইস”-ই না, এইখানে আরো কিছু ঘটনা আছে, যেইটা একটু খেয়াল করা দরকার আমাদের।

বাংলাদেশের এডুকেশন সিস্টেম, পলিটিক্স এবং সমাজের বাইরের ঘটনা না এইগুলা। এটলিস্ট তিনটা জিনিস আমি এইখানে দেখতে পাই।
এক, ভারসিটির স্টুডেন্ট এর বিপরীতে “সমাজ” বা “এলাকাবাসী” বইলা এমন একটা জিনিসরে আইডেন্টিফাই করা যেইটা হইতেছে আদতে ভিলেন! যেহেতু ফরমাল এডুকেশন, পড়াশোনা বা জ্ঞান মানেই হইতেছে ‘মর্ডানিটি’র একটা ঘটনা, সেইখানে আপনি ‘শিক্ষিত’ মানেই হইতেছে আপনি ডিফরেন্ট একটা কিছু, সমাজের অন্য মানুশের মতো না, যারা ‘জানে-না’। অই ‘না-জানা’ ‘অশিক্ষিত মানুশগুলা’ হইতেছে সমাজ! ‘শিক্ষিত’ হিসাবে আপনি অই সমাজের বাইরের ঘটনা। কলেজ, ভারসিটিগুলাতে এই ট্যাবু খুব স্ট্রংগলিই আছে না, এই ট্যাবু মেইন আইডেন্টিটির একটা পার্ট।

অথচ ঘটনা হইতেছে, এইরকম ‘অশিক্ষিত’ লোকদের নিজেদেরও তেমন কিছু করার নাই আসলে ‘সমাজ’ নিয়া, বরং উনারাই হইতেছে পাওয়ারলেস অংশটা! ‘অশিক্ষিত’ এবং ‘গরিব’ লোকজন ‘সমাজ’ এর ডিসিশান-মেকার না, বরং এগজিস্টিং পাওয়ার-স্ট্রাকচারেরই ফলোয়ার। মর্ডানিটি উনাদেরকে ‘মুক্তি’ দিবে না, বা উনাদেরকে আইডিওলজিক্যালি নিতে পারে না – এইটাও মেবি উনারা টের পাওয়ার কথা। যার ফলে, ‘শিক্ষিত’ মানুশদের লগে সমাজের ‘অশিক্ষিত’ মানুশদের কোন ডিসট্যান্স নাই – এই জিনিসটা সত্যি কথা না। কিন্তু উনারা এটলিস্ট পলিটিক্যালি একটা দল আরেকটা দলের দুশমন না।

এইখানে আসে সেকেন্ড পয়েন্ট’টা। যে, ‘শিক্ষিত লোকজন’ ‘সমাজ-ঘৃণার’ নামে গরিব ও ছোটলোকদের দিকে ঘৃণা কেন জারি রাখেন তাইলে? ধরেন, বাস-মালিকদেরকে দোষ না দিয়া কেন ছরমিকদের দোষ দেন? বা ‘গরিব’ ও ‘ছোটলোকরা’ কেন ভারসিটির স্টুডেন্টদের নিজেদের লোক মনে করে না?

ভিজিবিলিটির একটা ইস্যু তো আছেই, যে মালিকের চাইতে ম্যানেজার বেশি খারাপ। এর বাইরে, এইটা পাওয়ারের জায়গাটা মোস্টলি ইনভিজিবল এবং আন-কোশ্চেনড থাকার জায়গা আছে। ভারসিটির স্টুডেন্ট হিসাবে আপনি যদি না বলেন যে, সমাজে কেউ পাওয়ারফুল না হইলে রেইপ করতে পারে না! তাইলে তো সরাসরি পাওয়ারের লগে কনফ্লিক্টে চইলা গেলেন। কিন্তু আপনি যদি বলেন, “সমাজের অশিক্ষিত পুরুষেরা” রেইপ করে, তাইলে তো সাপও মরলো, লাঠিও ভাঙ্গলো না। পুরুষ তো আছে, প্যার্টিয়ার্কিও আছে, কিন্তু পাওয়ারও যে আছে, সেইটা না-বলাটা পলিটিক্যালি সেইফ রাখতে হেল্প করার কথা।

মানে, এইটা খুব কনশাস জায়গা থিকা ঘটতেছে – তা না, একটা সাব-কনশাস 🙂 এওয়ারনেস কাজ করার কথা। কিন্তু এতে কইরা যা হয়, পাওয়ারের জায়গাটারে এভেয়ড করার ভিতর দিয়া সমাজের একটা ইস্যু খুব কম সময়েই ভারসিটির স্টুডেন্টদের ইস্যু হয়া উঠতে পারে এখন। একইসাথে ভারসিটির স্টুডেন্টদের ইস্যুরে একটা ক্লাসের সমস্যা হিসাবেই ভাবতে পারার কথা (“সমাজ” বা “এলাকাবাসী”র না, বরং সমাজের) গরিব ও ছোটলোকদের।

এইখানে একটা ডিস-কানেকশন তৈরি হইছে। এইটা হইতেছে আমার থার্ড পয়েন্ট’টা। এইটা যেইভাবে বটবৃক্ষ হয়া উঠছে, সেইটা জাস্টিফাইড হয়া উঠছে “আমরা রাজনীতি বুঝি না” এবং “আমরা রাজনীতি করি না” বা “খারাপ লোকরাই রাজনীতি করে” – এইরকম একটা পজিশন হিসাবে, যেইটা গত ৩০/৪০ বছরের একটা ঘটনা আসলে।

২.
জানুয়ারি ১৭, ২০২৩

এইখানে পিয়াস করিম একটা ইন্টারেস্টিং কথা বলতেছিলেন। যে, ১৯৭১-এর পরে পলিটিকাল-এলিটরা কোসঠাসা হয়ে পড়ছিলেন (যারা পাকিস্তান আমলে আওমি লিগের রাজনীতির ভিতর দিয়া পাওয়ার গেইন করছিলেন, তারা), আমলা-এলিট, মিলিটারি-এলিট এবং কালচারাল-এলিটদের মোকাবেলায়। কারণ রাজনীতি কইরাও উনারা উনাদের বিজনেস বাঁচাইতে পারেন নাই, সরকারিকরণের হাত থিকা।

তো, সরকার কারা? 🙂 ভার্সিটি পাশ করা লোকজনেরাই তো! মেবি স্টুডেন্ট থাকা অবস্থায় উনাদের অই পাওয়ার নাই, কিন্তু পাওয়ারে তো কম-বেশি উনারাই যাবেন সরকারি চাকরির অই পোস্টগুলাতে। এই কারণে ভার্সিটি হইতেছে আসলে এক ধরণের কালচারাল অরিয়েন্টেশনের জায়গা, মিডল-ক্লাসের এলিটিজম শেখার। স্কুল-কলেজও আসলে অইটাই, যেইখানে কিছু সাবজেক্ট ও স্কিল শেখানো হয় না, বরং কালচারাল অরিয়েন্টশনটাও একটা ঘটনা। আগে যেমন মিশনারি স্কুলগুলা ভালো ছিল এখন এলিটদের ইংলিশ-মিডিয়ামের বাইরে ঢাকার কয়েকটা স্কুল-কলেজই ভালো, কারণ এইখানে এলিটদের বাচ্চাদের লগে আপনার বাচ্চা “ফ্রেন্ড” হইতে পারবে। আর এই এলিটিজম হইতেছে সমাজের ‘অশিক্ষিত’ ‘অর্ধশিক্ষিত’ মানুশদেরকে হেইট করা।

মানে, এইখানে যদি কোন “অর্ধশিক্ষিত” “অশিক্ষিত” মানুশ না থাকে, আপনি হেইট করবেন কারে? বা কার তুলনায় “শিক্ষিত” হয়া উঠবেন? সমাজের সবাই-ই যদি “শিক্ষিত” হয়, তাইলে কি “শিক্ষিত” হওয়ার কোন মানে থাকতে পারে? এই যে “শিক্ষিত” হওয়া – এইটা সবসময়ই একটা কম্পারেটিভ ঘটনা, যে অল্প-কিছু সিলেক্টিভ লোকজনই হইতে পারার কথা। এইটা এই ভার্সিটি-শিক্ষার সিস্টেমের মধ্যে ইনহেরিয়েন্ট একটা ঘটনা। যে, দে আর দা চুজেন ওয়ানস! উনারা “বেশি জানেন”।

এখন ব্যাপারটা এইরকম না যে, উনারা “জানেন না”, বরং এই জানাটা একটা ক্লাস-স্ট্যাটাসের ঘটনা। আপনি ভার্সিটিতে পড়ছেন মানেই হইতেছেন আপনি একটু আপার-ক্লাসের লোক। এই ডিফরেন্সটা একটা জ্ঞান-তাত্ত্বিক ঘটনা না, এইটা সোশাল-ডিলেমাও, যেইটা একটা কনফ্লিক্টের দিকে টার্ন করে।

(টু বি কন্টিনিউ…)

Continue reading